সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কিন্তু তা কিসের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার ধরে নিয়েছে এতে জ্বালানি সাশ্রয় হবেই। যদিও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার জন্য সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে, যদিও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। সপ্তাহে এক দিন পেট্রল-পাম্পও বন্ধ থাকবে। রাত ৮টার পরে বন্ধ থাকবে বিপণিবিতান ও শপিং মল। অফিস সময়ও কমানো হচ্ছে। এসির ব্যবহার কমাতে বলেছে উপাসনালয়ে। আরও আছে পরিবহন খাতে জ্বালানির ব্যবহার কমানোর মতো পদক্ষেপ।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে নসরুল হামিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই পদক্ষেপগুলো কোনো তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে কি না? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখন তথ্য সংগ্রহ করছি। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে কোথায় কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’ তাহলে তথ্য ছাড়া এত বড় পদক্ষেপ নেওয়ার যৌক্তিকতা কী, সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এক সপ্তাহ দেখতে হবে।
কত বিদ্যুৎ বিপণিবিতানে লাগে?
রাত ৮টার পর কেনাকাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে মার্কেটের বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখলে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, তার কোনো তথ্য কি আছে? জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।’
পরিবহন খাতে জ্বালানি সাশ্রয়
বাংলাদেশে ডিজেলের যে ব্যবহার, তার সবটাই আমদানিনির্ভর। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি লিটারে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। এই ডিজেলের ব্যবহার কমাতে সরকার ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছে। ভাবনায় আছে পরিবহন খাতে ডিজেল রেশনিংয়ের চিন্তা।
প্রতিমন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিজেলের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ খাতে। বাকি ৯০ শতাংশ ব্যবহার হয় সড়ক ও নৌপরিবহন খাতে। আমরা এখন ডিজেলের ব্যবহার কীভাবে কমানো যায় তা দেখছি। পরিবহন খাতে কীভাবে ডিজেলের ব্যবহার হয়, তা এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পেট্রলপাম্পে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ
জ্বালানি ব্যবহার কমাতে সরকার একদিন পেট্রলপাম্পে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাম্পে জ্বালানি পণ্য বিক্রি বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিপিসি পেট্রলপাম্পের মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কোন দিন পেট্রলপাম্প বন্ধ রাখবে। বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কি দেশব্যাপী একই দিনে হবে নাকি বিভাগভিত্তিক হবে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এটা হয়তো বিভাগভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হতে পারে আবার একযোগে সারা দেশেও হতে পারে।
সরকারি পরিবহন ব্যবহারে লাগাম টানা
জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি গাড়ির ব্যবহার কমানোর কথা বললেও তা বাস্তবায়নে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে যে সরকারের অনেকেই একক গাড়ি ব্যবহার করছে। আমরা এইগুলোর ব্যবহার কমিয়ে আনব। যুগ্ম সচিবদের মধ্যে অনেকেই একটি করে গাড়ি ব্যবহার করে। এখানে আমরা কৃচ্ছ্রসাধন করতে যাচ্ছি।’
কী পরিমাণ গাড়ি যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা ব্যবহার করেন। এর কোনো হিসাব আছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার কোনো হিসাব আমাদের কাছে নেই।’
উপাসনালয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, উপাসনালয়ে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তার পরিমাণ প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট। আদৌ কি এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উপাসনালয়ে ব্যবহার করা হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের ব্যবহার হঠাৎ করে বেড়ে যায়। মসজিদে যদি ৫টা এসির জায়গায় ২টা এসি চালানো যায়, তাহলে বেশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।’
এলএনজি আমদানি
দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের সরবরাহ ২০১৮ সালেও ছিল ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে কমে এসে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট ঠেকেছে। দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এলএনজির আমদানি। চাহিদা মেটাতে লং টার্ম এলএনজির পাশাপাশি বাংলাদেশ স্পট মার্কেট থেকেও আমদানি করে। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির আমদানি বন্ধ রেখেছে পেট্রোবাংলা। তার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ খাতে। বাংলাদেশে বিদ্যুতের ৫১ শতাংশ আসে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ থেকে। আমদানিনির্ভর গ্যাস খাত হওয়া সত্ত্বেও কেন সরকার দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস অনুসন্ধান করছে না? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গ্যাস নেই। আমরা যদি ১০০ মিলিয়ন ডলার গ্যাস অনুসন্ধানে খরচ করার পর দেখি গ্যাস নেই, তাহলে এই ক্ষতির দায়ভার কে নেবে?’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ম. তামিম আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রধানত ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েল ব্যবহার হয়। উৎপাদন কমলে কিছু সাশ্রয় হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কতটুকু সাশ্রয় হচ্ছে, এ হিসাব বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থাকা উচিত। হিসাব করে মানুষকে তা জানানো উচিত। কারণ, এই সংকট কত দিন চলবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কিন্তু তা কিসের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার ধরে নিয়েছে এতে জ্বালানি সাশ্রয় হবেই। যদিও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার জন্য সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে, যদিও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। সপ্তাহে এক দিন পেট্রল-পাম্পও বন্ধ থাকবে। রাত ৮টার পরে বন্ধ থাকবে বিপণিবিতান ও শপিং মল। অফিস সময়ও কমানো হচ্ছে। এসির ব্যবহার কমাতে বলেছে উপাসনালয়ে। আরও আছে পরিবহন খাতে জ্বালানির ব্যবহার কমানোর মতো পদক্ষেপ।
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে নসরুল হামিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই পদক্ষেপগুলো কোনো তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে কি না? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখন তথ্য সংগ্রহ করছি। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে কোথায় কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’ তাহলে তথ্য ছাড়া এত বড় পদক্ষেপ নেওয়ার যৌক্তিকতা কী, সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এক সপ্তাহ দেখতে হবে।
কত বিদ্যুৎ বিপণিবিতানে লাগে?
রাত ৮টার পর কেনাকাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে মার্কেটের বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখলে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, তার কোনো তথ্য কি আছে? জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।’
পরিবহন খাতে জ্বালানি সাশ্রয়
বাংলাদেশে ডিজেলের যে ব্যবহার, তার সবটাই আমদানিনির্ভর। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি লিটারে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। এই ডিজেলের ব্যবহার কমাতে সরকার ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছে। ভাবনায় আছে পরিবহন খাতে ডিজেল রেশনিংয়ের চিন্তা।
প্রতিমন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিজেলের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ খাতে। বাকি ৯০ শতাংশ ব্যবহার হয় সড়ক ও নৌপরিবহন খাতে। আমরা এখন ডিজেলের ব্যবহার কীভাবে কমানো যায় তা দেখছি। পরিবহন খাতে কীভাবে ডিজেলের ব্যবহার হয়, তা এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পেট্রলপাম্পে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ
জ্বালানি ব্যবহার কমাতে সরকার একদিন পেট্রলপাম্পে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাম্পে জ্বালানি পণ্য বিক্রি বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিপিসি পেট্রলপাম্পের মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কোন দিন পেট্রলপাম্প বন্ধ রাখবে। বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কি দেশব্যাপী একই দিনে হবে নাকি বিভাগভিত্তিক হবে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এটা হয়তো বিভাগভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হতে পারে আবার একযোগে সারা দেশেও হতে পারে।
সরকারি পরিবহন ব্যবহারে লাগাম টানা
জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি গাড়ির ব্যবহার কমানোর কথা বললেও তা বাস্তবায়নে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে যে সরকারের অনেকেই একক গাড়ি ব্যবহার করছে। আমরা এইগুলোর ব্যবহার কমিয়ে আনব। যুগ্ম সচিবদের মধ্যে অনেকেই একটি করে গাড়ি ব্যবহার করে। এখানে আমরা কৃচ্ছ্রসাধন করতে যাচ্ছি।’
কী পরিমাণ গাড়ি যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা ব্যবহার করেন। এর কোনো হিসাব আছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার কোনো হিসাব আমাদের কাছে নেই।’
উপাসনালয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, উপাসনালয়ে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তার পরিমাণ প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট। আদৌ কি এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উপাসনালয়ে ব্যবহার করা হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের ব্যবহার হঠাৎ করে বেড়ে যায়। মসজিদে যদি ৫টা এসির জায়গায় ২টা এসি চালানো যায়, তাহলে বেশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।’
এলএনজি আমদানি
দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের সরবরাহ ২০১৮ সালেও ছিল ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে কমে এসে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট ঠেকেছে। দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এলএনজির আমদানি। চাহিদা মেটাতে লং টার্ম এলএনজির পাশাপাশি বাংলাদেশ স্পট মার্কেট থেকেও আমদানি করে। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির আমদানি বন্ধ রেখেছে পেট্রোবাংলা। তার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ খাতে। বাংলাদেশে বিদ্যুতের ৫১ শতাংশ আসে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ থেকে। আমদানিনির্ভর গ্যাস খাত হওয়া সত্ত্বেও কেন সরকার দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস অনুসন্ধান করছে না? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গ্যাস নেই। আমরা যদি ১০০ মিলিয়ন ডলার গ্যাস অনুসন্ধানে খরচ করার পর দেখি গ্যাস নেই, তাহলে এই ক্ষতির দায়ভার কে নেবে?’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ম. তামিম আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রধানত ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েল ব্যবহার হয়। উৎপাদন কমলে কিছু সাশ্রয় হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কতটুকু সাশ্রয় হচ্ছে, এ হিসাব বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থাকা উচিত। হিসাব করে মানুষকে তা জানানো উচিত। কারণ, এই সংকট কত দিন চলবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪