জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর
মির্জাপুরের সৈয়দপুর এলাকায় বংশাই নদের পাড় ঘেঁষে একই স্থানে গড়ে উঠেছে ১১টি ইটভাটা। এসব ইটভাটার বর্জ্যে বংশাই নদ প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া ইটভাটার রাবিশ, আধলা ও মাটি ফেলে নদের পাড়ের জায়গা ভরাট করা হয়েছে। এর ফলে পরিবর্তিত হচ্ছে বংশাই নদের গতিপথ। এতে অপর পাড়ে ভাঙনে সরকারি বনভূমি বিলীন হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তবে ইটভাটা মালিকদের দাবি, নদের পাড়ের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে তাঁরা ভাটা করেছেন। এ ছাড়া বংশাই নদের যে দূষণ দেখা দিয়েছে, তা ইটভাটার বর্জ্যে নয় বরং কলকারখানার বর্জ্যের কারণে হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট করে। এতে হাইকোর্টের আদেশে দেশের সব নদ-নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য নদী রক্ষা কমিশনকে আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করেন। কোর্ট নদ-নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে তা রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। এর পর থেকে নদের এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তারপরও ইটভাটা বন্ধ হচ্ছে না। নানা কৌশলে বছরের পর বছর ইটভাটার মালিকেরা নদ-নদীর তীর ঘেঁষে তাঁদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু নদের তীরে ইটভাটা স্থাপনই নয়, বরং তাঁরা কৌশলে প্রতিবছর ইটভাটাসংলগ্ন নদীপাড় ইটের রাবিশ, আধলা ও মাটি ফেলে ভরাট করে চলেছেন।
উপজেলার হাঁটুভাঙা সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশে গড়ে ওঠা ১১টি ইটভাটার অধিকাংশের বিরুদ্ধে বংশাই নদ ভরাটের অভিযোগ রয়েছে। ওই এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর পশ্চিম পাশসংলগ্ন কেবিএম ও পূর্ব পাশে সান ইটভাটা গড়ে উঠেছে। সান ইটভাটাসংলগ্ন রয়েছে কেবিএম, এসবিসি, এসবিএম, এইচবিএম, কেইউবি, এইচবিবি-২, এএমবি, এবিএম, কেবিএম-২ নামের ইটভাটা। এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়া নদের পাড়ের পরিবেশ দূষণ এবং বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, ভাটার জায়গা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল থাকায় তারা কৌশলে নদ ভরাট করে চলেছে।
এদিকে ওই ১১ ইটভাটা ছাড়াও বংশাই নদের গোড়াই, হাঁটুভাঙা, বেলতৈল, সৈয়দপুর, কোদালিয়া, ভুলুয়া, চাঁনপুর এলাকার পাড় ঘেঁষে আরও ২০-২৫টি ইটভাটা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা ইট তৈরির মাটি সংগ্রহ করে ভাটায় নদের পাড়সংলগ্ন ঢালুতে উঁচু করে জমা করে রাখছেন। পরে ভেকু মেশিনের সাহায্যে এসব মাটি দিয়ে নদের পাড় ভরাট করে ভাটার জমি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তা ছাড়া, রাবিশ ও আধলা ইট ফেলেও ভরাট করা হচ্ছে। ফলে ওই এলাকায় নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে অপর প্রান্তে সরকারি বনভূমি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈয়দপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কয়েক বছর আগেও বংশাই নদের পানি ছিল বেশ পরিষ্কার। সারা বছর মাছ পাওয়া যেত। ইটভাটার ধোঁয়ার সঙ্গে বের হওয়া ছাইয়ের কারণে নদের পানির ওপর কালো স্তর পড়ে থাকে। পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ইটভাটার অধিকাংশের নেই লাইসেন্স। আবার লাইসেন্স থাকলেও তা নবায়ন করা হচ্ছে না বছরের পর বছর। তবে এসব ইটভাটার মালিকেরা বলছেন, এ নিয়ে অভিযান চলবে, অভিযান চললে জরিমানা দিতে হবে—এসব মেনে নিয়েই ইটভাটা করেছেন তাঁরা।
সান ব্রিকসের মালিক সুলতান আহমেদ খান বলেন, এর আগে স্থানীয় এসি ল্যান্ড অফিস থেকে এসে নদের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেই মাপের মধ্যে থেকে তাঁরা ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসবিএম ব্রিকসের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২০ বছর ধরে আমরা এই জায়গায় ইটভাটা করেছি।’ নদ ভরাটের বিষয়ে বলেন, ‘মাটির অনেক দাম। মাটি দিয়ে নদ ভরাট করতে যাব কোন দুঃখে।’
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে নদের দখলের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের জেলা কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, নদের তীরে ইটভাটা স্থাপন করে পরিবেশদূষণ করলে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুরের সৈয়দপুর এলাকায় বংশাই নদের পাড় ঘেঁষে একই স্থানে গড়ে উঠেছে ১১টি ইটভাটা। এসব ইটভাটার বর্জ্যে বংশাই নদ প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া ইটভাটার রাবিশ, আধলা ও মাটি ফেলে নদের পাড়ের জায়গা ভরাট করা হয়েছে। এর ফলে পরিবর্তিত হচ্ছে বংশাই নদের গতিপথ। এতে অপর পাড়ে ভাঙনে সরকারি বনভূমি বিলীন হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তবে ইটভাটা মালিকদের দাবি, নদের পাড়ের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে তাঁরা ভাটা করেছেন। এ ছাড়া বংশাই নদের যে দূষণ দেখা দিয়েছে, তা ইটভাটার বর্জ্যে নয় বরং কলকারখানার বর্জ্যের কারণে হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট করে। এতে হাইকোর্টের আদেশে দেশের সব নদ-নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য নদী রক্ষা কমিশনকে আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করেন। কোর্ট নদ-নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে তা রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। এর পর থেকে নদের এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তারপরও ইটভাটা বন্ধ হচ্ছে না। নানা কৌশলে বছরের পর বছর ইটভাটার মালিকেরা নদ-নদীর তীর ঘেঁষে তাঁদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু নদের তীরে ইটভাটা স্থাপনই নয়, বরং তাঁরা কৌশলে প্রতিবছর ইটভাটাসংলগ্ন নদীপাড় ইটের রাবিশ, আধলা ও মাটি ফেলে ভরাট করে চলেছেন।
উপজেলার হাঁটুভাঙা সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশে গড়ে ওঠা ১১টি ইটভাটার অধিকাংশের বিরুদ্ধে বংশাই নদ ভরাটের অভিযোগ রয়েছে। ওই এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর পশ্চিম পাশসংলগ্ন কেবিএম ও পূর্ব পাশে সান ইটভাটা গড়ে উঠেছে। সান ইটভাটাসংলগ্ন রয়েছে কেবিএম, এসবিসি, এসবিএম, এইচবিএম, কেইউবি, এইচবিবি-২, এএমবি, এবিএম, কেবিএম-২ নামের ইটভাটা। এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়া নদের পাড়ের পরিবেশ দূষণ এবং বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, ভাটার জায়গা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল থাকায় তারা কৌশলে নদ ভরাট করে চলেছে।
এদিকে ওই ১১ ইটভাটা ছাড়াও বংশাই নদের গোড়াই, হাঁটুভাঙা, বেলতৈল, সৈয়দপুর, কোদালিয়া, ভুলুয়া, চাঁনপুর এলাকার পাড় ঘেঁষে আরও ২০-২৫টি ইটভাটা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা ইট তৈরির মাটি সংগ্রহ করে ভাটায় নদের পাড়সংলগ্ন ঢালুতে উঁচু করে জমা করে রাখছেন। পরে ভেকু মেশিনের সাহায্যে এসব মাটি দিয়ে নদের পাড় ভরাট করে ভাটার জমি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তা ছাড়া, রাবিশ ও আধলা ইট ফেলেও ভরাট করা হচ্ছে। ফলে ওই এলাকায় নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে অপর প্রান্তে সরকারি বনভূমি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৈয়দপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কয়েক বছর আগেও বংশাই নদের পানি ছিল বেশ পরিষ্কার। সারা বছর মাছ পাওয়া যেত। ইটভাটার ধোঁয়ার সঙ্গে বের হওয়া ছাইয়ের কারণে নদের পানির ওপর কালো স্তর পড়ে থাকে। পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ইটভাটার অধিকাংশের নেই লাইসেন্স। আবার লাইসেন্স থাকলেও তা নবায়ন করা হচ্ছে না বছরের পর বছর। তবে এসব ইটভাটার মালিকেরা বলছেন, এ নিয়ে অভিযান চলবে, অভিযান চললে জরিমানা দিতে হবে—এসব মেনে নিয়েই ইটভাটা করেছেন তাঁরা।
সান ব্রিকসের মালিক সুলতান আহমেদ খান বলেন, এর আগে স্থানীয় এসি ল্যান্ড অফিস থেকে এসে নদের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেই মাপের মধ্যে থেকে তাঁরা ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসবিএম ব্রিকসের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘২০ বছর ধরে আমরা এই জায়গায় ইটভাটা করেছি।’ নদ ভরাটের বিষয়ে বলেন, ‘মাটির অনেক দাম। মাটি দিয়ে নদ ভরাট করতে যাব কোন দুঃখে।’
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে নদের দখলের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের জেলা কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, নদের তীরে ইটভাটা স্থাপন করে পরিবেশদূষণ করলে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪