নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যস্ত রাজধানীতে পথ চলতে এবং এক জায়গা থেকে এমনকি নিকট দূরত্বে যেতেও যখন জেরবার অবস্থা, তখন মেট্রোরেল চালু হওয়াকে নগরবাসীর জন্য সুখবর বলে মনে করেন পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেট্রো চালু হলে গণপরিবহন বলতে কী বোঝায়, মানুষ তা বুঝতে পারবে। এটা সর্বজনীন গণপরিবহনব্যবস্থা। এটা একবার যারা ব্যবহার করবে, তারা নেশায় পড়ে যাবে। বাসা থেকে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বের হতে হবে না। গন্তব্যে কখন পৌঁছাবে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। উপযোগিতা অনেক পাওয়া যাবে। এটা নগরবাসীর জন্য সুখবর।
তবে শুরুতে উত্তরা থেকে সরাসরি শুধু আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে। এ কারণে এই পরিবহনব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়নের সময় আসেনি বলে মনে করেন অধ্যাপক শামসুল হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন।
মেট্রোরেলের মূল লক্ষ্য গণমানুষের পরিবহন তৈরি করা হলেও পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এখনো জনবান্ধব হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটা গোছালো হয়নি। পরিকল্পিত হয়নি। বর্তমান মেট্রোরেলকে ফ্লাইওভারের মতো একটি খণ্ডিত উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, একটা মেট্রোরেলের সঙ্গে সমন্বয় করে ফুটপাত ও সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়নি। ফলে মেট্রোরেলের স্টেশনকেন্দ্রিক নতুন যানজট তৈরি হতে পারে।
অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া নিম্নবিত্ত মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে নেই। আশপাশের দেশে মেট্রোর ভাড়া অত্যন্ত কম। তবে মেট্রো যারা ব্যবহার করবে, তারা পূর্ণমাত্রায় উপযোগিতা পাবে। ওঠা-নামা করতে জটিলতায় পড়বে। কারণ, পর্যাপ্ত ফুটপাত নেই। স্টেশনকেন্দ্রিক পরিকল্পিত সড়ক নেটওয়ার্ক নেই। স্টেশনে যখন দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ একসঙ্গে ওঠা-নামা করবে, তখন নতুন করে যানজট তৈরির কারণ হবে। এতে মেট্রোরেলের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
মেট্রোরেলকে দেশের গণযোগাযোগে বড় ধরনের মাইলস্টোন বলে মনে করেন আরেক বিশেষজ্ঞ স্থপতি ইকবাল হাবিব। তবে তাঁরও আপত্তি আছে ভাড়া নিয়ে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের সেবার ভাড়া মানুষের সামর্থ্য মনে রেখে নির্ধারণ করতে হয়।
ঢাকার মানুষ যাতায়াতে দৈনিক ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ব্যয় করে জানিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের আওতার বাইরে। সবার স্বার্থে ভাড়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা উচিত। অন্য স্টেশনগুলো যখন চালু হবে, তখন সরকার যেন ভাড়া আরও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসে।
ইকবাল হাবিব আশা প্রকাশ করেন, সড়ক নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে তৈরি করা গেলে মেট্রোরেলের উপযোগিতা বাড়বে। ভবিষ্যতে মেট্রোরেলটি প্রকৃত গণপরিবহনে পরিণত হবে।
আপাতত মেট্রোরেল যানজট নিরসন ও মানুষের যাতায়াতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে এই স্থপতি বলেন, মেট্রোরেল এককভাবে জনচলাচলের সমাধান করে না। এর সঙ্গে অন্যান্য পরিবহনের যুক্ততা রয়েছে। আগারগাঁও এর জন্য প্রস্তুত নয়। সেখানে পার্কিং ও বাস দাঁড়ানোর জায়গা নেই।
ব্যস্ত রাজধানীতে পথ চলতে এবং এক জায়গা থেকে এমনকি নিকট দূরত্বে যেতেও যখন জেরবার অবস্থা, তখন মেট্রোরেল চালু হওয়াকে নগরবাসীর জন্য সুখবর বলে মনে করেন পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেট্রো চালু হলে গণপরিবহন বলতে কী বোঝায়, মানুষ তা বুঝতে পারবে। এটা সর্বজনীন গণপরিবহনব্যবস্থা। এটা একবার যারা ব্যবহার করবে, তারা নেশায় পড়ে যাবে। বাসা থেকে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বের হতে হবে না। গন্তব্যে কখন পৌঁছাবে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। উপযোগিতা অনেক পাওয়া যাবে। এটা নগরবাসীর জন্য সুখবর।
তবে শুরুতে উত্তরা থেকে সরাসরি শুধু আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে। এ কারণে এই পরিবহনব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়নের সময় আসেনি বলে মনে করেন অধ্যাপক শামসুল হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন।
মেট্রোরেলের মূল লক্ষ্য গণমানুষের পরিবহন তৈরি করা হলেও পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এখনো জনবান্ধব হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটা গোছালো হয়নি। পরিকল্পিত হয়নি। বর্তমান মেট্রোরেলকে ফ্লাইওভারের মতো একটি খণ্ডিত উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, একটা মেট্রোরেলের সঙ্গে সমন্বয় করে ফুটপাত ও সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়নি। ফলে মেট্রোরেলের স্টেশনকেন্দ্রিক নতুন যানজট তৈরি হতে পারে।
অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া নিম্নবিত্ত মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে নেই। আশপাশের দেশে মেট্রোর ভাড়া অত্যন্ত কম। তবে মেট্রো যারা ব্যবহার করবে, তারা পূর্ণমাত্রায় উপযোগিতা পাবে। ওঠা-নামা করতে জটিলতায় পড়বে। কারণ, পর্যাপ্ত ফুটপাত নেই। স্টেশনকেন্দ্রিক পরিকল্পিত সড়ক নেটওয়ার্ক নেই। স্টেশনে যখন দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ একসঙ্গে ওঠা-নামা করবে, তখন নতুন করে যানজট তৈরির কারণ হবে। এতে মেট্রোরেলের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
মেট্রোরেলকে দেশের গণযোগাযোগে বড় ধরনের মাইলস্টোন বলে মনে করেন আরেক বিশেষজ্ঞ স্থপতি ইকবাল হাবিব। তবে তাঁরও আপত্তি আছে ভাড়া নিয়ে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের সেবার ভাড়া মানুষের সামর্থ্য মনে রেখে নির্ধারণ করতে হয়।
ঢাকার মানুষ যাতায়াতে দৈনিক ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ব্যয় করে জানিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়া নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের আওতার বাইরে। সবার স্বার্থে ভাড়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা উচিত। অন্য স্টেশনগুলো যখন চালু হবে, তখন সরকার যেন ভাড়া আরও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসে।
ইকবাল হাবিব আশা প্রকাশ করেন, সড়ক নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে তৈরি করা গেলে মেট্রোরেলের উপযোগিতা বাড়বে। ভবিষ্যতে মেট্রোরেলটি প্রকৃত গণপরিবহনে পরিণত হবে।
আপাতত মেট্রোরেল যানজট নিরসন ও মানুষের যাতায়াতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে এই স্থপতি বলেন, মেট্রোরেল এককভাবে জনচলাচলের সমাধান করে না। এর সঙ্গে অন্যান্য পরিবহনের যুক্ততা রয়েছে। আগারগাঁও এর জন্য প্রস্তুত নয়। সেখানে পার্কিং ও বাস দাঁড়ানোর জায়গা নেই।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪