সম্পাদকীয়
আজকের পত্রিকায় গাড়িবিষয়ক যে খবর প্রকাশিত হয়েছে বুধবার, তাতে দেখা যাচ্ছে, দামি গাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত আমাদের দেশে জাপানি নতুন বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনেন ক্রেতারা। এই ক্রেতাদের অনেকেই উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষ। ইউরোপীয় মডেলের কোটি টাকার ওপরের গাড়িগুলো কেনেন শুধুই উচ্চবিত্তের মানুষ। দেখা যাচ্ছে, ইউরোপীয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, অডি গাড়িগুলোর বিক্রিতে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। খবরটি নিশ্চয়ই উৎসুক যে কারও মনকে কৌতূহলী করে তুলতে পারে।
টাকা আছে, গাড়ি কিনছেন—এতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যে যার সাধ্যমতো জীবনযাপন করবে, তাতে সমস্যা কোথায়? কিন্তু গাড়ির বাজারের দিকে তাকালে দেশের সার্বিক অবস্থার চিত্রটিও পরিষ্কার হয়ে ওঠে। কেউ যদি মনে করে, মুদ্রাস্ফীতি, ডলারের উচ্চমূল্য, সিন্ডিকেট ব্যবসা, ব্যাংক থেকে ছলাকলা করে বিদেশে অর্থ পাচার, ওভার ও আন্ডার ইনভয়েজ ইত্যাদির কারণে একদল মানুষ হঠাৎ করেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে; এই দলে সেই ঋণখেলাপিরাও আছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে সেই ঋণ পরিশোধ করবেন কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। কারণ পুনঃ তফসিলের খেলাটি যে আরও অনেক দিন পর্যন্ত ঋণ শোধ না করার ফন্দি, সে কথাও অনেকে বুঝে উঠতে শুরু করেছেন। এই শ্রেণির হাতে এখন অঢেল টাকা। ফলে, বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য খুব একটা সমস্যা তাদের হয় না।
অন্যদিকে উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। তাদের যে অংশটি গাড়ি কিনতে পারত, তাদের সংখ্যাও কমছে। ফলে যে চিত্রটি দেখা যাচ্ছে, তাতে পরিষ্কার হয়, কারও কারও জন্য ডলারের সংকট কোনো সমস্যা নয়, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া কোনো ব্যাপার নয়। আবার কারও জন্য এ দুটি ব্যাপারই ভয়াবহ সংকট হিসেবে উঠে এসেছে। নব্য পুঁজি সৃষ্টি ও তার বণ্টন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার জন্য গবেষকেরা এগিয়ে আসতে পারেন। সাংবাদিকেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেন। উচ্চমূল্যের গাড়ির ক্রেতাদের অর্থের উৎস কোথায়, সে বিষয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট তৈরি হলে তা পাঠকের মনের খিদে যেমন মেটাবে, তেমনি উন্মোচিত করে দিতে পারবে সামগ্রিক অর্থবাজারের চিত্র।
বলা বাহুল্য, বনেদি টাকাওয়ালা মানুষও নিশ্চয়ই গাড়ি কিনছেন। তাঁদের টাকার উৎস সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এই আলোচনা যখন শুরু হবে, তখন কোথাও কোনো লুণ্ঠনের কারণে ‘হঠাৎ নবাবদের’ চিহ্নিত করা দরকার। শুরুতেই আভাস দেওয়া হয়েছে ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের। এই লুটপাট কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। ব্যাংক কর্মকর্তারাও এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করছেন, তারও বিশদ আলোচনা হতে হবে। মেগা প্রজেক্ট, কুইক রেন্টাল, ক্যাপাসিটি চার্জ, প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে যে গল্পগুলো আছে, সেগুলোও তো বিশদ আলোচনা হতে হবে।
ওপরে যা বলা হলো, তার সঙ্গে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি কেনার সম্পর্ক থাকুক আর না-ই থাকুক, আলোচনাটা হতে হবে। সামগ্রিকভাবে জাতি যে সংকটে
পড়ে গেছে, তা থেকে উদ্ধার পাওয়া জরুরি।
আজকের পত্রিকায় গাড়িবিষয়ক যে খবর প্রকাশিত হয়েছে বুধবার, তাতে দেখা যাচ্ছে, দামি গাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত আমাদের দেশে জাপানি নতুন বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনেন ক্রেতারা। এই ক্রেতাদের অনেকেই উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষ। ইউরোপীয় মডেলের কোটি টাকার ওপরের গাড়িগুলো কেনেন শুধুই উচ্চবিত্তের মানুষ। দেখা যাচ্ছে, ইউরোপীয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, অডি গাড়িগুলোর বিক্রিতে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। খবরটি নিশ্চয়ই উৎসুক যে কারও মনকে কৌতূহলী করে তুলতে পারে।
টাকা আছে, গাড়ি কিনছেন—এতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যে যার সাধ্যমতো জীবনযাপন করবে, তাতে সমস্যা কোথায়? কিন্তু গাড়ির বাজারের দিকে তাকালে দেশের সার্বিক অবস্থার চিত্রটিও পরিষ্কার হয়ে ওঠে। কেউ যদি মনে করে, মুদ্রাস্ফীতি, ডলারের উচ্চমূল্য, সিন্ডিকেট ব্যবসা, ব্যাংক থেকে ছলাকলা করে বিদেশে অর্থ পাচার, ওভার ও আন্ডার ইনভয়েজ ইত্যাদির কারণে একদল মানুষ হঠাৎ করেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে; এই দলে সেই ঋণখেলাপিরাও আছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে সেই ঋণ পরিশোধ করবেন কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। কারণ পুনঃ তফসিলের খেলাটি যে আরও অনেক দিন পর্যন্ত ঋণ শোধ না করার ফন্দি, সে কথাও অনেকে বুঝে উঠতে শুরু করেছেন। এই শ্রেণির হাতে এখন অঢেল টাকা। ফলে, বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য খুব একটা সমস্যা তাদের হয় না।
অন্যদিকে উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। তাদের যে অংশটি গাড়ি কিনতে পারত, তাদের সংখ্যাও কমছে। ফলে যে চিত্রটি দেখা যাচ্ছে, তাতে পরিষ্কার হয়, কারও কারও জন্য ডলারের সংকট কোনো সমস্যা নয়, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া কোনো ব্যাপার নয়। আবার কারও জন্য এ দুটি ব্যাপারই ভয়াবহ সংকট হিসেবে উঠে এসেছে। নব্য পুঁজি সৃষ্টি ও তার বণ্টন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার জন্য গবেষকেরা এগিয়ে আসতে পারেন। সাংবাদিকেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেন। উচ্চমূল্যের গাড়ির ক্রেতাদের অর্থের উৎস কোথায়, সে বিষয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট তৈরি হলে তা পাঠকের মনের খিদে যেমন মেটাবে, তেমনি উন্মোচিত করে দিতে পারবে সামগ্রিক অর্থবাজারের চিত্র।
বলা বাহুল্য, বনেদি টাকাওয়ালা মানুষও নিশ্চয়ই গাড়ি কিনছেন। তাঁদের টাকার উৎস সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এই আলোচনা যখন শুরু হবে, তখন কোথাও কোনো লুণ্ঠনের কারণে ‘হঠাৎ নবাবদের’ চিহ্নিত করা দরকার। শুরুতেই আভাস দেওয়া হয়েছে ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের। এই লুটপাট কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। ব্যাংক কর্মকর্তারাও এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করছেন, তারও বিশদ আলোচনা হতে হবে। মেগা প্রজেক্ট, কুইক রেন্টাল, ক্যাপাসিটি চার্জ, প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে যে গল্পগুলো আছে, সেগুলোও তো বিশদ আলোচনা হতে হবে।
ওপরে যা বলা হলো, তার সঙ্গে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি কেনার সম্পর্ক থাকুক আর না-ই থাকুক, আলোচনাটা হতে হবে। সামগ্রিকভাবে জাতি যে সংকটে
পড়ে গেছে, তা থেকে উদ্ধার পাওয়া জরুরি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫