আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলীতে খেকুয়ানি খালের ওপর তিন দশকের বেশি সময় আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এ কারণে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সেতুটি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। সে অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে প্রস্তাবও গিয়েছিল। সেখান থেকে কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সেতু নির্মাণের অনুমোদন এসেছে। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়নবাসী নয়, নতুন সেতুর উপকারভোগী হবে শুধু পাঁচটি পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ১ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন সেতুটি নির্মাণে গত জুনে দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পেয়েছে তালতলীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজ। এলাকাবাসীর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন না করে এভাবে সেতু নির্মাণ করার প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া প্রস্তাবিত স্থানে সেতু নির্মাণ করতে দুর্যোগ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। বর্তমান স্থানে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠাইনি। কীভাবে ওই স্থান নির্ধারণ হলো, তা আমার জানা নেই। ওই সেতুর নির্মাণকাজ বাতিল করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নে খেকুয়ানি খালের ওপর পুরোনো সেতুটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯০ সালে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান তালুকদারের বাড়ির সামনে। সেতুটি গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ব্যবহার করেন। কিন্তু জরাজীর্ণ সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে এই সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণে গুলিশাখালীর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে প্রস্তাব দেন। সে অনুসারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় পুরোনো সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠায়। কিন্তু প্রস্তাব পাস হওয়ার পর জানা যায়, নতুন সেতুটি নির্মাণ করা হবে পুরোনো সেতুর ৫০০ মিটার দূরে স্থানীয় আমির হোসেন তালুকদারের বাড়ির সামনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হলে উপকারভোগী হবেন শুধু পাঁচটি পরিবারের সদস্যরা। ইউনিয়নবাসীর কোনো কাজেই আসবে না সেতুটি।
গুলিশাখালীর ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, মিজানুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, পাঁচ পরিবারের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁরা অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে। তবে সেই কুচক্রী মহল কে বা কারা, তা ওই ইউপি সদস্যরা বলেননি।
গুলিশাখালীর ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত স্থানে নির্মাণ না করে কয়েকটি পরিবারের সুবিধার্থে স্থান পরিবর্তন করে সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। জনস্বার্থে প্রস্তাবিত স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে সুপারিশ পাঠিয়েছি।’
আমতলীর ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘ওই সেতুর বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার আমতলীতে খেকুয়ানি খালের ওপর তিন দশকের বেশি সময় আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এ কারণে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সেতুটি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। সে অনুযায়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে প্রস্তাবও গিয়েছিল। সেখান থেকে কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সেতু নির্মাণের অনুমোদন এসেছে। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়নবাসী নয়, নতুন সেতুর উপকারভোগী হবে শুধু পাঁচটি পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ১ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন সেতুটি নির্মাণে গত জুনে দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পেয়েছে তালতলীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজ। এলাকাবাসীর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন না করে এভাবে সেতু নির্মাণ করার প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া প্রস্তাবিত স্থানে সেতু নির্মাণ করতে দুর্যোগ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। বর্তমান স্থানে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠাইনি। কীভাবে ওই স্থান নির্ধারণ হলো, তা আমার জানা নেই। ওই সেতুর নির্মাণকাজ বাতিল করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নে খেকুয়ানি খালের ওপর পুরোনো সেতুটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯০ সালে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান তালুকদারের বাড়ির সামনে। সেতুটি গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ব্যবহার করেন। কিন্তু জরাজীর্ণ সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে এই সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণে গুলিশাখালীর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে প্রস্তাব দেন। সে অনুসারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় পুরোনো সেতুর জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠায়। কিন্তু প্রস্তাব পাস হওয়ার পর জানা যায়, নতুন সেতুটি নির্মাণ করা হবে পুরোনো সেতুর ৫০০ মিটার দূরে স্থানীয় আমির হোসেন তালুকদারের বাড়ির সামনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হলে উপকারভোগী হবেন শুধু পাঁচটি পরিবারের সদস্যরা। ইউনিয়নবাসীর কোনো কাজেই আসবে না সেতুটি।
গুলিশাখালীর ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, মিজানুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, পাঁচ পরিবারের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁরা অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে। তবে সেই কুচক্রী মহল কে বা কারা, তা ওই ইউপি সদস্যরা বলেননি।
গুলিশাখালীর ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত স্থানে নির্মাণ না করে কয়েকটি পরিবারের সুবিধার্থে স্থান পরিবর্তন করে সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। জনস্বার্থে প্রস্তাবিত স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে সুপারিশ পাঠিয়েছি।’
আমতলীর ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘ওই সেতুর বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪