আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ১১০ কোটি টাকায় হংকং থেকে দুটি টাগবোট কেনা হয়েছে তিন মাস আগে। এখন এই টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে দুই দলে ভাগ করে মোট ১০ জন যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর। প্রশিক্ষণার্থীর তালিকায় আছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব, বন্দরের পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান এবং একটি প্রকল্প পরিচালকের নামও।
ডলারের সংকট ও সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশভ্রমণে সরকারি নির্দেশনা আছে। এই অবস্থায় টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিদেশে পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ৪ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ হবে বলে সরকারি নির্দেশনা জারি করা হয় ১ সেপ্টেম্বর। তবে গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত ভিসা না পাওয়ায় সফরকারী দলের একজনও সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়তে পারেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্দরের কিছু কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা। এর বাইরে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
প্রশিক্ষণের তালিকায় যাঁরা
বিদেশসফরের জন্য প্রথম তালিকায় নাম আছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের (পরিকল্পনা-৩) উপসচিব মো. আলমগীর কবির, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিকল্পনা প্রধান মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ চৌধুরী, সহকারী হারবার মাস্টার আবু সাঈদ মোহাম্মদ কামরুল আলম, ইনল্যান্ড মাস্টার মো. আবুল কাশেম ও ইঞ্জিনচালক মো. মোশারফ হোসেনের। দ্বিতীয় তালিকার পাঁচজনের মধ্যে আছেন বন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাহিদুল ইসলাম, বালু অপসারণের জাহাজ খননের জ্যেষ্ঠ ড্রেজিং মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম, পাইলট ফজলে রাব্বি, ইনল্যান্ড মাস্টার আনিসুর রহমান ও ইঞ্জিনচালক ইলিয়াস কামাল।
বিদেশে প্রশিক্ষণের খরচ টাগবোট দুটি সরবরাহকারী হংকংয়ের প্রতিষ্ঠান চ লি শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড বহন করবে বলে সরকারি আদেশে বলা আছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে কান্ডারি-৩ ও কান্ডারি-৪ নামের দুটি টাগবোট বন্দর ক্রয় করে গত জুন মাসে। তিন মাস ধরে টাগবোট দুটি বন্দরের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। মূল বহির্নোঙর থেকে জাহাজ আনা-নেওয়া এবং জেটিতে ভেড়ানোর কাজে টাগবোট ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হয় টাগবোট। নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দেশীয় প্রতিষ্ঠান।
টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণে আপনার নাম কেন ও কীভাবে এল, এমন প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের (পরিকল্পনা-৩) উপসচিব মো. আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তেমন কিছু জানি না।’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জেনে নিতে পরামর্শ দেন তিনি। প্রশাসনে থাকা কর্মকর্তার জন্য কেন টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণ দরকার জানতে চাইলে মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘আমাদেরও টাগবোট চালনার অভিজ্ঞতার দরকার আছে।’
প্রশিক্ষণের তালিকায় নাম থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের জ্যেষ্ঠ ড্রেজিং মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি বন্দরের কেনা কান্ডারি-৩ ও কান্ডারি-৪-এর পরিচালনা শিখতে আমাদের সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।’
তালিকায় থাকা আরেকজন পাইলট আবু সাঈদ মোহাম্মদ কামরুল আলম বলেন, ‘আমার নামে সরকারি আদেশ হলেও যেতে পারি কি না সন্দেহ। কারণ আমার পাসপোর্ট আপডেট নেই।’
উল্লেখ্য, পাইলট আবু সাঈদ মোহাম্মদ কামরুল আলমসহ চার কর্মকর্তার নামে নেদারল্যান্ডস সফরের আরও একটি সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর সফর শেষ করে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আরও পাঁচ দিনের জন্য নেদারল্যান্ডসে যাবেন এই বন্দর কর্মকর্তারা। সেখানে তাঁদের একটি সেমিনারে যোগ দেওয়ার কথা।
চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ১১০ কোটি টাকায় হংকং থেকে দুটি টাগবোট কেনা হয়েছে তিন মাস আগে। এখন এই টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে দুই দলে ভাগ করে মোট ১০ জন যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর। প্রশিক্ষণার্থীর তালিকায় আছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব, বন্দরের পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান এবং একটি প্রকল্প পরিচালকের নামও।
ডলারের সংকট ও সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশভ্রমণে সরকারি নির্দেশনা আছে। এই অবস্থায় টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিদেশে পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ৪ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ হবে বলে সরকারি নির্দেশনা জারি করা হয় ১ সেপ্টেম্বর। তবে গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত ভিসা না পাওয়ায় সফরকারী দলের একজনও সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়তে পারেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্দরের কিছু কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা। এর বাইরে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
প্রশিক্ষণের তালিকায় যাঁরা
বিদেশসফরের জন্য প্রথম তালিকায় নাম আছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের (পরিকল্পনা-৩) উপসচিব মো. আলমগীর কবির, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিকল্পনা প্রধান মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ চৌধুরী, সহকারী হারবার মাস্টার আবু সাঈদ মোহাম্মদ কামরুল আলম, ইনল্যান্ড মাস্টার মো. আবুল কাশেম ও ইঞ্জিনচালক মো. মোশারফ হোসেনের। দ্বিতীয় তালিকার পাঁচজনের মধ্যে আছেন বন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাহিদুল ইসলাম, বালু অপসারণের জাহাজ খননের জ্যেষ্ঠ ড্রেজিং মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম, পাইলট ফজলে রাব্বি, ইনল্যান্ড মাস্টার আনিসুর রহমান ও ইঞ্জিনচালক ইলিয়াস কামাল।
বিদেশে প্রশিক্ষণের খরচ টাগবোট দুটি সরবরাহকারী হংকংয়ের প্রতিষ্ঠান চ লি শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড বহন করবে বলে সরকারি আদেশে বলা আছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে কান্ডারি-৩ ও কান্ডারি-৪ নামের দুটি টাগবোট বন্দর ক্রয় করে গত জুন মাসে। তিন মাস ধরে টাগবোট দুটি বন্দরের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। মূল বহির্নোঙর থেকে জাহাজ আনা-নেওয়া এবং জেটিতে ভেড়ানোর কাজে টাগবোট ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হয় টাগবোট। নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দেশীয় প্রতিষ্ঠান।
টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণে আপনার নাম কেন ও কীভাবে এল, এমন প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের (পরিকল্পনা-৩) উপসচিব মো. আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তেমন কিছু জানি না।’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জেনে নিতে পরামর্শ দেন তিনি। প্রশাসনে থাকা কর্মকর্তার জন্য কেন টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণ দরকার জানতে চাইলে মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘আমাদেরও টাগবোট চালনার অভিজ্ঞতার দরকার আছে।’
প্রশিক্ষণের তালিকায় নাম থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের জ্যেষ্ঠ ড্রেজিং মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি বন্দরের কেনা কান্ডারি-৩ ও কান্ডারি-৪-এর পরিচালনা শিখতে আমাদের সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।’
তালিকায় থাকা আরেকজন পাইলট আবু সাঈদ মোহাম্মদ কামরুল আলম বলেন, ‘আমার নামে সরকারি আদেশ হলেও যেতে পারি কি না সন্দেহ। কারণ আমার পাসপোর্ট আপডেট নেই।’
উল্লেখ্য, পাইলট আবু সাঈদ মোহাম্মদ কামরুল আলমসহ চার কর্মকর্তার নামে নেদারল্যান্ডস সফরের আরও একটি সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর সফর শেষ করে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আরও পাঁচ দিনের জন্য নেদারল্যান্ডসে যাবেন এই বন্দর কর্মকর্তারা। সেখানে তাঁদের একটি সেমিনারে যোগ দেওয়ার কথা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪