Ajker Patrika

শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা

শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৫৩
শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা

তারাগঞ্জে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ। ঘন কুয়াশায় দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যান দিনেও লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী ও দরিদ্র পরিবারের মানুষগুলোর। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রকোপ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ভ্যানযাত্রী চিকলী গ্রামের ময়না বেগমের সঙ্গে। তিনি বিলিয়ন গোল্ড লিমিটেডের কর্মী। তিনি বলেন, ‘জার (শীত) খুব বেশি হইচে। রাস্তা দেখা যায় না। জান হাতোত নিয়া চাকুরিত যাওছি। দিন দিন কুশায়ার আর জার বাড়তে আছে।’

ভ্যানচালক মিল্লাত হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভ্যানের লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছেন। বিকেল ৪টার পর কুয়াশা নামা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা বাজলে লাইট জ্বালিয়েও কিছু দেখা যায় না।

কথা হয় মেনানগর গ্রামের স্বামীহারা ভিক্ষুক ওপিয়া বেগমের সঙ্গে। তিনি থাকেন ভাঙাচোরা এক চালাতে। ওপিয়া বলেন, ‘রাইতোত ঝরির মতোন শীত পড়ে। দিনোত ঠান্ডার জন্যে কোনোটে বেরার পাও না। শীতের কাপড় নাই। রাইতোত খুবই কষ্ট হয়। কয়দিন থাকি শীতের জন্যে বাইরোতও যাবার পাও না। ঘরোত খাবারও নাই। শীত আসলে মোর খুব কষ্ট হয়।’

জলুবার গ্রামে নদীর ধারে বাড়ি আবু মুসার। শীত মৌসুমে প্রচণ্ড কষ্ট হয় তাঁদের। শীতের তীব্রতায় কাতর মুসা বলেন, ‘কষ্টের কথা কী কইম! ঠান্ডাত জীবন যায় যায়। সারা রাইত নদী থাকি হু হু করি ঠান্ডা বাতাস ঘরোত আসি ঢোকে। শরীর হিম হয়া যায়। ঠান্ডাতে হাত পাও কোকড়া নাগে। ঘরোত শীতের কাপড়ও নাই।’

হাজীরহাট বাজারের মুদি দোকানি আব্দুল আজিজ বলেন, সকাল-সন্ধ্যা ঝরঝর করে কুয়াশা পড়ছে। সন্ধ্যা ৬টা বাজালে হাটবাজারে মানুষ থাকছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন দেব জানান, কয়েক দিন ধরে সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে বেশি আসছেন। প্রতিবছরই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সর্দি-জ্বর ও কাশি হয়। এবারও তা-ই হচ্ছে। এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, ‘প্রতি শীতে উপজেলার অনেক মানুষ কষ্টে থাকে। আমরা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করি শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর। সরকারি সহায়তা ছাড়াও সবার উচিত আশপাশের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। দরিদ্র শীতার্তদের জন্য আমরা কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা করে সেগুলো কিছুদিনের মধ্যে দুস্থ শীতার্তদের মধ্য বিতরণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত