Ajker Patrika

জনকল্যাণের নামে সাঁকো পারাপারে টাকা আদায়

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৬
জনকল্যাণের নামে সাঁকো পারাপারে টাকা আদায়

ইজারা নেওয়ার নাম করে নালার ওপর নির্মিত সাঁকো থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। সাঁকোটি পারাপারে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা, ছোট যান পারাপারে দিতে হচ্ছে ২০ টাকা। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জামেরতল এলাকায় এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রোববার জামেরতল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বর্ষাকালে নালাটি পারাপারে নৌকার প্রয়োজন হলেও শুকনো মৌসুমে সামান্য পানি থাকায় হেঁটেই পার হওয়া যায়। কিন্তু স্থানীয় কথিত ইজারাদার আনিছুর রহমান জনকল্যাণের নামে কোনোমতে কাঠ বসিয়ে ছোট্ট একটি সাঁকো বানিয়ে জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। এতে পথযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। ইজারা ছাড়াই ঘাটমালিক হিসেবে ১০ বছর বয়সী হৃদয় নামের এক শিশুকে দিয়ে এসব অর্থ আদায় করছেন ওই ব্যক্তি।

টাকা নেওয়ার বিষয়ে হৃদয় জানায়, ‘এই ঘাটের ইজারাদার আনিছুর রহমান। তিনি আমাকে সারা দিনের টাকা তোলার বিনিময়ে সামান্য কিছু টাকা পারিশ্রমিক দেন। এ কথা বলে সে সটকে পড়ে।’

এদিকে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনে এই ঘাট ইজারা নেওয়া হয়েছে।’

গাইবান্ধার উদ্দেশে কুড়িগ্রাম থেকে আসা মো. হান্নান মিয়া বলেন, ‘অফিসের কাজে আমি প্রায় দিন গাইবান্ধা আসা-যাওয়া করি, সাঁকোটি পার হতে মোটরসাইকেলসহ আমার কাছে ২০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’

অপরদিকে বগুড়াগামী আশিকুর রহমান বলেন, ‘টাকা দিতে না চাওয়ায় আগে কয়েকবার তাঁদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। বাধ্য হয়েই এখন টাকা দিতে হচ্ছে। অবৈধ এই ঘাট উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’

গাইবান্ধা থেকে চিলমারী আসা মোছা. আমেনা বেগম বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে এর আগেও পার হয়েছি, তখন কোনো ঘাট চোখে পড়েনি, কিন্তু হঠাৎ পাঁচ মাস পর মেয়েসহ আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে সাঁকোটি পার হতে ঘাটের নাম করে আমার কাছে ২০ টাকা নেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তবে এই ধরনের নালা, খাল জেলা পরিষদের আওতায়। আমি বিষয়টি জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জামেরতল এলাকার ওই নালায় কোনো ঘাটের ইজারা দেওয়া হয়নি। বিনা মূল্যে সাঁকোটি করে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত