Ajker Patrika

আন্দোলনের ফসল ‘সুরম্য’ ছাত্রাবাস এখনো অসমাপ্ত

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা 
আন্দোলনের ফসল ‘সুরম্য’ ছাত্রাবাস এখনো অসমাপ্ত

গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল ছাত্রাবাস নির্মাণ। ‘সুরম্য’ নামের ভবনটি দেড় বছরের মধ্যে বসবাসের উপযোগী হওয়ার কথা থাকলেও ছয় বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এর ফলে বেশি টাকা খরচ করে মেসে থাকতে হচ্ছে ছাত্রদের।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১০০ ছাত্রের বসবাসের জন্য ৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি পাঁচতলা ভবন নির্মাণে ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কাজ শুরু হয়। কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো তা শেষ হয়নি।

গাইবান্ধার শীর্ষ বিদ্যাপীঠ এ কলেজ ১৯৪৭ সালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট রোড ঘেঁষে ১৩ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে। বর্তমানে এখানে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ১১ হাজার ৩৩৬ জন।

কলেজের ছাত্র খোকন বলেন, ‘রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে এখানে পড়াশোনা করতে আসছি। বাড়ি অনেক দূরে বলে মেসে থাকতে হয়। কলেজের ছাত্রাবাসটি চালু থাকলে সুবিধা হতো।’

আরেক ছাত্র হাফিজের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নে। তিনি থাকেন কলেজ পাড়ার একটি মেসে। সেখানে আশপাশের স্থানীয় ছেলেরা প্রায়ই বিরক্ত করে। ছাত্রাবাস থাকলে বহিরাগতরা তেমন বিরক্ত করতে পারত না।

শিক্ষার্থী রোমান বলেন, ‘মেসে ভাড়া অনেক বেশি। এক কক্ষে তিন-চারজনকে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। পড়াশোনায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমাদের প্রতি মাসে ৬০০-৭০০ টাকা দিয়ে থাকতে হচ্ছে। অথচ কলেজের ছাত্রীনিবাসে আমার সহপাঠীরা ৩০০ টাকা দিয়ে থাকছেন।’

কাজ শেষ না সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল হান্নান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার লাইসেন্স দিয়ে গাইবান্ধার আনিছুর রহমান কাজটি করেন। কাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তর করার জন্য তাঁকে বারবার তাগাদা দিচ্ছি। কেন সে কাজ শেষ করে হস্তান্তর করছে না, তা বুঝতে পারছি না। প্রয়োজনে কাজটি বাতিলের জন্য আমি নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেব। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’

তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আনিছুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান জানান, কাজ প্রায় শেষ। বিদ্যুতের কিছু কাজ বাকি আছে। এটি দ্রুত শেষ করে ভবন হস্তান্তর করার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।

যোগাযোগ করা হলে গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ বলেন, ‘কাজের মেয়াদ তিন দফা বাড়ানো হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে হস্তান্তর না করলে তাদের লাইসেন্স ব্লক করে দেওয়া হবে। তারা শিক্ষা প্রকৌশলের আর কোনো কাজের দরপত্রে অংশ নিতে পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইসিএক্স বাদ দিলে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত