Ajker Patrika

পাটে ন্যায্যমূল্যের আশা

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, ১০: ৪৬
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পাট কাটা এবং জাগ দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এখন জমি থেকে পাট কেটে জাগ দিতে আঁটি বেঁধে পানিতে ডুবানোর কাজ করছেন তাঁরা। কিছুদিন পর জাগ দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়িয়ে পাটকাঠি আলাদা করা হবে। এরপর পাট শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করা হবে। এবার ফলন ভালো হয়েছে, এখন ন্যায্যমূল্য আশা করছেন কৃষকেরা।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের কিছু জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তা কয়েক বছর আগের তুলনায় অনেক কম। আগে যেসব জমিতে পাট চাষ হতো, সেখানে এখন বোরো ও ভুট্টার চাষ হয়। চলতি মৌসুমে সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। কৃষকেরা পাট কেটে খাল-বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানোসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাট চাষ হয়েছে ৭৪০ হেক্টর জমিতে। আর গতবার হয়েছিল ৭৩০ হেক্টর। অর্থাৎ এবার ১০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।

ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের কৃষক মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি এবার ১১২ শতক জমিতে পাট চাষ করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। এখন পাট কাটতে শুরু করেছি। আশা করি, এ বছর পাট আবাদ করে বেশ লাভবান হব। আর পাট কাটার পর এই জমিতেই আমন ধান রোপণ করব।’

বয়রাগাদী ইউনিয়নের কৃষক জয়নাল শেখ বলেন, ‘এখন আষাঢ় মাস হওয়ায় বৃষ্টিতে খাল-বিলে পানি চলে এসেছে। তাই পাট কেটে জাগ দিতে সুবিধা হচ্ছে। সবাই এখন পাট কেটে জাগ দেওয়ার জন্য খালে-বিলে জমা করছি। তাই তাড়াতাড়ি করে পাট কাটা শুরু করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার ১০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কৃষকেরা যাতে স্বল্প খরচে উচ্চফলনশীল পাট উৎপাদন করতে পারেন, তার জন্য প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি আমরা। আশা করি, এবার এ উপজেলায় গত বছরের চেয়ে বেশি উৎপন্ন হবে ও ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ আরও বাড়বে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত