Ajker Patrika

আরবে ব্রিটিশ রানির শেষ পদচিহ্ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
Thumbnail image

ব্রিটিশ রানি হিসেবে রাজকীয় অভিষেকের এক বছরেরও কম সময় পর ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে এডেন বন্দরে এসে নামেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সরাসরি ব্রিটিশ উপনিবেশে থাকা আরবের একমাত্র এলাকা এডেন, যা এখন ইয়েমেনের একটি অংশ। তখনকার একটি ছবিতে দেখা যায়, রানিকে স্বাগত জানাচ্ছেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁকে এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

ওই বছরই প্রথম ও শেষবার এডেনে নাইটহুডের অনুষ্ঠান হয়। নাইটহুড দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় নেতা সাঈদ আবু বকর বিন শেখ আল-কাফকে। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে রানির উদ্দেশে মাথা নত করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের বন্দর এডেন ১৯৩৭ সালে সরাসরি ব্রিটিশের অধীনে চলে আসে। এর আগে ১৮৩৯ সালে এটি দখল করা হয়। তখন থেকে এডেন ব্রিটিশ ভারতের একটি অংশ হিসেবে শাসন করা হতো।

এডেন সরাসরি যুক্তরাজ্যশাসিত এলাকা ছিল। এখানে কোনো স্থানীয় প্রশাসন ছিল না। আধুনিক এবং সবচেয়ে ব্যস্ত শহরের তকমা লেগে ছিল এডেনের সঙ্গে। এই তকমাই আকর্ষণ করেছে ব্রিটিশদের। এডেনের মাধ্যমে তখনই তেল ও গ্যাস খাতে আরবে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল তারা।

তবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এডেন সফরের ১৩ বছর পরই ব্রিটিশদের পালিয়ে যেতে হয় এডেন ছেড়ে। ১৯৬৩ সালে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রতিবাদ।

নিজেদের স্বাধীনতার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা লড়াই শুরু করেন। একসময় সফল হন তাঁরা।

রানির মৃত্যুর পর আবার আলোচনায় এসেছে এই ইয়েমেন। ইয়েমেনের অভিবাসীদের মধ্যে বেশির ভাগ এখন বাস করেন যুক্তরাজ্যে। একসময় ইয়েমেনিদের একটি অংশ ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। থাকত লিভারপুল, শেফিল্ড ও বার্মিংহামে। এখন যাঁরা বাস করছেন, তাঁরা এঁদেরই বংশধর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত