Ajker Patrika

ঈদের আগে চাঙা তাঁত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
Thumbnail image

সিরাজগঞ্জে ইঞ্জিন ও হস্তচালিত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ তাঁত রয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ। জেলার ৯ উপজেলাতেই কম-বেশি তাঁত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কারখানা বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলায়। হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আসন্ন ঈদ সামনে রেখে তাঁতশিল্পীদের দিন কাটছে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। তোষা, জামদানি, কটন জামদানি, হাফ সিল্ক, কাতানসহ বাহারি ও শৈল্পিক কারুকাজের তাঁতের শাড়ি-লুঙ্গি তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত মিলছে না কারিগরদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন তাঁতে তৈরি প্রতিটি শাড়ি প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশ-বিদেশে রপ্তানি হয় এখানকার শাড়ি। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রং, সুতাসহ বিভিন্ন কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শাড়ি-লুঙ্গির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে, কমেছে চাহিদা। এ ছাড়া তাঁতশ্রমিকদের মজুরি তুলনামূলক কম হওয়ায় এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা।

এদিকে পুরুষ শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করছেন নারী শ্রমিকেরাও। শাড়ি, লুঙ্গি তৈরির বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছেন নারীরা।

বেলকুচি এলাকার তাঁতমালিক রহমত আলী বলেন, ‘গত বছর ব্যবসা মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে এবার চাহিদা কিছুটা কম। রং, সুতাসহ অন্যান্য কাঁচা মালের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এ জন্য খুব একটা লাভবান হতে পারছি না।’  

সিরাজগঞ্জ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান মণ্ডল বলেন, সিরাজগঞ্জে সাড়ে ৩ লাখের ওপরে তাঁত রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে ৩ হাজার কোটি টাকার কাপড় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সেভাবে সাড়া মিলছে না। শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রির যে রমরমা ভাব, সেটা নেই। রং, সুতাসহ বিভিন্ন কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শাড়ি-লুঙ্গির উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত