Ajker Patrika

চার বছরেও হয়নি স্কুল ভবন, পাঠদান ব্যাহত

শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
চার বছরেও হয়নি স্কুল ভবন, পাঠদান ব্যাহত

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার খোদাই বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনসংকটে ব্যাহত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান। এতে শ্রেণিকক্ষে আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, চার বছর আগে স্কুলের দোতলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেননি। এতে টিনশেডের পুরোনো কক্ষেই চলছে সব শ্রেণির পাঠদান। গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে আছেন ঠিকাদার মো. মিজান শেখ।

স্কুলের আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিচতলার একটি শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে ফেলেছেন বহিরাগতরা। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর স্কুলের ওই কক্ষে বসে মাদক ও জুয়ার আসর। চলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডও।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে খোদাই বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য একতলা ভবন নির্মাণ হলে পুরো ভবন ছেড়ে নতুন ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৮ সালে ভবনটির দোতলার নির্মাণকাজের সুবিধার্থে শিক্ষার্থীদের আগের টিনশেডের কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কাজ শুরুর চার বছর পার হলেও ঠিকাদার মো. মিজান শেখ কাজ সম্পন্ন করেননি। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে নতুন ভবনের বেহাল চিত্র চোখে পড়েছে। দেখা যায়, ভবনের আশপাশে আগাছা ও ঝোপ-জঙ্গলে ভরে গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম মিয়া বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভবন নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদের কাজের ধীরগতির বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ঠিকাদার মিজানকে অনেকবার বলা হয়েছে। তিনি কথা শোনেন না।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মিজান শেখের সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া দেননি তিনি।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় আলোচনা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত