Ajker Patrika

এবার সেই প্রার্থীর ফল বাতিলের মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪১
এবার সেই প্রার্থীর ফল বাতিলের মামলা

নির্বাচনের পরদিন বিজয়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন, করান মিষ্টিমুখ। প্রায় দুই মাস পর নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু। আদালতে বিজয়ী প্রার্থীর গেজেট বাতিল চেয়ে তাঁকে চেয়ারম্যান ঘোষণার আবেদন জানিয়েছেন। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউপিতে।

গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের খালেদ সাইফুল্লাহ। নির্বাচনী ফলাফলে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু। তিনি ফল বাতিল চেয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থীকে বিবাদী করা হয়েছে। বিবাদীরা হলেন, বিজয়ী চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ (হাতপাখা), হোসেন আহম্মদ হাওলাদার (আনারস), মো. নুরুল ইসলাম (নৌকা), ইব্রাহিম বাবুল মোল্লা (চশমা), মহিউদ্দিন হাওলাদার (ঘোড়া) ও মো. শরীফ হোসেন (অটোরিকশা)। নির্বাচনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ মামলার কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছেন বলে এ প্রতিবেদকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এত দিন পর ফল বাতিল চেয়ে মামলাটি হাস্যকর। গত ২৯ নভেম্বর নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ হয়। শপথ গ্রহণ করে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। আগেও তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনের পরদিন আশ্রাফ উদ্দিন রাজু ফুলেল মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। অথচ ২ জানুয়ারি আশ্রাফ উদ্দিন ভোটের ফল বাতিল চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

পরাজিত প্রার্থী আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন, নির্বাচনে তিনি ৮ নম্বর কেন্দ্রে ৮৬৩ ভোট পান। অপর কেন্দ্রগুলোতেও অনুরূপ ভোট পেয়েছেন। ফলাফল বিবরণীতে তিনি মোট ৩ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়েছেন বলে দেখানো হয়। প্রকৃতপক্ষে তাঁর এজেন্টদের দেওয়া প্রতিবেদনে তিনি আরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু মামলায় প্রথম বিবাদী হাতপাখা প্রতীকের খালেদ সাইফুল্লাহর প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয় ৪ হাজার ৭৬৮টি। যা প্রকৃত অবস্থার বিপরীত। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা মোটরসাইকেলের ভোটের উল্লেখযোগ্য অংশ হাতপাখায় দেখিয়ে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী দেখান। সঠিকভাবে ভোট গণনা করলে তিনি নির্বাচিত হতেন। তাই আগের ফল বাতিল করে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন মর্মে ঘোষণা দাবি করেন।

আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত তিনি চরকাদিরা ইউপির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময় নানা কর্মকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি।

কমলনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জায়েদুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এরপরও খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত