আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় ৬ মাসে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ডিম উৎপাদন হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে ডিম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ কোটি, যা প্রাণিসম্পদ বিভাগের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ এবং স্থানীয় চাহিদার ৬ গুণ বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ফকিরহাটে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নিবন্ধিত ডিম উৎপাদনকারী লেয়ার মুরগি খামার রয়েছে ২০৫টি ও হাঁসের খামার রয়েছে ২৫ টি। এসব খামারে প্রায় ৭ লাখ ২৮ হাজার মুরগি ও ১ লাখ ৪৮ হাজার হাঁস রয়েছে। যা থেকে গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ডিম উৎপাদন হয়েছে।
এদিকে উপজেলার ডিম উৎপাদনকারী বিভিন্ন লেয়ার মুরগি খামারি, ডিম সরবরাহকারী, পোলট্রি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফকিরহাটের ৮ ইউনিয়নে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩২০টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। এ ছাড়া গৃহপালিত হাঁস ও দেশি মুরগির উৎপাদিত ডিম প্রাণী সম্পদ বিভাগের হিসেবে যোগ করলে ৬ মাসে উৎপাদিত ডিমের পরিমাণ হবে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয় বেতাগা ইউনিয়নে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, পুষ্টির মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতি বছর একজন ব্যক্তির ১০২টি ডিমের প্রয়োজন। ফকিরহাটে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। সে হিসেব অনুযায়ী ৬ মাসে ফকিরহাট উপজেলায় ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডিমের চাহিদা রয়েছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ডিম উপজেলার বাইরে সরবরাহ করা হয়।
জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশের উদ্যোগে বেতাগা ও শুভদিয়া ইউনিয়নে পোলট্রি খামারের বাণিজ্যিক বিকাশ শুরু হয়।
বর্তমানে এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে খামারিদের দাবি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে তাঁরা আশানুরূপ সহযোগিতা পান না। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, টিকা ও চিকিৎসা পরামর্শ পেলে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব বলে তাঁরা জানান।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বলছে, গত ৬ মাসে উপজেলায় ২ লাখ ১১ হাজার ৮০০ হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও ৫২ হাজার ৭৯৫টি হাঁস-মুরগিকে সরকারিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, এ ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাত্রা উপজেলার মোট হাঁস-মুরগির তুলনায় খুবই অপ্রতুল। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দাবি, জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
লখপুর ইউনিয়নের খামারি মো. দিপু, ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক নওশের আলী বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন খামারি ডিম উৎপাদনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর লেয়ার খামার গড়ে তুলেছেন। বাজারে আমাদের খামারে উৎপাদিত ডিমের বেশ চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পুস্পেন কুমার শিকদার বলেন, ‘মানব দেহের ইমিউনিটি বাড়াতে ডিম খুবই কার্যকর। এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন খামারিকে প্রায় ২ কোটি টাকা সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।’
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় ৬ মাসে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ডিম উৎপাদন হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে ডিম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ কোটি, যা প্রাণিসম্পদ বিভাগের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ এবং স্থানীয় চাহিদার ৬ গুণ বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ফকিরহাটে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নিবন্ধিত ডিম উৎপাদনকারী লেয়ার মুরগি খামার রয়েছে ২০৫টি ও হাঁসের খামার রয়েছে ২৫ টি। এসব খামারে প্রায় ৭ লাখ ২৮ হাজার মুরগি ও ১ লাখ ৪৮ হাজার হাঁস রয়েছে। যা থেকে গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ডিম উৎপাদন হয়েছে।
এদিকে উপজেলার ডিম উৎপাদনকারী বিভিন্ন লেয়ার মুরগি খামারি, ডিম সরবরাহকারী, পোলট্রি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফকিরহাটের ৮ ইউনিয়নে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩২০টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। এ ছাড়া গৃহপালিত হাঁস ও দেশি মুরগির উৎপাদিত ডিম প্রাণী সম্পদ বিভাগের হিসেবে যোগ করলে ৬ মাসে উৎপাদিত ডিমের পরিমাণ হবে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয় বেতাগা ইউনিয়নে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, পুষ্টির মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতি বছর একজন ব্যক্তির ১০২টি ডিমের প্রয়োজন। ফকিরহাটে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। সে হিসেব অনুযায়ী ৬ মাসে ফকিরহাট উপজেলায় ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডিমের চাহিদা রয়েছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ডিম উপজেলার বাইরে সরবরাহ করা হয়।
জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশের উদ্যোগে বেতাগা ও শুভদিয়া ইউনিয়নে পোলট্রি খামারের বাণিজ্যিক বিকাশ শুরু হয়।
বর্তমানে এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে খামারিদের দাবি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে তাঁরা আশানুরূপ সহযোগিতা পান না। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, টিকা ও চিকিৎসা পরামর্শ পেলে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব বলে তাঁরা জানান।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বলছে, গত ৬ মাসে উপজেলায় ২ লাখ ১১ হাজার ৮০০ হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও ৫২ হাজার ৭৯৫টি হাঁস-মুরগিকে সরকারিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, এ ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাত্রা উপজেলার মোট হাঁস-মুরগির তুলনায় খুবই অপ্রতুল। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দাবি, জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
লখপুর ইউনিয়নের খামারি মো. দিপু, ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক নওশের আলী বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন খামারি ডিম উৎপাদনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর লেয়ার খামার গড়ে তুলেছেন। বাজারে আমাদের খামারে উৎপাদিত ডিমের বেশ চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পুস্পেন কুমার শিকদার বলেন, ‘মানব দেহের ইমিউনিটি বাড়াতে ডিম খুবই কার্যকর। এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন খামারিকে প্রায় ২ কোটি টাকা সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫