Ajker Patrika

তফসিল ঘোষণা করার আগেই তোড়জোড়

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১১: ৩৫
তফসিল ঘোষণা করার আগেই তোড়জোড়

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হতেই নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। করোনার কারণে গত ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়ায় এসব ইউপিতে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে অন্যান্য এলাকায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে তৎপরতা শুরু করেছেন অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তাঁরা দলের নেতা-কর্মীদের কাছে টানার চেষ্টায় ব্যস্তও সময় পার করছেন।

আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, ১ নম্বর সাহাপুর ইউনিয়নে দলের মনোনয়ন চাইছেন বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার কাজল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদ হায়দার সোহেল ও কামরুল হাসান। এ ছাড়া ২ নম্বর রামনারায়ণপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, রহমত উল্যা দুলাল চৌধুরী ও গোলাম কবির, ৩ নম্বর পরকোটে বর্তমান চেয়ারম্যান বাহার আলম মুন্সী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়ের আলম, জেলা যুবলীগের সদস্য জাকির হোসেন রায়হান, নুরুল ইসলাম নাহিদ ও গোলাম ছামদানী শাহিন, ৪ নম্বর বদলকোটে বর্তমান চেয়ারম্যান সোলায়মান শেখ, সাবেক চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব, জসিম উদ্দিন ও মাঈন উদ্দিন অশ্রু মনোনয়ন চাইছেন।

আর ৫ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদ উল্যা, গোলাম সরওয়ার, হেদায়েত উল্যা, ওবায়েদ উল্যা ও লোকমান হোসেন, ৬ নম্বর পাঁচগাঁওতে বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তরুণ, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা খান ও মেজবাহ উদ্দিন, ৭ নম্বর হাটপুকুরিয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম বাকি বিল্লাহ, গোলাম ফারুক চৌধুরী, মহসিন পাহাড়ি, নজরুল ইসলাম, মিলন পাটোয়ারী ও আলমগীর হোসেন নৌকা পেতে যোগাযোগ করছেন। এদিকে ৮ নম্বর নোয়াখলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল সোহাগ, ইউনিয়ন (পূর্ব) আওয়ামী লীগ সভাপতি মানিক মিয়া, জাকির হোসেন টিপু ও নুরুল আমিন নুরু, ৯ নম্বর খিলপাড়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও সালাউদ্দিন সুমন দলটির হয়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং দল যাকে মনোনয়ন দিবে ভোট সেই-ই করবে। দলীয় সিদ্ধান্তে বাইরে কেউ নির্বাচন করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে বিএনপির প্রার্থীদের কোনো ইউনিয়নেই তেমন প্রচার-প্রচারণা নেই। একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলীয়ভাবে ভোট না করার সিদ্ধান্ত থাকায় তাঁরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নন। তবে কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করার আশা প্রকাশ করেন। তা ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের কোনো প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেখা যায়নি।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক জানান, তাঁদের দলের নিবন্ধন না থাকায় ২-৩টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত