Ajker Patrika

ফুল কাননে সুবাস পেতে

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ১৩: ২০
Thumbnail image

ফুলের রাজধানীখ্যাত ঝিকরগাছার গদখালীর অদূরে ফুল কানন পানিসারা-হাড়িয়া মোড় পর্যন্ত পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এ এলাকার ফুলখেত দেখতে হাজারো মানুষ ঘুরতে আসেন। এখানে গড়ে উঠেছে আধুনিক রেস্তোরাঁ ও বিনোদন কেন্দ্র। তাই জমির দাম বেড়ে গেছে ৭-৮ গুণ পর্যন্ত।

এমনকি বিশেষ দিবসগুলোতে ফুলচাষিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং বাড়তি আয়ের জন্য টিকিটেরও ব্যবস্থা করছেন। শুধু তাই নয়, পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে ভিড় সামলাতে পুলিশ রাখতে হয়। বিশেষ করে ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের আগমন এত বেশি বেড়ে যায় তা সামাল দিতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়।

২০০৮ সালে ফুল কানন পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে প্রথম ফুল বিক্রি করা শুরু করেছিলেন লিটন হোসেন। ছোট একটি কাঠের টং দোকানে ফুল বিক্রি করা সেই মোড়ে এখন প্রায় দেড় শ ফুলের দোকান হয়েছে। এসব দোকানের অধিকাংশ আধা পাকা ও দৃষ্টি নন্দন করে সাজানো হয়েছে।

লিটন হোসেন বলেন, ‘প্রথম যখন ফুল বিক্রি করতে দোকান বসিয়েছিলাম তখন সারা দিনে দেড়-দুই শ টাকা বেচা-কেনা হতো। আর এখন এত দোকান তারপরও প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতে পারি। আর কোনো বিয়ে বা অনুষ্ঠানে ফুল সরবরাহের অর্ডার পেলে ৫০-৬০ হাজার টাকাও বেচা-কেনা হয় এক দিনে।’

গত রোববার গোলাপ ফুলের বাগানে দেখা হয় খুলনা থেকে আসা তনুশ্রী ঘোষ নামের এক দর্শনার্থীর সঙ্গে। তিনি পরিবারের সবার সঙ্গে ফুল খেত দেখতে এসেছেন। তনুশ্রী বলেন, ‘ফুলখেত দেখতে প্রথমবার এসেছি। এখানে নানা ধরনের ফুলখেত রয়েছে। অনেক আনন্দ করেছি পরিবারের সঙ্গে।’

জারবেরা খেতে ঘুরতে দেখা যায় নাজমুল হাসান বাপ্পি নামে একজনকে। তিনি বরিশাল থেকে এসেছেন ফুলের রাজধানী গদখালী ঘুরে দেখতে। বাপ্পি বলেন, ‘গদখালীর ফুলবাগান নিয়ে পত্রিকায় অনেক খবর পড়েছি, টিভিতে দেখেছি। তাই সরাসরি ফুলখেত দেখতে এসেছি। ফুলখেত দেখে ভালো লেগেছে।’

নুরনবী বলে, ‘প্রতিদিন ৬-৭ হাজার টাকার বেচা-কেনা হয়। তবে বন্ধের দিন ১০-১২ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারি।’

পানিসারা-হাড়িয়া মাঠে ফুলের খেতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে টাকা নেওয়া হয়। এতেই অনেক টাকা আয় হচ্ছে খেত মালিকদের। হাড়িয়া গ্রামের নূর জাহান বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির গোলাপ খেতে ঢুকতে ভালোবাসা দিবসে ১০ টাকা করে নিয়ে ১৭ হাজার টাকা আয় হয়েছিল।’

পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে ২৬ শতকের একখণ্ড জমির মালিক পানিসারা গ্রামের আরশাদ আলী। আড়াই বছর আগে কেনা জমিটির দাম এখন ৭-৮ গুণ বেড়ে গেছে।

জমির মালিক আরশাদ আলী বলেন, ‘জমিটি আড়াই বছর আগে ২০ লাখ টাকায় কিনে ছিলাম। বর্তমানে সেই জমির দাম দেড় কোটি টাকা উঠেছে।’

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ‘পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে ভিড় সামলাতে পুলিশ রাখতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত