Ajker Patrika

নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই সড়কে ধস

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই সড়কে ধস

নির্মাণের এক বছরে তিন কিলোমিটার সড়কে অন্তত শতাধিক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। মূল সড়কের অংশেও ধরেছে ভাঙন। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে জমে পানি। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এমন বেহাল অবস্থা জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর বাজার ভায়া আদর্শ গ্রাম পর্যন্ত সড়কে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করায় নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, কার্যাদেশ মেনেই সড়কের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

সড়ক নির্মাণকাজের নামফলক সূত্রে জানা গেছে, এই তিন কিলোমিটার পাকা সড়ক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ব্যয় হয় ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ টাকা। দেওয়ানগঞ্জের মেসার্স দুর্গা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের নির্মাণকাজ নেয়। ২০২০ সালের ২৬ মে সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল। এর অল্পকিছু দিনের মধ্যেই দেখা দেয় ভাঙন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে ইট-খোয়া ধসে যাচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক ছোট-বড় গর্তের। নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই সড়কটির ভাঙাচোরা অবস্থা দেখা দেওয়ায় চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে।

এই সড়কে নতুন শাহপাড়া, মরাবন, আদর্শ গ্রাম, ডাকপাড়া এলাকার শিক্ষার্থী, নাপিতেরচর গো-হাটসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। সড়কের খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান, রুবেল, শারমিন, বিপ্লব জানায়, সড়কে গর্ত হওয়ায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতে তাদের কষ্ট হয়। সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন।
শাহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, যেভাবে সড়কের কাজ হওয়ার কথা ছিল, সে অনুযায়ী নির্মাণকাজ হয়নি। ফলে সড়ক ধসের উপক্রম হয়েছে।

আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা মিস্টার মিয়া বলেন, সড়কের নির্মাণকাজ শেষ না হতেই দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ধসে যাচ্ছে ইট-খোয়া। ভাঙাচোরা সড়কই উদ্বোধন করা হয়েছে।
ডাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সবুজ শেখ বলেন, সড়কের ফুটপাত তৈরি না করায় অল্প বৃষ্টিতেই মাটি সরে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়।

ইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার ইদ্রিস আলী সরকার বলেন, সড়কের দুই পাশে ফুটপাত তৈরি করা হয়নি। কাছ থেকে মাটি কেটে সড়ক তৈরি করায় ক্রমেই ভাঙছে। ধসে পড়ছে ইট-খোয়া।

উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘সড়কটি মেরামত করতে এলজিইডি বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আশা করি, দ্রুত সড়ক মেরামত করা হবে।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, কার্যাদেশ মেনেই সড়কের নির্মাণকাজ করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলে সড়ক মেরামতের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত