Ajker Patrika

যাঁরা ঘর দিয়েছেন তাঁরাই ভাই-বোন

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
যাঁরা ঘর দিয়েছেন তাঁরাই ভাই-বোন

‘তাঁরা ৩ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে মাথায়, কাঁধে মাল বহন করে নিজেরাই ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যাঁরা আমার ঘরের কাজ করে দিয়েছেন, তাঁরাই আমার ভাই-বোন।’

ঘর পেয়ে এভাবেই অনুভূতি জানাচ্ছিলেন স্বামী-সন্তানহীন অসহায় নয়ন সোনা চাকমা। খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত দেবেন্দ্রপাড়ায় পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন তিনি। অসহায় নয়ন সোনাকে ঘর করে দিয়েছেন নুও স্ববন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মৃত দিনেশ্বর চাকমার মেয়ে নয়ন সোনা চাকমার দুরবস্থার কথা জানতে পারে অসহায় মানুষের নিয়ে কাজ করা নুও স্ববন বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর করে সংগঠনটি। এতে নয়ন সোনাকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন জেলা প্রশাসক।

নয়ন সোনা চাকমা বলেন, ‘এ এলাকায় গাছ, টিন ও গৃহ নির্মাণসামগ্রী বহন করা কষ্টের। আমি একা মানুষ, আমার কেউ নাই। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকায় ঘর বানানও যায় না। নুও স্ববন বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রজ্ঞা বিজয় চাকমা, ক্যাচিং মগ, সুখময় দেওয়ান, চম্পা চাকমা, জুনেল চাকমাসহ কয়েকজন পাহাড়ি পথে মাল বহন করে নিজেরাই ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।’

এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সারণ কুমার চাকমা জানান, প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় এমন অনেক নয়ন সোনা পড়ে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় তাঁদের খোঁজ-খবর অনেকেই পান না। সবাই মানবতার ফেরিওয়ালা হলে প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনেক কমতো।’

ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাচিং মগ জানান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের দেওয়া ১০ হাজার টাকার চেকের সঙ্গে আমরা আরও ৩০ হাজার টাকা জোগান দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ঘর বানিয়ে দিই। সঙ্গে প্রয়োজনীয় হাঁড়ি-পাতিল, কম্বল ও একটি সৌর সোলার প্যানেল ব্যাটারি দিয়েছি।’

সংগঠনটি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ, রক্তদানসহ অসহায়দের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত