Ajker Patrika

নাব্যসংকটে ব্রহ্মপুত্রে নৌ চলাচল ব্যাহত

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৪৩
নাব্যসংকটে ব্রহ্মপুত্রে নৌ চলাচল ব্যাহত

নাব্যসংকটে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে কুড়িগ্রাম, চিলমারী, ফকিরের হাট, রৌমারী ও রাজিবপুর নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গত এক মাস ধরে নাব্য সংকট থাকলেও তা উত্তরণে সংশ্লিষ্টরা  কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও নৌকার মাঝিরা। তবে বিআইডব্লিউটিএ থেকে বলা হচ্ছে, বরাদ্দ পেলে দ্রুত খননের কাজ শুরু করা হবে।জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হ্রাস ও নদীর বুকে ছোট ছোট অসংখ্যক চর জেগে ওঠার কারণে পণ্যবাহী বোলগ্রেড রৌমারী বলদমারা, ফকিরের হাট, চিলমারী, কুড়িগ্রাম নৌকা ঘাটে মালামাল নৌপথে রৌমারী আনা যাচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

রৌমারী ফলুয়ারচর নৌকা ঘাটে গিয়ে গতকাল কথা হয় নৌকার মাঝি উজির আলীর সঙ্গে।  তিনি বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে বালু মাটি ভরাট হয়ে ডুবোচর ও চর জেগে ওঠায় মালামাল ও যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলুয়ারচর নৌকাঘাট থেকে চিলমারী, বনগ্রাম ও কুড়িগ্রামের মোঘলবাসা নৌকা ঘাটে যেতে কয়েক স্থানে নৌকা ঠেকে যাচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনকারি নৌকার মাঝিদের।’ 
রৌমারী রাজার বণিক সমিতির সভাপতি প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হ্রাস ও নদীর বুকে ছোট ছোট অসংখ্যক চর জেগে ওঠার কারণে নৌপথে মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে নদী ড্রেজিং না করলে নৌপথে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা ক্ষতির মুখে পড়বে।

উপজেলার খাটিয়ামারি গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, আগে আমরা সকালের নৌকায় কুড়িগ্রাম গিয়ে আদালতের কাজ শেষে বিকেলের নৌকায় বাড়ি আসতে পারতাম এখন আর তা হয় না। ফলে আগের দিন কুড়িগ্রাম গিয়ে থাকতে হয়। এতে করে আমাদের বাড়তি অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে। 
নৌকার মাঝি সাইজুদ্দিন বলেন, আগে রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম যেতে তেল খরচ হতো ১৫ লিটার। এখন খরচ হচ্ছে ১৮ লিটার। চিলমারী যেতে খরচ হতো ১০ লিটার। এখন খরচ হচ্ছে ১২ লিটার। ফলে আমাদের লাভ থাকছে না।

রৌমারী ঘাটের ইজারাদার মাহাতাব হোসেন বলেন, নাব্য সংকটের কারণে আমাদের আয় কমেছে। নদের পানি কমে গিয়ে ডুবো চর সৃষ্টি হওয়ায় উলিপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নসহ রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সঙ্গে চিলমারী, ফকিরের হাট, কুড়িগ্রাম নৌঘাটে নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নাব্যতা সংকট দূর করতে নৌপথ ড্রেজিং করে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে নৌপথ বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা আছে। বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সাংসদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের একটি ডি ও লিটার পেয়েছি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত খননের কাজ শুরু করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত