কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ
যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে এত মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটেছে কি না, আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনায় আরও স্পষ্ট হলো, দেশের নৌপরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রীদের সুরক্ষা-ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। লঞ্চে আগুন লাগার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিন্তু এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে কোন জায়গা থেকে আগুন লাগল, আর এত মানুষের প্রাণ গেল সেটা কর্তৃপক্ষের সামনে আনা উচিত। কোনো দুর্ঘটনা ঘটার পর আমাদের টনক নড়ে। তার আগে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিই না।
এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। যার বলি হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আমার জানামতে, বেশির ভাগ লঞ্চেই পর্যাপ্ত বয়া, লাইফ জ্যাকেট, আগুন নেভানোর সরঞ্জাম খুঁজে পাওয়া যাবে না। লঞ্চে আগুন লাগতেই পারে বা কোনো ধরনের সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু বিপদে পড়লে যাত্রীরা কীভাবে লঞ্চ থেকে বের হবেন, তাঁদের জীবন কীভাবে রক্ষা করবেন, সেটার কোনো ব্যবস্থা থাকে না যাত্রীবাহী লঞ্চে। এসব যাত্রীবাহী বাহনে যদি পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট থাকত, সেটা পরে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভেসে থাকতে পারত মানুষ। তাতে এত মানুষের প্রাণহানি হতো না।
দেশের লঞ্চগুলোয় এখন যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়ে ভাববার সময় এসেছে। আমাদের দেশের চলমান লঞ্চগুলোর মধ্যে যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়গুলো এখনো অনিশ্চিত। যার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। ভবিষ্যতে লঞ্চে আগুন লাগলে লঞ্চের মধ্যেই সেই আগুন যেন নেভানো যায়। সে জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লঞ্চের নকশার দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের কোনো কারিগরি ত্রুটি আছে কি না, তা নিয়মিত দেখা উচিত নৌ কর্তৃপক্ষের। লঞ্চের ফিটনেস নিয়মিত নবায়ন করতে হবে। আমার জানামতে, এগুলো নিয়মিত হয় না। এসব বিষয়ে শৃঙ্খলা আনতে হবে। তাহলে যাত্রীবাহী লঞ্চে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। একই সঙ্গে দায়ী লঞ্চমালিকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ, সহকারী অধ্যাপক, বুয়েট ও গবেষক, সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট
যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে এত মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটেছে কি না, আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনায় আরও স্পষ্ট হলো, দেশের নৌপরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রীদের সুরক্ষা-ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। লঞ্চে আগুন লাগার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিন্তু এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে কোন জায়গা থেকে আগুন লাগল, আর এত মানুষের প্রাণ গেল সেটা কর্তৃপক্ষের সামনে আনা উচিত। কোনো দুর্ঘটনা ঘটার পর আমাদের টনক নড়ে। তার আগে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিই না।
এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। যার বলি হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আমার জানামতে, বেশির ভাগ লঞ্চেই পর্যাপ্ত বয়া, লাইফ জ্যাকেট, আগুন নেভানোর সরঞ্জাম খুঁজে পাওয়া যাবে না। লঞ্চে আগুন লাগতেই পারে বা কোনো ধরনের সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু বিপদে পড়লে যাত্রীরা কীভাবে লঞ্চ থেকে বের হবেন, তাঁদের জীবন কীভাবে রক্ষা করবেন, সেটার কোনো ব্যবস্থা থাকে না যাত্রীবাহী লঞ্চে। এসব যাত্রীবাহী বাহনে যদি পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট থাকত, সেটা পরে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভেসে থাকতে পারত মানুষ। তাতে এত মানুষের প্রাণহানি হতো না।
দেশের লঞ্চগুলোয় এখন যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়ে ভাববার সময় এসেছে। আমাদের দেশের চলমান লঞ্চগুলোর মধ্যে যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়গুলো এখনো অনিশ্চিত। যার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। ভবিষ্যতে লঞ্চে আগুন লাগলে লঞ্চের মধ্যেই সেই আগুন যেন নেভানো যায়। সে জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লঞ্চের নকশার দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের কোনো কারিগরি ত্রুটি আছে কি না, তা নিয়মিত দেখা উচিত নৌ কর্তৃপক্ষের। লঞ্চের ফিটনেস নিয়মিত নবায়ন করতে হবে। আমার জানামতে, এগুলো নিয়মিত হয় না। এসব বিষয়ে শৃঙ্খলা আনতে হবে। তাহলে যাত্রীবাহী লঞ্চে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। একই সঙ্গে দায়ী লঞ্চমালিকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ, সহকারী অধ্যাপক, বুয়েট ও গবেষক, সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪