Ajker Patrika

খুলনায় চেয়ারম্যান পদে জমজমাট লড়াই?

নিজস্ব প্রতিবেদক ও খুলনা প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৫৭
খুলনায় চেয়ারম্যান পদে জমজমাট লড়াই?

সারা দেশের মতো খুলনা জেলা পরিষদেও আজ সোমবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জেলার ১০টি কেন্দ্রে ২০টি বুথ ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ৩টি সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ ৯টি পদে ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মধ্যে একজন হলেন সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে তেমন একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন শক্তিশালী দুই স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী। ফলে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন জমে উঠেছে। এ ছাড়া প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি কদর বেড়েছে ভোটারদের। এ জন্য এবারের নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ রাজনৈতিক সচেতন সব মহলে কৌতূহল ও আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে নানামুখী মেরুকরণ হচ্ছে। প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হিসেবে সামনে আসছে বিভিন্ন সমীকরণ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভোটের লড়াই হবে জমজমাট। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি করাসহ নানামুখী বিরোধের কারণে দলের একটি বড় অংশ নির্বাচনে ফ্যাক্টর হতে পারে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর প্রতিপক্ষ প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই দারা প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন জমজমাট হবে বলে ধারণা করা যায়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, জেলায় ১০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে বুথ রয়েছে দুটি—একটি পুরুষ একটি মহিলা ভোটারদের। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে জিলা স্কুল, চালনা বাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, ডুমুরিয়া শহীদ যোবায়েদ আলী মিলনায়তন, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, বটিয়াঘাটা সরকারি হাইস্কুল, তেরখাদা শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও রূপসা উপজেলা ভূমি অফিস। ১০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। সব কেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরা।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন সশস্ত্র পুলিশ, ২ জন সশস্ত্র আনসার ও ১ লাঠিধারী আনসার ও ১ জন লাঠিধারী মহিলা আনসার দায়িত্ব পালন করবেন। জেলায় ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করবেন। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৯৭৮ জন। ভোটাররা হলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর, ৬৮ ইউপি চেয়ারম্যান, ৯ উপজেলার চেয়ারম্যান, ১৮ ভাইস চেয়ারম্যান, সব সাধারণ ও সব ইউপি সদস্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত