সম্পাদকীয়
আবদুল হামিদ দিনমজুর। বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুলবাড়ি গ্রামে। মেয়ে হাসনা হেনা বিয়ের বয়সী হতেই তাঁকে বিয়ে দেন, সেটা চার বছর আগে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঘৃলাই সরকারপাড়া গ্রামের ময়নালের সঙ্গে হাসনা হেনার বিয়ে হয়। মেয়ে সুখে থাকবেন—এ আশায় আবদুল হামিদ মেয়ের বিয়ের সময় ঘরের আসবাবসহ দুই লাখ টাকা দেন।
খুব কষ্টে ধারদেনা করে বিয়ের সময় এতগুলো টাকা জোগাড় করতে হয়েছে। চার বছর পর এখনো সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি হাসনার বাবা হামিদ। এদিকে মেয়ের সুখের দিন শেষ হয়ে এসেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরও টাকা চায়, আরও দুই লাখ টাকা!
এত টাকা কোথা থেকে দেবেন অসহায় বাবা? বাবার অবস্থা জেনে মেয়ে আবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কথার অবাধ্য হওয়ায় ময়নাল তাঁর স্ত্রীকে লাঠিপেটা করেন। শুধু ময়নাল নন, হাসনাকে মানসিক আর শারীরিক নির্যাতন করেন তাঁর মা-বাবাও। ছেলের বউকে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে একটুও হাত কাঁপেনি শ্বশুর-শাশুড়ির। মারধরের ব্যথা নিয়ে তিন দিন ঘরে বন্দী থাকলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন চিকিৎসা নিতে দেননি হাসনাকে।
মেয়ের এই কষ্টের খবর পেয়ে বাবার কি আর মন মানে? তিন দিন পর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম আছে। সেরে উঠতে সময় লাগবে। কিন্তু হাসনার মনের আঘাত কি আদৌ সারবে?
আবদুল হামিদ তাঁর মেয়ের ওপর নির্যাতনের বিচার চান। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি চান। তিনি এরই মধ্যে বদরগঞ্জ থানায় জামাতা ময়নাল হক, তাঁর মা-বাবাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এতক্ষণ যে ঘটনাটা জানলেন, তা কোনো নাটক বা চলচ্চিত্রের গল্প নয়। উপন্যাসের প্লটও নয়। এত প্রচার-প্রচারণার পরেও এখনো আমাদের দেশে যে যৌতুক প্রথা রয়ে গেছে, তার উদাহরণ এ খবরটি প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়। ১৯৮০ সালে যৌতুকের বিরুদ্ধে আইন হয়েছে। ধরা পড়লে শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে। তবু একশ্রেণির বিবেকহীন মানুষ যৌতুক চেয়ে অমানুষের মতো আচরণ করছে। স্ত্রীকে নির্যাতনের এমন অসংখ্য উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে।
কিন্তু এমন ঘটনায় প্রথম অপরাধ করেন সেই ব্যক্তি, যিনি যৌতুক দেন। যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া—দুটোই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কথাটা ভুলে গেলে চলবে না। আবদুল হামিদরা যদি যৌতুক দেওয়া বন্ধ করেন, ময়নাল হকরাও নিশ্চয়ই অপরাধ করতে পারবেন না; অর্থাৎ ময়নাল হকদের প্রকৃত রূপ দেখে মেয়ের বিয়ে না দিলে হাসনারা বরং সত্যিকারের সুখী হবেন।
নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ এই যৌতুক প্রথা। নিঃসন্দেহে পুরুষতান্ত্রিক আচরণ। এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া খুব দুরূহ, যেখানে ‘যৌতুক নেওয়া অহেতুক’ নীতি মেনে নারীকে সম্মান করতে শেখানো হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা পরিহার করে নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। অভিভাবকদেরও যৌতুকবিরোধী মনোভাব থাকতে হবে।
আবদুল হামিদ দিনমজুর। বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুলবাড়ি গ্রামে। মেয়ে হাসনা হেনা বিয়ের বয়সী হতেই তাঁকে বিয়ে দেন, সেটা চার বছর আগে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঘৃলাই সরকারপাড়া গ্রামের ময়নালের সঙ্গে হাসনা হেনার বিয়ে হয়। মেয়ে সুখে থাকবেন—এ আশায় আবদুল হামিদ মেয়ের বিয়ের সময় ঘরের আসবাবসহ দুই লাখ টাকা দেন।
খুব কষ্টে ধারদেনা করে বিয়ের সময় এতগুলো টাকা জোগাড় করতে হয়েছে। চার বছর পর এখনো সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি হাসনার বাবা হামিদ। এদিকে মেয়ের সুখের দিন শেষ হয়ে এসেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরও টাকা চায়, আরও দুই লাখ টাকা!
এত টাকা কোথা থেকে দেবেন অসহায় বাবা? বাবার অবস্থা জেনে মেয়ে আবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কথার অবাধ্য হওয়ায় ময়নাল তাঁর স্ত্রীকে লাঠিপেটা করেন। শুধু ময়নাল নন, হাসনাকে মানসিক আর শারীরিক নির্যাতন করেন তাঁর মা-বাবাও। ছেলের বউকে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে একটুও হাত কাঁপেনি শ্বশুর-শাশুড়ির। মারধরের ব্যথা নিয়ে তিন দিন ঘরে বন্দী থাকলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন চিকিৎসা নিতে দেননি হাসনাকে।
মেয়ের এই কষ্টের খবর পেয়ে বাবার কি আর মন মানে? তিন দিন পর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম আছে। সেরে উঠতে সময় লাগবে। কিন্তু হাসনার মনের আঘাত কি আদৌ সারবে?
আবদুল হামিদ তাঁর মেয়ের ওপর নির্যাতনের বিচার চান। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি চান। তিনি এরই মধ্যে বদরগঞ্জ থানায় জামাতা ময়নাল হক, তাঁর মা-বাবাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এতক্ষণ যে ঘটনাটা জানলেন, তা কোনো নাটক বা চলচ্চিত্রের গল্প নয়। উপন্যাসের প্লটও নয়। এত প্রচার-প্রচারণার পরেও এখনো আমাদের দেশে যে যৌতুক প্রথা রয়ে গেছে, তার উদাহরণ এ খবরটি প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়। ১৯৮০ সালে যৌতুকের বিরুদ্ধে আইন হয়েছে। ধরা পড়লে শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে। তবু একশ্রেণির বিবেকহীন মানুষ যৌতুক চেয়ে অমানুষের মতো আচরণ করছে। স্ত্রীকে নির্যাতনের এমন অসংখ্য উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে।
কিন্তু এমন ঘটনায় প্রথম অপরাধ করেন সেই ব্যক্তি, যিনি যৌতুক দেন। যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া—দুটোই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কথাটা ভুলে গেলে চলবে না। আবদুল হামিদরা যদি যৌতুক দেওয়া বন্ধ করেন, ময়নাল হকরাও নিশ্চয়ই অপরাধ করতে পারবেন না; অর্থাৎ ময়নাল হকদের প্রকৃত রূপ দেখে মেয়ের বিয়ে না দিলে হাসনারা বরং সত্যিকারের সুখী হবেন।
নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ এই যৌতুক প্রথা। নিঃসন্দেহে পুরুষতান্ত্রিক আচরণ। এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া খুব দুরূহ, যেখানে ‘যৌতুক নেওয়া অহেতুক’ নীতি মেনে নারীকে সম্মান করতে শেখানো হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা পরিহার করে নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। অভিভাবকদেরও যৌতুকবিরোধী মনোভাব থাকতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪