ঘাটাইল প্রতিনিধি
ঘাটাইল উপজেলায় গত ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হলেও ৪ ইউনিয়নের ৩৪৪ জন শ্রমিক এখনো কোনো মজুরি পাননি। তাঁরা সরকারের অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মজুরির টাকা পেতে দেরি হচ্ছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারের অতি দরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের (৪০ দিনের কর্মসূচি) আওতায় ঘাটাইলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবারের কর্মসূচিতে শ্রমিকপ্রতি দৈনিক বরাদ্দ ছিল ৪০০ টাকা।
সেই হিসাবে মোট শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৬৫। বরাদ্দের বিপরীতে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৪১টি প্রকল্প নেয় কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। আর এবারই প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে সরাসরি শ্রমিকের কাছে মজুরি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আরও জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে শ্রমিকেরা তাঁদের আংশিক মজুরি পেয়েছেন। কিন্তু দেউলাবাড়ি, ঘাটাইল, সাগরদীঘি ও লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ৩৪৪ জন শ্রমিক তাঁদের মজুরি এখনো পাননি। ঈদের আগে মজুরির টাকা না পেলে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন এসব শ্রমিক। মজুরি না পাওয়া শ্রমিকের মধ্যে রয়েছে দেউলাবাড়ি ইউনিয়নে ৮৭ জন, ঘাটাইল ইউনিয়নে ৫১, সাগরদীঘি ইউনিয়নে ৮২ এবং লক্ষিন্দর ইউনিয়নে ১২৪ জন। টাকার হিসাবে যা ৫৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।
লক্ষিন্দর ইউনিয়নের দুলালিয়া গ্রামের শ্রমিক জামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই মাস অইলো কাম শেষ অইছে। এহনও টেহার (টাকা) কোন খবর নাই।’ একই গ্রামের রোকেয়া বেগম বলেন, ‘শরীর বালা না। টেহা পয়সার খুব দরকার। আমাগো কষ্টের কথা কারে কমু। চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গেলে কয় মোবাইলে টেহা আইবো। বারে বারে মোবাইল দেহি, টেহা আর আহে না। টেহা না পাইলে ঈদটাই মাটি অবো।’ বানেছা বেগম বলেন, ‘কাম করছি দুই মাস অইলো। এহনো টেহা পাই নাই।’
এদিকে লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাহাদুর মিয়া বলেন, ‘শ্রমিকেরা শুধু হাত দিয়ে মারতেই আসেন না, আর সব করে।’ সাগরদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার জানান, শ্রমিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে বসে থাকেন টাকার জন্য। শ্রমিকের ধারণা, তিনি টাকা আটকিয়ে রেখেছেন। তাই বাধ্য হয়ে কিছু কিছু শ্রমিককে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আগে শ্রমিকেরা ব্যাংকের মাধ্যমে মজুরির টাকা পেতেন। এ বছর তাঁরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি মজুরির টাকা পাচ্ছেন। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মজুরির টাকা পেতে দেরি হচ্ছে। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টির সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।
ঘাটাইল উপজেলায় গত ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হলেও ৪ ইউনিয়নের ৩৪৪ জন শ্রমিক এখনো কোনো মজুরি পাননি। তাঁরা সরকারের অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মজুরির টাকা পেতে দেরি হচ্ছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারের অতি দরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের (৪০ দিনের কর্মসূচি) আওতায় ঘাটাইলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবারের কর্মসূচিতে শ্রমিকপ্রতি দৈনিক বরাদ্দ ছিল ৪০০ টাকা।
সেই হিসাবে মোট শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৬৫। বরাদ্দের বিপরীতে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৪১টি প্রকল্প নেয় কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। আর এবারই প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে সরাসরি শ্রমিকের কাছে মজুরি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আরও জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে শ্রমিকেরা তাঁদের আংশিক মজুরি পেয়েছেন। কিন্তু দেউলাবাড়ি, ঘাটাইল, সাগরদীঘি ও লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ৩৪৪ জন শ্রমিক তাঁদের মজুরি এখনো পাননি। ঈদের আগে মজুরির টাকা না পেলে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন এসব শ্রমিক। মজুরি না পাওয়া শ্রমিকের মধ্যে রয়েছে দেউলাবাড়ি ইউনিয়নে ৮৭ জন, ঘাটাইল ইউনিয়নে ৫১, সাগরদীঘি ইউনিয়নে ৮২ এবং লক্ষিন্দর ইউনিয়নে ১২৪ জন। টাকার হিসাবে যা ৫৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।
লক্ষিন্দর ইউনিয়নের দুলালিয়া গ্রামের শ্রমিক জামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই মাস অইলো কাম শেষ অইছে। এহনও টেহার (টাকা) কোন খবর নাই।’ একই গ্রামের রোকেয়া বেগম বলেন, ‘শরীর বালা না। টেহা পয়সার খুব দরকার। আমাগো কষ্টের কথা কারে কমু। চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গেলে কয় মোবাইলে টেহা আইবো। বারে বারে মোবাইল দেহি, টেহা আর আহে না। টেহা না পাইলে ঈদটাই মাটি অবো।’ বানেছা বেগম বলেন, ‘কাম করছি দুই মাস অইলো। এহনো টেহা পাই নাই।’
এদিকে লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাহাদুর মিয়া বলেন, ‘শ্রমিকেরা শুধু হাত দিয়ে মারতেই আসেন না, আর সব করে।’ সাগরদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার জানান, শ্রমিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে বসে থাকেন টাকার জন্য। শ্রমিকের ধারণা, তিনি টাকা আটকিয়ে রেখেছেন। তাই বাধ্য হয়ে কিছু কিছু শ্রমিককে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আগে শ্রমিকেরা ব্যাংকের মাধ্যমে মজুরির টাকা পেতেন। এ বছর তাঁরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি মজুরির টাকা পাচ্ছেন। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মজুরির টাকা পেতে দেরি হচ্ছে। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টির সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪