মো. জাহিদুল ইসলাম, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)
দেড় বছর আগে যাদের কাঁধে ছিল স্কুলব্যাগ, বান্ধবীদের সঙ্গে হইহুল্লোড় ও লেখাপড়া করে যাদের সময় কাটত, তাদের এখন সময় কাটে সংসারের কাজ করে। কিশোরী বয়সেই কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে সংসার-জীবনের বোঝা।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমারী রেখা রানী গার্লস হাইস্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করে ৯ জন ছাত্রী। এই ৯ ছাত্রীর মধ্যে পাঁচজনেরই করোনাকালে বিয়ে হয়ে গেছে। এদের এখন সময় কাটে পরিবারের কাজকর্ম করে।
অপর দিকে উপজেলার নির্মল সেন স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজের ৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয়জনেরই বিয়ে হয়েছে করোনাকালে। বাল্যবিবাহের শিকার হয়ে অনেক শিক্ষার্থীই বর্তমানে বিদ্যালয়ে আসছে না বলে জানা গেছে।
দারিদ্র্য ও সন্তানদের লেখাপড়ার অনিশ্চিত জীবনের কথা চিন্তা করে বাবা-মা তাদের বিয়ে দিয়েছেন বলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কাজ করা সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন। এদিকে বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই তারা বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে এসব শিক্ষার্থী।
কুমারী রেখা রানী গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বাড়ৈ বলেন, এই করোনাকালীন তাঁদের বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থী মধ্যে পাঁচজন ছাত্রীকে তাদের অভিভাবকেরা বিয়ে দিয়েছেন।
শুধু তাঁদের বিদ্যালয়ই নয়, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের একই অবস্থা। এর জন্য বিদ্যালয় খোলার অনিশ্চয়তা ও দারিদ্র্যকে দায়ী করেছেন এই শিক্ষক।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই বিদ্যালয়ের বাল্যবিবাহের শিকার এক শিক্ষার্থী বলে, তার বাবা-মা যেটি ভালো মনে করেছেন, তাঁরা সেটিই করেছেন। বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই সে বিয়েতে রাজি হয়েছে। এখানে তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো বিষয় নেই। তবে তার স্বামীর বাড়ি থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। সে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
এক অভিভাবক বলেন, আগে তিনি ফেরি করে সংসার চালাতেন। করোনার দেড় বছরে কোনো কাজকর্ম নেই। এরই মধ্যে মেয়ে বড় হয়ে গেছে। হঠাৎ করে ভালো একটি ছেলে পেয়েছেন। তাই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, কোটালীপাড়া এপির ম্যানেজার সিলভিয়া ডেইজি বলেন, করোনাকালে অনেক অভিভাবকই অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছেন। ফলে তাঁদের মধ্যে এক ধরনের হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক অভিভাবকই তাঁদের শিশুকন্যাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। তবে এটা তাঁদের ঠিক হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) পাশাপাশি সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বেশি করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়া আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে বাল্যবিবাহ অনেক অংশেই কমে যাবে।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচী বলেন, করোনার আগে এ উপজেলায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা খুব কম ছিল। করোনার মধ্যে হঠাৎ করে এ সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাঁরা প্রতিনিয়ত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন। শিগগির এ সংখ্যা কমে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
দেড় বছর আগে যাদের কাঁধে ছিল স্কুলব্যাগ, বান্ধবীদের সঙ্গে হইহুল্লোড় ও লেখাপড়া করে যাদের সময় কাটত, তাদের এখন সময় কাটে সংসারের কাজ করে। কিশোরী বয়সেই কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে সংসার-জীবনের বোঝা।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমারী রেখা রানী গার্লস হাইস্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করে ৯ জন ছাত্রী। এই ৯ ছাত্রীর মধ্যে পাঁচজনেরই করোনাকালে বিয়ে হয়ে গেছে। এদের এখন সময় কাটে পরিবারের কাজকর্ম করে।
অপর দিকে উপজেলার নির্মল সেন স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজের ৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয়জনেরই বিয়ে হয়েছে করোনাকালে। বাল্যবিবাহের শিকার হয়ে অনেক শিক্ষার্থীই বর্তমানে বিদ্যালয়ে আসছে না বলে জানা গেছে।
দারিদ্র্য ও সন্তানদের লেখাপড়ার অনিশ্চিত জীবনের কথা চিন্তা করে বাবা-মা তাদের বিয়ে দিয়েছেন বলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কাজ করা সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন। এদিকে বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই তারা বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে এসব শিক্ষার্থী।
কুমারী রেখা রানী গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বাড়ৈ বলেন, এই করোনাকালীন তাঁদের বিদ্যালয়ের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থী মধ্যে পাঁচজন ছাত্রীকে তাদের অভিভাবকেরা বিয়ে দিয়েছেন।
শুধু তাঁদের বিদ্যালয়ই নয়, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের একই অবস্থা। এর জন্য বিদ্যালয় খোলার অনিশ্চয়তা ও দারিদ্র্যকে দায়ী করেছেন এই শিক্ষক।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই বিদ্যালয়ের বাল্যবিবাহের শিকার এক শিক্ষার্থী বলে, তার বাবা-মা যেটি ভালো মনে করেছেন, তাঁরা সেটিই করেছেন। বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই সে বিয়েতে রাজি হয়েছে। এখানে তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো বিষয় নেই। তবে তার স্বামীর বাড়ি থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। সে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
এক অভিভাবক বলেন, আগে তিনি ফেরি করে সংসার চালাতেন। করোনার দেড় বছরে কোনো কাজকর্ম নেই। এরই মধ্যে মেয়ে বড় হয়ে গেছে। হঠাৎ করে ভালো একটি ছেলে পেয়েছেন। তাই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, কোটালীপাড়া এপির ম্যানেজার সিলভিয়া ডেইজি বলেন, করোনাকালে অনেক অভিভাবকই অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছেন। ফলে তাঁদের মধ্যে এক ধরনের হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক অভিভাবকই তাঁদের শিশুকন্যাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। তবে এটা তাঁদের ঠিক হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) পাশাপাশি সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বেশি করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়া আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে বাল্যবিবাহ অনেক অংশেই কমে যাবে।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচী বলেন, করোনার আগে এ উপজেলায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা খুব কম ছিল। করোনার মধ্যে হঠাৎ করে এ সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাঁরা প্রতিনিয়ত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন। শিগগির এ সংখ্যা কমে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৭ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪