Ajker Patrika

প্রতি একরে আয় লাখ টাকা

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৪২
প্রতি একরে আয় লাখ টাকা

মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দের কৃষকেরা আগাম ফুলকপি চাষ করে প্রতি একর জমিতে লাখ টাকা আয় করছেন। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করায় এখানে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষে সাফল্য অর্জন করায় ইতিমধ্যে পায়রাবন্দকে সবজি চাষের মডেল ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ৫০০ একর জমিতে ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম উৎপাদন করা হচ্ছে ২০০ একর জমিতে।

কালীগঞ্জ গ্রামের লাভলী বেগম এক বিঘা জমিতে আগাম ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি জানান, তাঁর খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ২০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আরও লক্ষাধিক টাকার সবজি বিক্রি হবে বলে তিনি আশাবাদী।

বিশ্বনাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমও এক একর জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আরও ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। তিনি গত শুক্রবার পর্যন্ত ফুলকপি বিক্রি করেছেন ৬৫ হাজার টাকার। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান আবুল কাশেম। তিনি বলেন, তাঁর খেতে পোকামাকড় দমনে কোনো রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করেননি।

খাঁপুর গ্রামের শাপলা বেগম বলেন, তিনি ২৫ হাজার টাকা খরচ করে ৪০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছেন।

পায়রাবন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পায়রাবন্দকে সবজি চাষের মডেল ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এই ইউনিয়নের ৫০০ চাষিকে সবজি চাষে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এখানে সবজি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এ কারণে এখানকার সবজির চাহিদা বেশি এবং চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।

পরিমল চন্দ্র আরও জানান, ইউনিয়নে ২০০ একর জমিতে আগাম ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। বিষমুক্ত হওয়ায় চাষিরা তাঁদের ফুলকপি বিক্রি করে ভালো আয় করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত