Ajker Patrika

‘এক্সট্রা’ শিল্পীদের জীবনের গল্প

খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯: ২৫
‘এক্সট্রা’ শিল্পীদের জীবনের গল্প

উত্তরার আপনঘর শুটিং হাউসের মেকআপ রুমটা তুলনায় ছোট। ক্যামেরা ধরার জন্য যতখানি জায়গা দরকার পড়ে, ততটা নেই। চিত্রগ্রাহক সুমন তাই বাথরুমের ভেতর থেকে ক্যামেরা তাক করেছেন আয়নার সামনে বসা নায়িকার দিকে। বাইরে ড্রয়িংরুমে রাখা মনিটরের সামনে বসে নির্দেশনা দিচ্ছেন পরিচালক ইমাম হোসেন শামীম। ‘এক্সট্রা’ নাটকের শুটিং চলছে। নাটক বা সিনেমায় প্রধান কিছু চরিত্রের বাইরে কিছু গৌণ চরিত্র থাকে। সে চরিত্রগুলো দেওয়া হয় নতুন শিল্পীদের। তাঁদের জীবনের গল্প নিয়েই নাটক ‘এক্সট্রা’।

গল্প অনুযায়ী এই দৃশ্যে পরিচালক এসে নায়িকার মেকআপ চেক করবেন, কস্টিউম বাছাই করে দেবেন, সহকারী পরিচালককে তাগাদা দেবেন দ্রুত শট শুরু করতে। পরিচালকের চরিত্রটি করছেন রুকাইয়া জাহান চমক। চিত্রনাট্য অনুযায়ী তিনি মেকআপ রুমে এসে দৃশ্যটি করে বেরিয়ে গেলেন। পরিচালক ওকে বললেন।

পরের দৃশ্যটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। লম্বা ড্রয়িংরুমের পুরোটা লাইট করতে হবে, তার জন্য খানিকটা সময় লাগবে। তাই নাশতার বিরতি দিলেন পরিচালক। এই অবসরে পরিচালক শামীম চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে আলাপ সারলেন, কীভাবে দৃশ্যটি তোলা হবে, সেটা নিয়ে। এতক্ষণ অন্য রুমে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ইরফান সাজ্জাদ। ‘এক্সট্রা’ নাটকের তিনিই নায়ক, চরিত্রের নাম হাফিজুল। বিরতির পর শুটিং শুরু হলো।

ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পড়লেন ইরফান সাজ্জাদ। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, এক্সট্রা আর্টিস্ট হিসেবে পরিচালকের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। ইরফান সাজ্জাদ এসেই নিজের পরিচয় দিলেন বিকম হাফিজুল, কারণ তাঁর একটা বিকম ডিগ্রি আছে। অভিনয়ের জন্য তাঁর এতই প্যাশন, ৩৮ বার চাকরি ছেড়েছেন। আর কী কী করেছেন, কী কী পারেন—সব বলে গেলেন একনাগাড়ে। এ দৃশ্যে ইরফান সাজ্জাদ যাত্রার সংলাপ আর আবৃত্তি করে এমন কাণ্ড করলেন, শুটিং ইউনিটের সবাই হেসে লুটোপুটি। সবাই হাততালি দিয়ে প্রশংসা করলেন। ঘণ্টাখানেক ধরে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে শট নিয়ে দৃশ্যটি শেষ করলেন পরিচালক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত