Ajker Patrika

খুলনার ৬: ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ

খুলনা সংবাদদাতা
Thumbnail image

খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অন্য তিন আসনে নৌকা ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও মাঠে নেই জাতীয় পার্টি (জাপা)। অন্য ছোট দলগুলোর প্রার্থীদের প্রচার নেই বললেই চলে। ফলে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এমন অবস্থায় ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনার ছয় আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারই বেশি। আসন ছাড় না পাওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এ পর্যন্ত মাত্র এক দিন প্রচারে নেমেছিলেন। অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের প্রচারও নামমাত্র। ফলে সার্বিকভাবে প্রচারে শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকেরাই সরব আছেন।

খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনে ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে এস এম কামাল হোসেন নৌকা প্রতীকে প্রার্থিতা করছেন। তাঁদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম। যদিও এসব প্রার্থী এবং তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছেন।

এদিকে খুলনা-৪, ৫ ও ৬ আসনে নৌকা প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হবে। তবে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের হওয়ায় এ তিন আসনে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাল্টাপাল্টি একের পর এক অভিযোগ পড়ছে।

আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী এ এম মোর্ত্তুজা রশিদী দারা বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরি হয়নি। সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কে রয়েছেন।’

খুলনা-৫ আসনের ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া ইউনিয়নের ভোটার আব্দুস সাত্তার গাজী বলেন, ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। 
এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। আমার কর্মী-সমর্থকদের প্রচার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা-সমর্থিত প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে যাবেন।’ 
খুলনা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জমান বলেন, ‘ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ‘নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোয় ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আমরা কাজ করছি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, ‘আশা করছি, নির্বাচনে ভোটারদের সন্তোষজনক উপস্থিতি থাকবে।’ 
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। আমরা প্রার্থীদের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। নির্বাচনী পরিবেশ ভালোই আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত