সড়কে গেল দুজনের প্রাণ

যশোরের বাঘারপাড়া ও কেশবপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে বাঘারপাড়ায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ছিটকে বাসের তলে পড়ে আতিয়ার রহমান (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। অপরজন কেশবপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারান।

বাঘারপাড়া: গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার পুলেরহাটে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ ঘটে।

এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের তলে পড়ে আতিয়ার রহমান মারা যান। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী আহত হয়েছেন।

নিহত আতিয়ার রহমান উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নে মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইসলামী আন্দোলনের মুজাহিদ কমিটি খাজুরা সাংগঠনিক থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক।

আহত অপর দুজন হলেন, একই গ্রামের মোটরসাইকেল আরোহী আজিজুর রহমান (৬০)। তিনি একই সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্যজন নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের মোটরসাইকেল চালক মঞ্জুরুল ইসলাম।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শূরা সদস্য নাজমুল হুদা জানান, বন্দবিলা ইউপির ইসলামী আন্দোলন দলের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনিচুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় পাঠান পাইকপাড়ায় যাচ্ছিলেন আতিয়ার রহমান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আজিজুর রহমান।

পথিমধ্যে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পুলেরহাটে পৌঁছালে আতিয়ার রহমানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

আহত আজিজুর রহমানকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মোটরসাইকেল চালক মঞ্জুরুল ইসলামকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বাঘারপাড়ার খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক দ্রুত গতিতে যশোরের দিকে চলে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কেশবপুর: কেশবপুরে বাজার করে বাড়ি ফেরা হলো না আবু বকর গাজী নামে এক কৃষকের। কেশবপুর-কলাগাছি সড়কের বেতিখোলা মোড়ে গত রোববার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের বেতিখোলা গ্রামে।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি থেকে রোববার সন্ধ্যায় কৃষক আবু বকর গাজী (৬৭) স্থানীয় বেতিখোলা বাজারে আসেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহতের ছেলে আসাদুজ্জামান মিন্টু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।