শিপুল ইসলাম, রংপুর
লাইট হাউস। নাম যতটা জ্বলজ্বলে কার্যক্রম ততটাই টিমটিমে। রংপুর সিটি করপোরেশনে অতি দরিদ্রদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ায় নিয়োজিত এ সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে উপকারভোগীদের মধ্যে।
সূত্র জানায়, নগরের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প কাজ করছে। এতে পারিবারিক স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে বিনা মূল্যে ১৭টি সেবা দেওয়া হয়। রংপুর মহানগরীতে ২০১৪ থেকে চলমান এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালের আগস্টে দায়িত্ব পায় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) লাইট হাউস। প্রতিষ্ঠানটি জরিপ চালিয়ে ১১ হাজার ৪৪৪টি খানাকে পারিবারিক স্বাস্থ্য কার্ডের আওতায় আনার কথা জানালেও তিন নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সব মিলিয়ে ৩ হাজারেরও কম কার্ড বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের মধ্যে আছে, অতিদরিদ্রদের তালিকায় নাম থাকলেও কার্ড না দেওয়া, জোর করে টাকা আদায়, কার্ড দিলেও তা ফের নিয়ে টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা দেওয়া, রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, প্রসূতিদের সেবায় অতিরিক্ত টাকা আদায়, রোগীদের না দিয়ে বাইরে ওষুধ বিক্রি, কর্মচারী নিয়োগ না করেও বেতন উত্তোলন ও অযোগ্য লোক নিয়োগ করে কার্যক্রম পরিচালনা।
নগরীর উত্তর আশরতপুরের শম্পা বেগম বলেন, স্বাস্থ্য কার্ড থাকলেও তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেয়নি লাইট হাউস। তাঁকে প্রসূতিসেবা দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করা হয়।
একই এলাকার চাদনী বেগম বলেন, ‘এখানে টাকা ছাড়া কেউ এক পাও নড়ে না। সরকার ফ্রি কার্ড দিলেও তা দিয়ে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাদের ফ্রি চিকিৎসা দেয় না।’
এরশাদ নগরের গৃহবধূ কাজলী রানী বা না পেয়ে সিটি করপোরেশনে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, কার্ডে প্রথমে চিকিৎসা পেলেও পরে আর তা পাননি। এতে বাধ্য হয়ে তাঁকে মাহিগঞ্জের মাতৃসদনে গিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সিজার করতে হয়েছে।
এরশাদ নগরের ব্লক-১-এর বুলবুলি বেগম বলেন, ‘এটে টাকা ছাড়া কোনো চিকিৎসা দেয় না। ৫০-১০০ টাকা নিলেও ওষুধ দেয় না। সাদা কাগজে ওষুধ লেখি দিয়া বাইরোত কিনি খাবার কয়।’
যোগাযোগ করা হলে লাইট হাউসের প্রজেক্ট ম্যানেজার শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মাঠকর্মী আছেন। তাঁরাই মূলত পারিবারিক স্বাস্থ্য কার্ডগুলো বিতরণ করেছেন। যদি কোনো কারণে কার্ডগুলো তাঁরা বিতরণ না করে থাকেন, এটা খুঁজে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে রসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা জানান, কার্ডের বিপরীতে টাকা নেওয়া ও কার্ড বিতরণ না করার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘লাইট হাউস নামক এনজিওর চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের আচরণগত সমস্যা আছে। এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। রসিকের রাজস্ব কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ সেবাধর্মী প্রকল্প। যাঁরা দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষ তাঁদের জন্য এ প্রকল্প। শহরে বসবাসকারী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৩০ ভাগ মানুষ বিনা মূল্যে এখান থেকে সেবা গ্রহণ করবেন। এর যদি ব্যত্যয় হয়, কেউ যদি গাফিলতি করে এবং তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে এনজিও ও কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
লাইট হাউস। নাম যতটা জ্বলজ্বলে কার্যক্রম ততটাই টিমটিমে। রংপুর সিটি করপোরেশনে অতি দরিদ্রদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ায় নিয়োজিত এ সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে উপকারভোগীদের মধ্যে।
সূত্র জানায়, নগরের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প কাজ করছে। এতে পারিবারিক স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে বিনা মূল্যে ১৭টি সেবা দেওয়া হয়। রংপুর মহানগরীতে ২০১৪ থেকে চলমান এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালের আগস্টে দায়িত্ব পায় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) লাইট হাউস। প্রতিষ্ঠানটি জরিপ চালিয়ে ১১ হাজার ৪৪৪টি খানাকে পারিবারিক স্বাস্থ্য কার্ডের আওতায় আনার কথা জানালেও তিন নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সব মিলিয়ে ৩ হাজারেরও কম কার্ড বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের মধ্যে আছে, অতিদরিদ্রদের তালিকায় নাম থাকলেও কার্ড না দেওয়া, জোর করে টাকা আদায়, কার্ড দিলেও তা ফের নিয়ে টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা দেওয়া, রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, প্রসূতিদের সেবায় অতিরিক্ত টাকা আদায়, রোগীদের না দিয়ে বাইরে ওষুধ বিক্রি, কর্মচারী নিয়োগ না করেও বেতন উত্তোলন ও অযোগ্য লোক নিয়োগ করে কার্যক্রম পরিচালনা।
নগরীর উত্তর আশরতপুরের শম্পা বেগম বলেন, স্বাস্থ্য কার্ড থাকলেও তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেয়নি লাইট হাউস। তাঁকে প্রসূতিসেবা দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করা হয়।
একই এলাকার চাদনী বেগম বলেন, ‘এখানে টাকা ছাড়া কেউ এক পাও নড়ে না। সরকার ফ্রি কার্ড দিলেও তা দিয়ে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাদের ফ্রি চিকিৎসা দেয় না।’
এরশাদ নগরের গৃহবধূ কাজলী রানী বা না পেয়ে সিটি করপোরেশনে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, কার্ডে প্রথমে চিকিৎসা পেলেও পরে আর তা পাননি। এতে বাধ্য হয়ে তাঁকে মাহিগঞ্জের মাতৃসদনে গিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সিজার করতে হয়েছে।
এরশাদ নগরের ব্লক-১-এর বুলবুলি বেগম বলেন, ‘এটে টাকা ছাড়া কোনো চিকিৎসা দেয় না। ৫০-১০০ টাকা নিলেও ওষুধ দেয় না। সাদা কাগজে ওষুধ লেখি দিয়া বাইরোত কিনি খাবার কয়।’
যোগাযোগ করা হলে লাইট হাউসের প্রজেক্ট ম্যানেজার শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মাঠকর্মী আছেন। তাঁরাই মূলত পারিবারিক স্বাস্থ্য কার্ডগুলো বিতরণ করেছেন। যদি কোনো কারণে কার্ডগুলো তাঁরা বিতরণ না করে থাকেন, এটা খুঁজে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে রসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা জানান, কার্ডের বিপরীতে টাকা নেওয়া ও কার্ড বিতরণ না করার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘লাইট হাউস নামক এনজিওর চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের আচরণগত সমস্যা আছে। এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। রসিকের রাজস্ব কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ সেবাধর্মী প্রকল্প। যাঁরা দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষ তাঁদের জন্য এ প্রকল্প। শহরে বসবাসকারী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৩০ ভাগ মানুষ বিনা মূল্যে এখান থেকে সেবা গ্রহণ করবেন। এর যদি ব্যত্যয় হয়, কেউ যদি গাফিলতি করে এবং তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে এনজিও ও কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪