আবু সাইম, ঢাকা
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্য অংশে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক অর্থই বেশি খরচ করা দরকার।
এদিকে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স বড় প্রকল্পগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে।
বরাদ্দ কমছে এমন মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের তিনটির মধ্যে দুটির, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পদ্মা সেতু, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চলতি অর্থবছরে ডলারের সংকট, রাজস্ব ঘাটতিসহ প্রধান প্রধান আয়ের খাত দুর্বল হওয়ায় খরচে কৃচ্ছ্রসাধন করছে সরকার। অত্যাবশ্যক প্রকল্প ছাড়া অন্য সব প্রকল্পে অর্থ ছাড় কমানো বা স্থগিত করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত ডলার না পাওয়ায় চলমান মেগা প্রকল্পের ঠিকাদারের বিল পরিশোধও চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বড় তিনটি প্রকল্প–হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রোরেলের উত্তরা-মতিঝিল পুরো অংশ, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের ব্যাপারে জোর দিচ্ছে সরকার। মেট্রোরেলের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।
নির্বাচনের আগেই আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত অংশও উদ্বোধন করতে চায় সরকার। এ জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হওয়া এমআরটি-৬ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
তবে মেট্রোরেলের অন্য দুটি প্রকল্পে বরাদ্দ অনেক কমছে। এর মধ্যে প্রথম পাতাল মেট্রোরেল ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট–‘এমআরটি-১’ প্রকল্পে অর্থবছরের শুরুতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। আরএডিপি বা সংশোধিত এডিপিতে কমে হচ্ছে ৪৮৩ কোটি টাকা। বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত চলবে এ মেট্রো। এ ছাড়া হেমায়েতপুর-গাবতলী-মিরপুর ১-কচুক্ষেত-গুলশান ২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি-৫ প্রকল্পে মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪০৬ কোটি টাকা।
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আট মাস পরও এখনো শেষ হয়নি মূল প্রকল্পের কাজ। ৯৪ শতাংশ কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের এ বছরের বরাদ্দ ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দ কমায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মূল এডিপিতে রাখা ছিল ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। কমে হচ্ছে ১১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এতে বিদেশি অংশ কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, অন্যদিকে বেড়েছে দেশীয় অংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজের গতিও কমেছে। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বরাদ্দ ৩ হাজার ৭০২ কোটি টাকা থেকে কমে হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুমুখী সড়ক টানেল’ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা হচ্ছে। বরাদ্দ কমলে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটির গতি কমতে পারে।
প্রায় এক দশক ধরে চলমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগ প্রকল্পের বরাদ্দ ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়া তৃতীয় টার্মিনালের একাংশ আগামী অক্টোবরে উদ্বোধনের আশা করছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর জন্য মূল এডিপিতে ছিল ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। এর দুই প্রকল্পে বরাদ্দ হচ্ছে ১ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
তবে বরাদ্দ বাড়ছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে। ৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৫০ শতাংশ। একইভাবে মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বরাদ্দ ৬ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের সংশোধিত এডিপিতে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। এর পুরোটাই প্রকল্প সাহায্য অংশ থেকে। মন্ত্রণালয়গুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই সংশোধিত এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১ মার্চ এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি অনুমোদন করবেন। কোথায় কত টাকা যাবে তা এনইসিতেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে এর বেশি বলা সম্ভব নয়।
জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বরাদ্দ কমছে, তার বেশির ভাগই প্রকল্পে বৈদেশিক অংশের টাকা। তা কমায় আমাদের লোকসান হচ্ছে। সংকটের এ সময়ে আমাদের উচিত ছিল বেশি করে বিদেশের টাকা আনা। আমাদের দরকার বিদেশি টাকা ব্যবহার করে দেশি টাকা বাঁচানো। অথচ আমরা উল্টো দিকে যাচ্ছি।’
গতি বাড়ানোর তাগিদ
মেগা প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টাস্কফোর্সের সবশেষ সভায় এই তাগিদ দেওয়া হয়। সভায় বলা হয়, ডলারের সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজের গতি বাড়াতে হবে। এমআরটি-১-এর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও অন্যান্য কাজে নির্ধারিত জমি দ্রুত ডিএমটিসিএলকে বুঝিয়ে দিতে হবে। সভায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ত্বরান্বিত করা এবং রামপাল প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে সিনিয়র সচিব ও সচিবদের প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের অনুরোধ করা হয়।এ ছাড়া সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করার কথা বলা হয়। যেখানে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হবে।
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্য অংশে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক অর্থই বেশি খরচ করা দরকার।
এদিকে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স বড় প্রকল্পগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে।
বরাদ্দ কমছে এমন মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের তিনটির মধ্যে দুটির, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পদ্মা সেতু, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চলতি অর্থবছরে ডলারের সংকট, রাজস্ব ঘাটতিসহ প্রধান প্রধান আয়ের খাত দুর্বল হওয়ায় খরচে কৃচ্ছ্রসাধন করছে সরকার। অত্যাবশ্যক প্রকল্প ছাড়া অন্য সব প্রকল্পে অর্থ ছাড় কমানো বা স্থগিত করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত ডলার না পাওয়ায় চলমান মেগা প্রকল্পের ঠিকাদারের বিল পরিশোধও চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বড় তিনটি প্রকল্প–হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রোরেলের উত্তরা-মতিঝিল পুরো অংশ, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের ব্যাপারে জোর দিচ্ছে সরকার। মেট্রোরেলের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।
নির্বাচনের আগেই আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত অংশও উদ্বোধন করতে চায় সরকার। এ জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হওয়া এমআরটি-৬ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
তবে মেট্রোরেলের অন্য দুটি প্রকল্পে বরাদ্দ অনেক কমছে। এর মধ্যে প্রথম পাতাল মেট্রোরেল ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট–‘এমআরটি-১’ প্রকল্পে অর্থবছরের শুরুতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। আরএডিপি বা সংশোধিত এডিপিতে কমে হচ্ছে ৪৮৩ কোটি টাকা। বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত চলবে এ মেট্রো। এ ছাড়া হেমায়েতপুর-গাবতলী-মিরপুর ১-কচুক্ষেত-গুলশান ২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি-৫ প্রকল্পে মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪০৬ কোটি টাকা।
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আট মাস পরও এখনো শেষ হয়নি মূল প্রকল্পের কাজ। ৯৪ শতাংশ কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের এ বছরের বরাদ্দ ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দ কমায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মূল এডিপিতে রাখা ছিল ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। কমে হচ্ছে ১১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এতে বিদেশি অংশ কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, অন্যদিকে বেড়েছে দেশীয় অংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজের গতিও কমেছে। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বরাদ্দ ৩ হাজার ৭০২ কোটি টাকা থেকে কমে হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুমুখী সড়ক টানেল’ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা হচ্ছে। বরাদ্দ কমলে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটির গতি কমতে পারে।
প্রায় এক দশক ধরে চলমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগ প্রকল্পের বরাদ্দ ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়া তৃতীয় টার্মিনালের একাংশ আগামী অক্টোবরে উদ্বোধনের আশা করছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর জন্য মূল এডিপিতে ছিল ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। এর দুই প্রকল্পে বরাদ্দ হচ্ছে ১ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
তবে বরাদ্দ বাড়ছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে। ৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৫০ শতাংশ। একইভাবে মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বরাদ্দ ৬ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের সংশোধিত এডিপিতে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। এর পুরোটাই প্রকল্প সাহায্য অংশ থেকে। মন্ত্রণালয়গুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই সংশোধিত এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১ মার্চ এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি অনুমোদন করবেন। কোথায় কত টাকা যাবে তা এনইসিতেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে এর বেশি বলা সম্ভব নয়।
জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বরাদ্দ কমছে, তার বেশির ভাগই প্রকল্পে বৈদেশিক অংশের টাকা। তা কমায় আমাদের লোকসান হচ্ছে। সংকটের এ সময়ে আমাদের উচিত ছিল বেশি করে বিদেশের টাকা আনা। আমাদের দরকার বিদেশি টাকা ব্যবহার করে দেশি টাকা বাঁচানো। অথচ আমরা উল্টো দিকে যাচ্ছি।’
গতি বাড়ানোর তাগিদ
মেগা প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টাস্কফোর্সের সবশেষ সভায় এই তাগিদ দেওয়া হয়। সভায় বলা হয়, ডলারের সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজের গতি বাড়াতে হবে। এমআরটি-১-এর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও অন্যান্য কাজে নির্ধারিত জমি দ্রুত ডিএমটিসিএলকে বুঝিয়ে দিতে হবে। সভায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ত্বরান্বিত করা এবং রামপাল প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে সিনিয়র সচিব ও সচিবদের প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের অনুরোধ করা হয়।এ ছাড়া সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করার কথা বলা হয়। যেখানে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হবে।
আবু সাইম, ঢাকা
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্য অংশে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক অর্থই বেশি খরচ করা দরকার।
এদিকে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স বড় প্রকল্পগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে।
বরাদ্দ কমছে এমন মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের তিনটির মধ্যে দুটির, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পদ্মা সেতু, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চলতি অর্থবছরে ডলারের সংকট, রাজস্ব ঘাটতিসহ প্রধান প্রধান আয়ের খাত দুর্বল হওয়ায় খরচে কৃচ্ছ্রসাধন করছে সরকার। অত্যাবশ্যক প্রকল্প ছাড়া অন্য সব প্রকল্পে অর্থ ছাড় কমানো বা স্থগিত করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত ডলার না পাওয়ায় চলমান মেগা প্রকল্পের ঠিকাদারের বিল পরিশোধও চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বড় তিনটি প্রকল্প–হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রোরেলের উত্তরা-মতিঝিল পুরো অংশ, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের ব্যাপারে জোর দিচ্ছে সরকার। মেট্রোরেলের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।
নির্বাচনের আগেই আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত অংশও উদ্বোধন করতে চায় সরকার। এ জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হওয়া এমআরটি-৬ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
তবে মেট্রোরেলের অন্য দুটি প্রকল্পে বরাদ্দ অনেক কমছে। এর মধ্যে প্রথম পাতাল মেট্রোরেল ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট–‘এমআরটি-১’ প্রকল্পে অর্থবছরের শুরুতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। আরএডিপি বা সংশোধিত এডিপিতে কমে হচ্ছে ৪৮৩ কোটি টাকা। বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত চলবে এ মেট্রো। এ ছাড়া হেমায়েতপুর-গাবতলী-মিরপুর ১-কচুক্ষেত-গুলশান ২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি-৫ প্রকল্পে মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪০৬ কোটি টাকা।
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আট মাস পরও এখনো শেষ হয়নি মূল প্রকল্পের কাজ। ৯৪ শতাংশ কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের এ বছরের বরাদ্দ ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দ কমায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মূল এডিপিতে রাখা ছিল ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। কমে হচ্ছে ১১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এতে বিদেশি অংশ কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, অন্যদিকে বেড়েছে দেশীয় অংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজের গতিও কমেছে। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বরাদ্দ ৩ হাজার ৭০২ কোটি টাকা থেকে কমে হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুমুখী সড়ক টানেল’ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা হচ্ছে। বরাদ্দ কমলে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটির গতি কমতে পারে।
প্রায় এক দশক ধরে চলমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগ প্রকল্পের বরাদ্দ ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়া তৃতীয় টার্মিনালের একাংশ আগামী অক্টোবরে উদ্বোধনের আশা করছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর জন্য মূল এডিপিতে ছিল ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। এর দুই প্রকল্পে বরাদ্দ হচ্ছে ১ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
তবে বরাদ্দ বাড়ছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে। ৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৫০ শতাংশ। একইভাবে মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বরাদ্দ ৬ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের সংশোধিত এডিপিতে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। এর পুরোটাই প্রকল্প সাহায্য অংশ থেকে। মন্ত্রণালয়গুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই সংশোধিত এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১ মার্চ এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি অনুমোদন করবেন। কোথায় কত টাকা যাবে তা এনইসিতেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে এর বেশি বলা সম্ভব নয়।
জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বরাদ্দ কমছে, তার বেশির ভাগই প্রকল্পে বৈদেশিক অংশের টাকা। তা কমায় আমাদের লোকসান হচ্ছে। সংকটের এ সময়ে আমাদের উচিত ছিল বেশি করে বিদেশের টাকা আনা। আমাদের দরকার বিদেশি টাকা ব্যবহার করে দেশি টাকা বাঁচানো। অথচ আমরা উল্টো দিকে যাচ্ছি।’
গতি বাড়ানোর তাগিদ
মেগা প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টাস্কফোর্সের সবশেষ সভায় এই তাগিদ দেওয়া হয়। সভায় বলা হয়, ডলারের সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজের গতি বাড়াতে হবে। এমআরটি-১-এর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও অন্যান্য কাজে নির্ধারিত জমি দ্রুত ডিএমটিসিএলকে বুঝিয়ে দিতে হবে। সভায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ত্বরান্বিত করা এবং রামপাল প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে সিনিয়র সচিব ও সচিবদের প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের অনুরোধ করা হয়।এ ছাড়া সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করার কথা বলা হয়। যেখানে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হবে।
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্য অংশে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক অর্থই বেশি খরচ করা দরকার।
এদিকে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স বড় প্রকল্পগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে।
বরাদ্দ কমছে এমন মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের তিনটির মধ্যে দুটির, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পদ্মা সেতু, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চলতি অর্থবছরে ডলারের সংকট, রাজস্ব ঘাটতিসহ প্রধান প্রধান আয়ের খাত দুর্বল হওয়ায় খরচে কৃচ্ছ্রসাধন করছে সরকার। অত্যাবশ্যক প্রকল্প ছাড়া অন্য সব প্রকল্পে অর্থ ছাড় কমানো বা স্থগিত করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত ডলার না পাওয়ায় চলমান মেগা প্রকল্পের ঠিকাদারের বিল পরিশোধও চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বড় তিনটি প্রকল্প–হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রোরেলের উত্তরা-মতিঝিল পুরো অংশ, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের ব্যাপারে জোর দিচ্ছে সরকার। মেট্রোরেলের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।
নির্বাচনের আগেই আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত অংশও উদ্বোধন করতে চায় সরকার। এ জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হওয়া এমআরটি-৬ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
তবে মেট্রোরেলের অন্য দুটি প্রকল্পে বরাদ্দ অনেক কমছে। এর মধ্যে প্রথম পাতাল মেট্রোরেল ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট–‘এমআরটি-১’ প্রকল্পে অর্থবছরের শুরুতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। আরএডিপি বা সংশোধিত এডিপিতে কমে হচ্ছে ৪৮৩ কোটি টাকা। বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-রামপুরা-মালিবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত চলবে এ মেট্রো। এ ছাড়া হেমায়েতপুর-গাবতলী-মিরপুর ১-কচুক্ষেত-গুলশান ২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি-৫ প্রকল্পে মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪০৬ কোটি টাকা।
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আট মাস পরও এখনো শেষ হয়নি মূল প্রকল্পের কাজ। ৯৪ শতাংশ কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের এ বছরের বরাদ্দ ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দ কমায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মূল এডিপিতে রাখা ছিল ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। কমে হচ্ছে ১১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এতে বিদেশি অংশ কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, অন্যদিকে বেড়েছে দেশীয় অংশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজের গতিও কমেছে। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বরাদ্দ ৩ হাজার ৭০২ কোটি টাকা থেকে কমে হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুমুখী সড়ক টানেল’ প্রকল্পে বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা হচ্ছে। বরাদ্দ কমলে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটির গতি কমতে পারে।
প্রায় এক দশক ধরে চলমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগ প্রকল্পের বরাদ্দ ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা থেকে কমে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১৯ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ৪ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়া তৃতীয় টার্মিনালের একাংশ আগামী অক্টোবরে উদ্বোধনের আশা করছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর জন্য মূল এডিপিতে ছিল ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে তা কমে হচ্ছে ২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। এর দুই প্রকল্পে বরাদ্দ হচ্ছে ১ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
তবে বরাদ্দ বাড়ছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে। ৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৫০ শতাংশ। একইভাবে মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বরাদ্দ ৬ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের সংশোধিত এডিপিতে বড় কাটছাঁট হচ্ছে। এর পুরোটাই প্রকল্প সাহায্য অংশ থেকে। মন্ত্রণালয়গুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই সংশোধিত এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১ মার্চ এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি অনুমোদন করবেন। কোথায় কত টাকা যাবে তা এনইসিতেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে এর বেশি বলা সম্ভব নয়।
জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বরাদ্দ কমছে, তার বেশির ভাগই প্রকল্পে বৈদেশিক অংশের টাকা। তা কমায় আমাদের লোকসান হচ্ছে। সংকটের এ সময়ে আমাদের উচিত ছিল বেশি করে বিদেশের টাকা আনা। আমাদের দরকার বিদেশি টাকা ব্যবহার করে দেশি টাকা বাঁচানো। অথচ আমরা উল্টো দিকে যাচ্ছি।’
গতি বাড়ানোর তাগিদ
মেগা প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টাস্কফোর্সের সবশেষ সভায় এই তাগিদ দেওয়া হয়। সভায় বলা হয়, ডলারের সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজের গতি বাড়াতে হবে। এমআরটি-১-এর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও অন্যান্য কাজে নির্ধারিত জমি দ্রুত ডিএমটিসিএলকে বুঝিয়ে দিতে হবে। সভায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ত্বরান্বিত করা এবং রামপাল প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে সিনিয়র সচিব ও সচিবদের প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের অনুরোধ করা হয়।এ ছাড়া সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভা আহ্বান করার কথা বলা হয়। যেখানে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হবে।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাত
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাত
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাত
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
ডলার ও অর্থ সংকটে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দেও কাঁচি চালানো হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এই টাকার সিংহভাগ হচ্ছে প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অংশ। বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাত
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৬ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫