Ajker Patrika

ইউরোপে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৫৬
ইউরোপে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা

করোনার টিকা বের হওয়ার পর ইউরোপে দ্রুতগতিৃতে চলে টিকাদান কার্যক্রম। ইতিমধ্যেই এ অঞ্চলের বেশির ভাগ নাগরিক টিকা পেলেও ডেলটাসহ বিভিন্ন উচ্চ সংক্রামক ধরনের কারণে এখনো করোনা নির্মূল সম্ভব হয়নি। তবে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও লাগামহীন হতে শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউরোপে আরও ৭ লাখের বেশি মানুষ মারা যেতে পারেন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৫ লাখের বেশি। অর্থাৎ আগামী ৪ মাসে ইউরোপে মোট মৃত্যু ছাড়াবে ২২ লাখ।

গত সেপ্টেম্বরে এই মহাদেশে দৈনিক গড় মৃত্যু ছিল ২ হাজার। এক মাস যেতে না যেতেই চলতি মাসে তা বেড়েছে দ্বিগুণ। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন বলছে, এ অঞ্চলে এখন দৈনিক গড়ে ৪ হাজার ২০০ মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ইউরোপে এখন মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। ৫৩ দেশের মধ্যে ২৫টিতেই রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালে আবার দেখা দিয়েছে আইসিইউ সংকট।

ইউরোপে এ পর্যন্ত ১০০ কোটির বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা পেয়েছেন মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। তবে টিকাদান কার্যক্রম দেশভেদে ভিন্ন। কোনো কোনো দেশে টিকা পেয়েছেন ৮০ শতাংশ মানুষ। কেউ কেউ পেয়েছেন বুস্টার ডোজ। অন্যদিকে, কোনো কোনো দেশে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ পূর্ণ দুই ডোজ পেয়েছেন। টিকা কম দেওয়া দেশগুলোতেই শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। তবে টিকা বেশি দেওয়া হয়েছে এমন কয়েকটি দেশও সংক্রমণে প্রথম দিকে।

চলতি সপ্তাহে ইউরোপে শনাক্ত বেড়েছে ১১ শতাংশ। হাঙ্গেরিতে গতকাল এক দিনে প্রায় ১৩ হাজার শনাক্ত হয়, যা দেশটিতে নতুন রেকর্ড। গত এক সপ্তাহে গড় হিসাবে দৈনিক শনাক্ত হচ্ছে সাড়ে ৯ হাজার। টিকা কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। ৬০ শতাংশ মানুষ টিকার মাত্র এক ডোজ পেয়েছেন। জার্মানিতে করোনায় মৃত্যু ১ লাখ ছাড়িয়েছে। যদিও ৬৮ শতাংশ জার্মান করোনার টিকা নিয়েছেন। ব্রিটেনের ৭৫ শতাংশ এলাকায় প্রতি সপ্তাহেই সংক্রমণ বাড়ছে। গতকাল এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪২ হাজার ৪৮৪ জন, মৃত্যু ১৬৫। এক সপ্তাহে বেড়েছে ৯ শতাংশ। ফ্রান্সে এক দিনে আরও ৩০ হাজার শনাক্ত হয়েছে। সপ্তাহের হিসাবে নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।

টিকাদান কার্যক্রমে ধীরগতি ছাড়াও মাস্ক না পরাকে ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির আঞ্চলিক প্রধান হ্যান্স ক্লাজ বলেন, মাস্ক পরা, হাত ধোঁয়া কিংবা পরিষ্কার থাকার মতো সাধারণ নিয়ম মানছেন না অনেকে। সবাই মাস্ক পরলে আগামী মার্চের মধ্যে মোট মৃত্যুর ১ লাখ ৬০ হাজার কমানো যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, বাইরে বের হলে ইউরোপের অর্ধেকের কম মানুষ মাস্ক পরেন।

করোনা লড়াইয়ে এগিয়ে ইসরায়েল

ইসরায়েলে সংক্রমণ চূড়ায় থাকার সময় দৈনিক শনাক্ত ছিল ৮ হাজার। কিন্তু গত সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে, দৈনিক মাত্র ৪৫০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে দেশটি। এর অন্যতম কারণ টিকার বুস্টার ডোজ। দেশটিতে ১৬ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে নিতে হবে বুস্টার ডোজ। বুস্টার ডোজ না নিলে পূর্ণ টিকা নেওয়া হিসেবে গণ্য করা হবে না। সম্প্রতি ইসরায়েলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর এ প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা ছাত্রদল কর্মী ইপ্সিতার, ধর্ষণের অভিযোগ আসে ৯৯৯ থেকে

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

নূরুল হুদাকে হেনস্তা: বিচারের দাবিতে ৩৪ বীর মুক্তিযোদ্ধার বিবৃতি

মার্কিন ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হামলার আগে কাতারকে জানায় ইরান: সিএনএন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত