সড়কে খানাখন্দে জনদুর্ভোগ

ঝালকাঠি-কাঠালিয়া-আমুয়া-পাথরঘাটা আঞ্চলিক সড়কের কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি অংশে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এসব গর্তে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারীরা। এ ছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত সড়কটিতে খানাখন্দ থাকায় এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঠালিয়া সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মসজিদের সামনের সড়কে বড় একটি গর্ত হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। দিন-রাত সড়কটি দিয়ে কাঠালিয়া-পাথরঘাটা-ঢাকা, কাঠালিয়া-পাথরঘাটা-চট্টগ্রাম, কাঠালিয়া-খুলনা, কাঠালিয়া-রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটের যানবাহন ও লোকজন চলাচল করে। এ ছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দ ও গর্ত থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডের তাওহিদ স্টোরের মালিক বাবু হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাসস্ট্যান্ডে মসজিদের সামনে বড় একটি গর্ত হয়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে। এতে পানি আটকে থাকায় গাড়ি ও মানুষ চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় বড় গাড়ি গর্তে আটকে থাকতে দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত সড়কটির মধ্যে অনেক দিন থেকে গর্ত হয়ে থাকার কারণে অটো চালাতে অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় গর্তে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার।’

কাঠালিয়া কলেজ রোডের এম আর ইলেকট্রনিকের মালিক মিজানুর রহমান টিটু জানান, কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে বড় একটি গর্ত হয়ে পানি আটকে থাকায় গাড়ি ও মানুষ চলাচল করতে ভোগান্তি হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত পুরো সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। ছোট-বড় অনেক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে মানুষ চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে।

এ সড়কে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া যাওয়ার জন্য যাত্রীদের মোটরসাইকেল অথবা অটো গাড়ি ব্যবহার করতে হয়। তবে সড়কের অবস্থার খুবই খারাপ। কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে অনেক গর্ত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে খুব ভোগান্তি হয়। অনেকে রাস্তার গর্তের জন্য যাত্রী নিয়ে যেতে চান না।’

পথচারী মেহেদী হাসান বলেন, ‘কাঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে এমন জনদুর্ভোগ খুব দুঃখজনক। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাসস্ট্যান্ডের বড় গর্তে পানি আটকে থাকে। এতে চলাচলে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এ ছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া যেতে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় চলাচল করতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ফলে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হাসান জানান, কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ভান্ডারিয়ার দিকে যে সড়কটি রয়েছে সেটি একটি মেজর প্রোগ্রামে রয়েছে। ওই সড়কের দরপত্র মূল্যায়ন চলছে। আশা করা যায়, আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে কাজ শুরু হবে। তবে আপাতত সড়কটিতে যেসব খানাখন্দ ও গর্ত রয়েছে তা দ্রুত সংস্কার করা হবে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বদু শিকদার বলেন, ‘কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি দ্রুত মেরামত বা সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’