রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের চোখ সেই দিকে। এ সুযোগে স্টেশনারির দোকানের পণ্যের দাম ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো। কোনো কোনো কোম্পানি গায়ের দাম না বাড়িয়ে পণ্যে দাম বাড়িয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে শিশুপণ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা উপকরণেরও দাম বেড়েছে। প্রশাসন বলছে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিটারজেন্ট পাউডারের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। সাবান, প্রসাধনী সামগ্রী, টিস্যু, টুথপেস্টের দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। শিক্ষা উপকরণেরও দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। যে স্কুল ব্যাগ কিছুদিন আগে বিক্রি হচ্ছিল ৩০০ থেকে ২৪০ টাকায়, তা এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ টাকায়। ১৩৫ টাকার নারিকেল তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। শিশুদের লোশন কোম্পানিভেদে প্রতি পিচে দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। তেলের দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা, শ্যাম্পুর দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। যে হ্যান্ড ওয়াশ ছিল ৫৫ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। কাপড় কাচা সাবানের দাম বেড়েছে পিচ প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা করে। তেমনি দাম বেড়েছে রাইচ কুকার, ফ্লাস্কসহ অন্য সব পণ্যের।
দুই থেকে তিন মাস আগেও ডিটারজেন্ট রিন পাউডার বিক্রি হতো ১১০ টাকা কেজি দরে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর ২ কেজি পাউডারের মূল্য ছিল ১৯০, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩১০ টাকা। অন্যান্য কোম্পানির ডিটারজেন্টে পাউডারে দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। প্রতিটি কোম্পানির ৪০ টাকার সাবান বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, ৩০ টাকার সাবান বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শিক্ষা উপকরণের মধ্যে ৩৫ টাকার জ্যামিতি বক্স বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, স্ট্যাম্প প্যাড ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খাতা প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০। এ ফোর কাগজেও দাম বেড়েছে ৪০ টাকা।
মেহেরপুর শহরের ঈদগাহ পাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মুকুল বাসার বলেন, ‘বাজারে প্রতিটি শিশু পণ্যের দাম বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা উপকরণের দামও। একটি বাজেট হাতে করে বাজারে যাচ্ছি, কিন্তু ইচ্ছেমতো পণ্য কিনতে পারছি না।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ঈদগাহ পাড়ার সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘আমার বেতনতো বাড়ছে না। অথচ প্রতিনিয়তই নিত্যপণ্যে বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এখন আবার স্টেশনারি বাজারেও প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এখন বেঁচে থাকাটাই দায়।’
সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের লাবলু বলেন, ‘আমরা কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। অথচ সে হারে বাড়েনি ফসলের দাম। ফসল বিক্রি করে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক মণ পেঁয়াজ বিক্রি করে প্রতিদিনের বাজার করতে পারছি না।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মেহেরপুর জেলার সভাপতি রফিক-উল আলম বলেন, ‘নিত্যপণ্যে বাইরের কিছু জিনিসের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এদিকে করোই খেয়াল নেই। মূল্য নির্ধারণও প্রতিটি কোম্পানি তারা নিজের মতো করছে। কোনো কোনো কোম্পানি মূল্য তালিকার ওপরে কাগজে লিখে নতুন করে মূল্য বসিয়ে বিক্রি করছে। এগুলো ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। অথচ সেদিকে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। মাঝে মাঝে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানিদের জরিমানা করা হচ্ছে। অথচ গায়ের লেবেলের বাইরে গিয়ে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে কোনো পদক্ষেপ নেই।’
নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। সাধারণ মানুষের চোখ সেই দিকে। এ সুযোগে স্টেশনারির দোকানের পণ্যের দাম ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো। কোনো কোনো কোম্পানি গায়ের দাম না বাড়িয়ে পণ্যে দাম বাড়িয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে শিশুপণ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা উপকরণেরও দাম বেড়েছে। প্রশাসন বলছে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিটারজেন্ট পাউডারের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। সাবান, প্রসাধনী সামগ্রী, টিস্যু, টুথপেস্টের দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। শিক্ষা উপকরণেরও দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। যে স্কুল ব্যাগ কিছুদিন আগে বিক্রি হচ্ছিল ৩০০ থেকে ২৪০ টাকায়, তা এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ টাকায়। ১৩৫ টাকার নারিকেল তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। শিশুদের লোশন কোম্পানিভেদে প্রতি পিচে দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। তেলের দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা, শ্যাম্পুর দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। যে হ্যান্ড ওয়াশ ছিল ৫৫ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। কাপড় কাচা সাবানের দাম বেড়েছে পিচ প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা করে। তেমনি দাম বেড়েছে রাইচ কুকার, ফ্লাস্কসহ অন্য সব পণ্যের।
দুই থেকে তিন মাস আগেও ডিটারজেন্ট রিন পাউডার বিক্রি হতো ১১০ টাকা কেজি দরে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর ২ কেজি পাউডারের মূল্য ছিল ১৯০, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩১০ টাকা। অন্যান্য কোম্পানির ডিটারজেন্টে পাউডারে দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। প্রতিটি কোম্পানির ৪০ টাকার সাবান বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, ৩০ টাকার সাবান বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শিক্ষা উপকরণের মধ্যে ৩৫ টাকার জ্যামিতি বক্স বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, স্ট্যাম্প প্যাড ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, খাতা প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০। এ ফোর কাগজেও দাম বেড়েছে ৪০ টাকা।
মেহেরপুর শহরের ঈদগাহ পাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মুকুল বাসার বলেন, ‘বাজারে প্রতিটি শিশু পণ্যের দাম বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা উপকরণের দামও। একটি বাজেট হাতে করে বাজারে যাচ্ছি, কিন্তু ইচ্ছেমতো পণ্য কিনতে পারছি না।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ঈদগাহ পাড়ার সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘আমার বেতনতো বাড়ছে না। অথচ প্রতিনিয়তই নিত্যপণ্যে বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এখন আবার স্টেশনারি বাজারেও প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এখন বেঁচে থাকাটাই দায়।’
সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের লাবলু বলেন, ‘আমরা কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। অথচ সে হারে বাড়েনি ফসলের দাম। ফসল বিক্রি করে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক মণ পেঁয়াজ বিক্রি করে প্রতিদিনের বাজার করতে পারছি না।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মেহেরপুর জেলার সভাপতি রফিক-উল আলম বলেন, ‘নিত্যপণ্যে বাইরের কিছু জিনিসের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এদিকে করোই খেয়াল নেই। মূল্য নির্ধারণও প্রতিটি কোম্পানি তারা নিজের মতো করছে। কোনো কোনো কোম্পানি মূল্য তালিকার ওপরে কাগজে লিখে নতুন করে মূল্য বসিয়ে বিক্রি করছে। এগুলো ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। অথচ সেদিকে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। মাঝে মাঝে মূল্য তালিকা না থাকায় দোকানিদের জরিমানা করা হচ্ছে। অথচ গায়ের লেবেলের বাইরে গিয়ে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে কোনো পদক্ষেপ নেই।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১২ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪