তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
ঢাকা ওয়াসা ৪০টি খালের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২৯টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১১টি খালের দায়িত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা জেলা প্রশাসনের নথিপত্রে আটটি খালের উল্লেখ আছে। তবে ডিএনসিসির কাছে হস্তান্তর করা ২৯টি খালের মধ্যে বাস্তবে পাওয়া গেছে ১৬টি। ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি এসব খালের দায়িত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত সাতটিতে নামকাওয়াস্তে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, সঠিক মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ ধরনের অভিযানে সুফল আসবে না। এগুলো অনেকটাই ‘লোক দেখানো’ কার্যক্রম।
এ বিষয়ে নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে খালের দায়িত্ব জনপ্রতিনিধির হাতে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু করপোরেশন খালের মহাপরিকল্পনা না করে উদ্ধারের নাটক শুরু করেছে।’
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, ছোট-বড় ১১টি খাল নিয়ে ডিএসসিসি কাজ করছে। ডিএসসিসি ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন-চারটি খালে পরিষ্কার ও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। ডিএসসিসির আওতাধীন নন্দীপাড়া-ত্রিমোহিনী খালের অংশে মাদারটেক এলাকায় টিনের ঘর, চায়ের দোকান, মুদিদোকানসহ নানা রকম দোকান, নন্দীপাড়া মসজিদের একটি অংশ, কিছু বাসা-বাড়িও আছে। রামচন্দ্রপুর খালের আরএস ৫৯২ দাগে দশমিক ৪২ একর, আরএস ৫৯৫ দাগে দশমিক ৪ একর, আরএস ১৮৭৪ দাগে দশমিক ৩০ একর জমি বেদখল আছে।
ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খাল সংস্কার প্রকল্পের দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকেরকে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকৌশলী আরও দুটি বড় প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন। ওই সব প্রকল্পে ব্যর্থতার জন্য নানা সময়ে কর্তৃপক্ষ তাঁকে তিরস্কার করেছে। ফলে খাল ব্যবস্থাপনার মতো জটিল কাজে খুব একটা আশানুরূপ ফল আসছে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রকৌশলী খায়রুল বাকেরকে গত এক সপ্তাহে ছয়বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খালের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে জিরানী খাল, মান্ডা খালে অভিযান পরিচালনা করেছি। সম্প্রতি কালুনগর খালের বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে সব খালেই অভিযান পরিচালনা করব। এখন পানি আইন অনুযায়ী ও দৃশ্যমান চিত্র বিবেচনা করেই সব করা হচ্ছে।’
জান যায়, ডিএনসিসি সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেছে। তবে কাঁটাসুর খালের ১ নম্বর মৌজায় দশমিক ৬১ একর, সুলতানগঞ্জ মৌজায় কিছু অংশ অবৈধ দখলে আছে। কামরাঙ্গীরচর খালেও টিনের ছাপড়া ও আধা পাকা বাড়ির মতো স্থাপনা দেখা যায়। ইব্রাহিমপুর খালে বহুতল ভবনের কিছু অংশ আছে। রূপনগর খালে ডিএনসিসি কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও নকশা অনুযায়ী পুরোটা এখনো বুঝে পায়নি। কালশী খালও সম্প্রতি ডিএনসিসি অবৈধ দখলমুক্ত করেছে। প্যারিস খালের কোনো অংশেই প্রকৃত প্রশস্ততা নেই। বাইশটেকী খালের বেশ কিছু অংশ ভরাট করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠান। মিরপুরে বাউনিয়া খালের বিভিন্ন অংশ দখল করে রেখেছে স্থানীয় লোকজন। পূর্ব ধোলাই পাড়ে কুতুবখালী খালের একাংশ অবৈধ দখলে আছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি, সিএস দাগে খালগুলো যেমন ছিল, তা এখন নেই। আমরা চিন্তা করে দেখেছি, ঢাকা শহর বাঁচাতে হলে সিএস অনুযায়ী খাল উদ্ধার না করলে হবে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু খালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে। প্রতিটি খাল আগের কাগজপত্র অনুযায়ী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, একটি সমন্বিত উদ্যোগের জন্যই সিটি করপোরেশনের হাতে খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে জনসম্পৃক্ততায় উদ্ধার-পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা যায়। বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, সিএস নকশা ধরে খাল উদ্ধার করা হবে। সেটাও সম্ভব। কিন্তু এর জন্য কোনো প্রস্তুতি নেই। শুধু মুখে মুখে বলে যাচ্ছে। এখানে আসলে কোনো কাজ হবে না।
ঢাকা ওয়াসা ৪০টি খালের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২৯টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১১টি খালের দায়িত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা জেলা প্রশাসনের নথিপত্রে আটটি খালের উল্লেখ আছে। তবে ডিএনসিসির কাছে হস্তান্তর করা ২৯টি খালের মধ্যে বাস্তবে পাওয়া গেছে ১৬টি। ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি এসব খালের দায়িত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত সাতটিতে নামকাওয়াস্তে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, সঠিক মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ ধরনের অভিযানে সুফল আসবে না। এগুলো অনেকটাই ‘লোক দেখানো’ কার্যক্রম।
এ বিষয়ে নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে খালের দায়িত্ব জনপ্রতিনিধির হাতে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু করপোরেশন খালের মহাপরিকল্পনা না করে উদ্ধারের নাটক শুরু করেছে।’
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, ছোট-বড় ১১টি খাল নিয়ে ডিএসসিসি কাজ করছে। ডিএসসিসি ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন-চারটি খালে পরিষ্কার ও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। ডিএসসিসির আওতাধীন নন্দীপাড়া-ত্রিমোহিনী খালের অংশে মাদারটেক এলাকায় টিনের ঘর, চায়ের দোকান, মুদিদোকানসহ নানা রকম দোকান, নন্দীপাড়া মসজিদের একটি অংশ, কিছু বাসা-বাড়িও আছে। রামচন্দ্রপুর খালের আরএস ৫৯২ দাগে দশমিক ৪২ একর, আরএস ৫৯৫ দাগে দশমিক ৪ একর, আরএস ১৮৭৪ দাগে দশমিক ৩০ একর জমি বেদখল আছে।
ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খাল সংস্কার প্রকল্পের দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকেরকে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকৌশলী আরও দুটি বড় প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন। ওই সব প্রকল্পে ব্যর্থতার জন্য নানা সময়ে কর্তৃপক্ষ তাঁকে তিরস্কার করেছে। ফলে খাল ব্যবস্থাপনার মতো জটিল কাজে খুব একটা আশানুরূপ ফল আসছে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রকৌশলী খায়রুল বাকেরকে গত এক সপ্তাহে ছয়বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খালের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে জিরানী খাল, মান্ডা খালে অভিযান পরিচালনা করেছি। সম্প্রতি কালুনগর খালের বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে সব খালেই অভিযান পরিচালনা করব। এখন পানি আইন অনুযায়ী ও দৃশ্যমান চিত্র বিবেচনা করেই সব করা হচ্ছে।’
জান যায়, ডিএনসিসি সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেছে। তবে কাঁটাসুর খালের ১ নম্বর মৌজায় দশমিক ৬১ একর, সুলতানগঞ্জ মৌজায় কিছু অংশ অবৈধ দখলে আছে। কামরাঙ্গীরচর খালেও টিনের ছাপড়া ও আধা পাকা বাড়ির মতো স্থাপনা দেখা যায়। ইব্রাহিমপুর খালে বহুতল ভবনের কিছু অংশ আছে। রূপনগর খালে ডিএনসিসি কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও নকশা অনুযায়ী পুরোটা এখনো বুঝে পায়নি। কালশী খালও সম্প্রতি ডিএনসিসি অবৈধ দখলমুক্ত করেছে। প্যারিস খালের কোনো অংশেই প্রকৃত প্রশস্ততা নেই। বাইশটেকী খালের বেশ কিছু অংশ ভরাট করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠান। মিরপুরে বাউনিয়া খালের বিভিন্ন অংশ দখল করে রেখেছে স্থানীয় লোকজন। পূর্ব ধোলাই পাড়ে কুতুবখালী খালের একাংশ অবৈধ দখলে আছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি, সিএস দাগে খালগুলো যেমন ছিল, তা এখন নেই। আমরা চিন্তা করে দেখেছি, ঢাকা শহর বাঁচাতে হলে সিএস অনুযায়ী খাল উদ্ধার না করলে হবে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু খালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে। প্রতিটি খাল আগের কাগজপত্র অনুযায়ী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, একটি সমন্বিত উদ্যোগের জন্যই সিটি করপোরেশনের হাতে খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে জনসম্পৃক্ততায় উদ্ধার-পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা যায়। বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, সিএস নকশা ধরে খাল উদ্ধার করা হবে। সেটাও সম্ভব। কিন্তু এর জন্য কোনো প্রস্তুতি নেই। শুধু মুখে মুখে বলে যাচ্ছে। এখানে আসলে কোনো কাজ হবে না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪