গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
নদী, খাল-বিলে নিষিদ্ধ চায়না জাল ব্যবহারে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হারিয়ে যাচ্ছে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ-প্রতিবেশ। বিলীন হচ্ছে দেশি প্রজাতির ছোট-বড় মাছ। অন্যদিকে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা চায়না জাল আগুনে পুড়িয়ে দায় সারছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে কয়েক শ নিষিদ্ধ চায়না জাল পোড়ানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযোগ পেলে যেকোনো এলাকায় অভিযান চালানো হবে।
জানা গেছে, উপজেলার দীর্ঘতম বৈরান, ঝিনাই নদীসহ সব কয়েকটি বিলে প্রভাবশালীরা চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরেন। এই জালে মা মাছ ও পোনা একসঙ্গে ধরা পড়ে। এমনকি এই সূক্ষ্ম জালে ঝিনুক, কাঁকড়া, ব্যাঙ, কুঁচিয়া, শামুক ও বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদও ধরা পড়ে। আর জাল থেকে মাছ বাছাই করতে গিয়ে এসব জলজ প্রাণী মারা যায়।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাইন্দা গ্রামের গৃহিণী মাজেদা বেগম জানান, তিনি বাড়ির পাশে কুকরী বিলে সারা বছর হাঁস পালন করেন। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তিনি ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালান। সারা বছর এ বিল থেকে হাঁসের খাবার শামুক সংগ্রহ করেন। কিন্তু গত দুই বছর চায়না জালের জন্য কুকরীসহ আশপাশের বিলে শামুক পাওয়া যায় না। গ্রামের আরও ২০/২৫টি পরিবার, যারা বিলে হাঁস পালন করে বাড়তি আয় করে, তারাও হাঁসের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
একই গ্রামের হাসিনা বেগম শামুক-সংকটের জন্য চায়না জালকে দায়ী করে জানান, কারেন্ট জালের পরিবর্তে যেদিন থেকে নদী ও খাল-বিলে চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে, সেদিন থেকেই দেশি জাতের মাছ নির্বংশ হচ্ছে। মাছের পর এখন বিলে পালন করা হাঁস চায়না জালের ফাঁদে পড়ে মারা যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিখিল বর্মণ জানান, স্থানীয় খাল-বিলে কুঁচিয়া ধরে বাজারে বিক্রি করে তিনি সংসার চালান। কিন্তু এবার গোপালপুর উপজেলার প্রায় খাল-বিলে কুঁচিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্ষাকালে চায়না জালে নির্বিচারে শিকার করা হয় মা মাছ। এতে মাছ ও পোনার সঙ্গে ধরা পড়ে ছোট-বড় কুঁচিয়া। জাল থেকে মাছ ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় কুঁচিয়া ও এর পোনা মেরে ফেলা হয়।
মান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হাসান জানান, উপজেলার মান্দিয়া ছাড়াও সাহাপাড়া, কাগুজিআটা, লেবুআটা, নুটুরচর, দীঘলআটা ও ধুলুটিয়া গ্রামের কয়েক শ পরিবার বিলে হাঁস পালন করে সংসার চালান। চায়না জালে শুধু দেশি মাছ, পোনা, জলজ প্রাণী এবং দুর্লভ উদ্ভিদ নয়, এ জালের ফাঁদে হাঁসও বেঘোরে মারা যাচ্ছে।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক শামসুল হক জানান, চায়না জাল শুধু দেশি মাছ নির্বংশ করছে না; জলজ প্রাণী, এমনকি হাঁস খামারিদের নিঃস্ব করে চলেছে। চায়না জালে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হতে থাকায় খাদ্যসংকটে অতিথি পাখির আগমনও কমে গেছে।
নদী, খাল-বিলে নিষিদ্ধ চায়না জাল ব্যবহারে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হারিয়ে যাচ্ছে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ-প্রতিবেশ। বিলীন হচ্ছে দেশি প্রজাতির ছোট-বড় মাছ। অন্যদিকে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা চায়না জাল আগুনে পুড়িয়ে দায় সারছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে কয়েক শ নিষিদ্ধ চায়না জাল পোড়ানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযোগ পেলে যেকোনো এলাকায় অভিযান চালানো হবে।
জানা গেছে, উপজেলার দীর্ঘতম বৈরান, ঝিনাই নদীসহ সব কয়েকটি বিলে প্রভাবশালীরা চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরেন। এই জালে মা মাছ ও পোনা একসঙ্গে ধরা পড়ে। এমনকি এই সূক্ষ্ম জালে ঝিনুক, কাঁকড়া, ব্যাঙ, কুঁচিয়া, শামুক ও বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদও ধরা পড়ে। আর জাল থেকে মাছ বাছাই করতে গিয়ে এসব জলজ প্রাণী মারা যায়।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাইন্দা গ্রামের গৃহিণী মাজেদা বেগম জানান, তিনি বাড়ির পাশে কুকরী বিলে সারা বছর হাঁস পালন করেন। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তিনি ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালান। সারা বছর এ বিল থেকে হাঁসের খাবার শামুক সংগ্রহ করেন। কিন্তু গত দুই বছর চায়না জালের জন্য কুকরীসহ আশপাশের বিলে শামুক পাওয়া যায় না। গ্রামের আরও ২০/২৫টি পরিবার, যারা বিলে হাঁস পালন করে বাড়তি আয় করে, তারাও হাঁসের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
একই গ্রামের হাসিনা বেগম শামুক-সংকটের জন্য চায়না জালকে দায়ী করে জানান, কারেন্ট জালের পরিবর্তে যেদিন থেকে নদী ও খাল-বিলে চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে, সেদিন থেকেই দেশি জাতের মাছ নির্বংশ হচ্ছে। মাছের পর এখন বিলে পালন করা হাঁস চায়না জালের ফাঁদে পড়ে মারা যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিখিল বর্মণ জানান, স্থানীয় খাল-বিলে কুঁচিয়া ধরে বাজারে বিক্রি করে তিনি সংসার চালান। কিন্তু এবার গোপালপুর উপজেলার প্রায় খাল-বিলে কুঁচিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্ষাকালে চায়না জালে নির্বিচারে শিকার করা হয় মা মাছ। এতে মাছ ও পোনার সঙ্গে ধরা পড়ে ছোট-বড় কুঁচিয়া। জাল থেকে মাছ ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় কুঁচিয়া ও এর পোনা মেরে ফেলা হয়।
মান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হাসান জানান, উপজেলার মান্দিয়া ছাড়াও সাহাপাড়া, কাগুজিআটা, লেবুআটা, নুটুরচর, দীঘলআটা ও ধুলুটিয়া গ্রামের কয়েক শ পরিবার বিলে হাঁস পালন করে সংসার চালান। চায়না জালে শুধু দেশি মাছ, পোনা, জলজ প্রাণী এবং দুর্লভ উদ্ভিদ নয়, এ জালের ফাঁদে হাঁসও বেঘোরে মারা যাচ্ছে।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক শামসুল হক জানান, চায়না জাল শুধু দেশি মাছ নির্বংশ করছে না; জলজ প্রাণী, এমনকি হাঁস খামারিদের নিঃস্ব করে চলেছে। চায়না জালে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হতে থাকায় খাদ্যসংকটে অতিথি পাখির আগমনও কমে গেছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪