আব্দুর রাজ্জাক
বাজেট পেশের পর থেকে যে কথাটা নিয়ে জোরালো আলোচনা হয়েছিল সেটি ছিল, বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা। বাজেটে বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ একটি নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স দিয়ে বৈধ করে ফেরত আনা যাবে। এই পদ্ধতিতে কোনো মানুষ টাকা ফেরত আনবে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার করতে হলে হুন্ডি করে পাচার করতে হয়, এই হুন্ডি করতে হলে ব্যাংকের বিনিময় হারের চেয়ে কম করে হলেও শতকরা ৭ থেকে ৮ ভাগ বেশি মূল্যে টাকা পাচার করতে হয়। যেসব দেশে এই টাকা রাখা আছে, সেখানে ব্যাংকের সুদ ৩ শতাংশের বেশি না। অথচ এই টাকা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে থাকলে কম করে হলেও শতকরা ৭ ভাগ হারে সুদ পেতেন। সরকার যে হারে ট্যাক্স দিয়ে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে চেয়েছে, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে এই টাকা ফেরত আনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কেননা, এতে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হবে।
তাহলে কি রাষ্ট্র হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? বিদেশে পাচার করা এই টাকা ফেরত আনার কোনো ব্যবস্থা নেবে না? অবশ্যই নেবে। সেটা হতে হবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিধি মোতাবেক।
যেসব দেশে আমাদের টাকা পাচার হয়েছে, ওই সব দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বৈত করনীতির আওতায় চুক্তি করে, ওই সব দেশের সরকারের মাধ্যমে পাচার করা টাকার পরিমাণ ও স্বরূপ উদ্ঘাটন করে চুক্তি করা যেতে পারে। চুক্তির আওতায় টাকা ফেরত আনা যেতে পারে। শুধু দরকার জোরালো সদিচ্ছার।
আমরা সব সময়ই বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। কেননা, আমাদের কর্মসংস্থানের দরকার। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক্সপোর্ট প্রমোশন জোন তৈরি করে সেখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবকাঠামো তৈরি, যোগাযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে থাকি।
যেসব বিদেশি আমাদের দেশে বিনিয়োগ করেন, তাঁরা অবশ্যই আমাদের দেশের মাটি, ভৌত অবকাঠামো, জ্বালানি ও মানবসম্পদ ব্যবহার করেন। এই সস্তা মানবসম্পদ ব্যবহারের ফলে উৎপাদিত পণ্যের দাম তুলনামূলক কম হয়। কিন্তু এই মানবসম্পদের জন্য যদি বিনিয়োগকারীরা ঠিকমতো পারিশ্রমিক পরিশোধ না করে, চাকরির শেষে যথাযথ পেনশনব্যবস্থা, কর্মীদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের ব্যাপারে যথাযথ আইন করে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই বিনিয়োগ সুদূরপ্রসারী কোনো ফল বয়ে আনবে না। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাঁদের বিনিয়োগের অর্থসহ লাভ নিয়ে যাবেন, আর আমরা আমাদের সম্পদের অপচয় করব। ২৫ থেকে ৩০ বছর পরে আমাদের এই শ্রমিকশ্রেণির জনগোষ্ঠী যখন অবসর গ্রহণ করবেন, তখন তাঁরা সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে দেওয়া যেতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের সঙ্গে চুক্তি থাকবে, প্রথম ১০ বছর তাঁদের লাভের শতভাগ নেবে, পরবর্তী পাঁচ বছর ৭৫ ভাগ নেবে, ২৫ ভাগ এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে বিনিয়োগ করতে হবে। পরবর্তী পাঁচ বছর লাভের ৬০ ভাগ নেবে, ৪০ ভাগ এখানে একই পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করতে হবে। ২৫ থেকে ৩০ বছর পরে বিনিয়োগকৃত কোম্পানিটির মালিক হবেন এখানে যাঁরা কাজ করেছিল, সেই সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বছরের হিসাব এখানে কম-বেশি হতে পারে।
আমাদের দেশে সাধারণত জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপার্জন সক্ষমতা ততটা বাড়ে না। তাই যে করে হোক টাকার অবমূল্যায়ন রোধ করতে হবে। যদি টাকার অবমূল্যায়ন রোধ করা যায়, তাহলে বিদেশে টাকা পাচারের প্রবণতাও কমে যাবে।
পরোক্ষ কর আদায়ের ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের লক্ষ্যে পরোক্ষ কর আইনে রক্ষাকবচ থাকতে হবে। এখানে ভ্যাট ও কাস্টম ডিউটি আদায়ের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করার জন্য আইন করতে হবে।
এ বিষয়গুলো বাজেট পেশের আগে বাজেটে সন্নিবেশিত করলে জাতি উপকৃত হবে।
বাজেট পেশের পর থেকে যে কথাটা নিয়ে জোরালো আলোচনা হয়েছিল সেটি ছিল, বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা। বাজেটে বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ একটি নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স দিয়ে বৈধ করে ফেরত আনা যাবে। এই পদ্ধতিতে কোনো মানুষ টাকা ফেরত আনবে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার করতে হলে হুন্ডি করে পাচার করতে হয়, এই হুন্ডি করতে হলে ব্যাংকের বিনিময় হারের চেয়ে কম করে হলেও শতকরা ৭ থেকে ৮ ভাগ বেশি মূল্যে টাকা পাচার করতে হয়। যেসব দেশে এই টাকা রাখা আছে, সেখানে ব্যাংকের সুদ ৩ শতাংশের বেশি না। অথচ এই টাকা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে থাকলে কম করে হলেও শতকরা ৭ ভাগ হারে সুদ পেতেন। সরকার যে হারে ট্যাক্স দিয়ে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে চেয়েছে, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে এই টাকা ফেরত আনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কেননা, এতে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হবে।
তাহলে কি রাষ্ট্র হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? বিদেশে পাচার করা এই টাকা ফেরত আনার কোনো ব্যবস্থা নেবে না? অবশ্যই নেবে। সেটা হতে হবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিধি মোতাবেক।
যেসব দেশে আমাদের টাকা পাচার হয়েছে, ওই সব দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বৈত করনীতির আওতায় চুক্তি করে, ওই সব দেশের সরকারের মাধ্যমে পাচার করা টাকার পরিমাণ ও স্বরূপ উদ্ঘাটন করে চুক্তি করা যেতে পারে। চুক্তির আওতায় টাকা ফেরত আনা যেতে পারে। শুধু দরকার জোরালো সদিচ্ছার।
আমরা সব সময়ই বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। কেননা, আমাদের কর্মসংস্থানের দরকার। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক্সপোর্ট প্রমোশন জোন তৈরি করে সেখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবকাঠামো তৈরি, যোগাযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে থাকি।
যেসব বিদেশি আমাদের দেশে বিনিয়োগ করেন, তাঁরা অবশ্যই আমাদের দেশের মাটি, ভৌত অবকাঠামো, জ্বালানি ও মানবসম্পদ ব্যবহার করেন। এই সস্তা মানবসম্পদ ব্যবহারের ফলে উৎপাদিত পণ্যের দাম তুলনামূলক কম হয়। কিন্তু এই মানবসম্পদের জন্য যদি বিনিয়োগকারীরা ঠিকমতো পারিশ্রমিক পরিশোধ না করে, চাকরির শেষে যথাযথ পেনশনব্যবস্থা, কর্মীদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের ব্যাপারে যথাযথ আইন করে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই বিনিয়োগ সুদূরপ্রসারী কোনো ফল বয়ে আনবে না। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাঁদের বিনিয়োগের অর্থসহ লাভ নিয়ে যাবেন, আর আমরা আমাদের সম্পদের অপচয় করব। ২৫ থেকে ৩০ বছর পরে আমাদের এই শ্রমিকশ্রেণির জনগোষ্ঠী যখন অবসর গ্রহণ করবেন, তখন তাঁরা সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে দেওয়া যেতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের সঙ্গে চুক্তি থাকবে, প্রথম ১০ বছর তাঁদের লাভের শতভাগ নেবে, পরবর্তী পাঁচ বছর ৭৫ ভাগ নেবে, ২৫ ভাগ এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে বিনিয়োগ করতে হবে। পরবর্তী পাঁচ বছর লাভের ৬০ ভাগ নেবে, ৪০ ভাগ এখানে একই পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করতে হবে। ২৫ থেকে ৩০ বছর পরে বিনিয়োগকৃত কোম্পানিটির মালিক হবেন এখানে যাঁরা কাজ করেছিল, সেই সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বছরের হিসাব এখানে কম-বেশি হতে পারে।
আমাদের দেশে সাধারণত জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপার্জন সক্ষমতা ততটা বাড়ে না। তাই যে করে হোক টাকার অবমূল্যায়ন রোধ করতে হবে। যদি টাকার অবমূল্যায়ন রোধ করা যায়, তাহলে বিদেশে টাকা পাচারের প্রবণতাও কমে যাবে।
পরোক্ষ কর আদায়ের ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা স্বেচ্ছাচারিতা লক্ষ করা যায়। স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের লক্ষ্যে পরোক্ষ কর আইনে রক্ষাকবচ থাকতে হবে। এখানে ভ্যাট ও কাস্টম ডিউটি আদায়ের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করার জন্য আইন করতে হবে।
এ বিষয়গুলো বাজেট পেশের আগে বাজেটে সন্নিবেশিত করলে জাতি উপকৃত হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪