সাজ্জাদ মাহমুদ খান ও অর্চি হক, ঢাকা
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে। জমানো টাকা আর ধারদেনা করে সবই বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমরা কইতেও পারি না, আবার সইতেও পারি না।’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করে টাকা আটকে যাওয়ার নিজের দুশ্চিন্তার কথা গতকাল বৃহস্পতিবার এভাবে আজকের পত্রিকার কাছে প্রকাশ করেন মহিউদ্দিন নামে এক যুবক। মহিউদ্দিনের মতো কয়েক লাখ গ্রাহক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাচ্ছেন না। আবার পণ্য ও টাকা ফেরতের জোরালো দাবিও করতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের শঙ্কা, টাকা ফেরতের দাবি করলে মালিক গ্রেপ্তার হবে। এরপর পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাবেন না। তবে টাকা কিংবা পণ্য কীভাবে ফেরত পাবেন সেটাও তাঁদের অজানা।
পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৬টি মামলা হয়েছে। ২৪টি টিকেট ডটকম ও এসপিসির বিরুদ্ধে ৪টি করে মামলা হয়েছে।
ইভ্যালি ও ধামাকার বিরুদ্ধে ৩টি, রিং আইডি ও সহজ লাইফের বিরুদ্ধে ২টি। নিরাপদ শপ, সিরাজগঞ্জ শপ, আনন্দের বাজার, দালাল প্লাস, কিউকমের বিরুদ্ধে ১টি করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিয়শপ, নিডস ডটকম, বুমবুম, আলাদিনের প্রদীপ, ই-শপ ইন্ডিয়া, বিডিলাইক, র্যাপিড ক্যাশ-কুইক অনলাইন, ফস্টার করপোরেশন, সহজ লাইফ অ্যান্ড লাইভলি লাইফ, আদিয়ান মার্ট, নিডস, এসকে ট্রেডার্স, মোটরস, চলন্তিকা, সুপন প্রোডাক্ট, আকাশ নীল, এসডিসি ওয়ার্ল্ড, নিউ নাভানাসহ আরও অন্তত ২০টি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আরও অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। সিআইডির পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও র্যাব এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নজরদারি করছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারও করছি। আরও কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। আমরা তাদের ব্যাপার অনুসন্ধান করছি। এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযান শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক আত্মগোপনে চলে গেছেন। কয়েকজন দেশ থেকেও পালিয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে। তবে আসামি গ্রেপ্তার কিংবা শাস্তি হলেও গ্রাহকদের অর্থের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কিছু করার নেই। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রাহকদেরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির বলেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা তুলে অন্যান্য খাতে ব্যবহার করেছে। বাকি মামলাগুলো প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যান্য অভিযোগে হয়েছে। দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কারাবন্দী মালিকদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন ইভ্যালি ও কিউকম ভুক্তভোগীরা। তাঁদের দাবি, মালিকরা মুক্তি পেলে টাকা পাওয়ার আশা কিছুটা হলেও থাকবে। নইলে ডেসটিনি, ইউনিপেটু, যুবকের গ্রাহকেরা যেমন টাকা ফেরত পায়নি, তাঁদেরও তেমনই অবস্থা হবে বলে আশঙ্কা ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যপদ দেখেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন। সে সময় ই-ক্যাব বলেছিল, তাঁদের সদস্যদের কাছে নিশ্চিন্তে পণ্য অর্ডার করা যাবে। অথচ এখন ই-ক্যাবও ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের টাকা উদ্ধারে কার্যকর কিছুই করছে না।
তবে ই-ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারের কিছু বিষয় এখন আদালতে চলে গেছে। সেটা এখন আদালতই দেখবেন। আর পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি জানান, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-ক্যাব চিঠি দিয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কত টাকা আটকে আছে সেটা দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
মালিকেরা পলাতক, ফেসবুকে আস্ফালন
অফিস, ওয়্যারহাউস সবই বন্ধ। পণ্য ডেলিভারি, টাকা ফেরত কার্যক্রম, চলছে না কিছুই। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের খুঁজছে পুলিশ। অথচ তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে আসছেন, প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। আনন্দের বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমুদুল হক খন্দকার মিঠু পরপর চার দিন ফেসবুক লাইভে এসে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। গ্রাহকদের নানা আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন, সেটা পরিষ্কার করেননি। মিঠুর বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।
অন্যদিকে দালাল প্লাসের সিইও এস এম রাব্বি বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। দালাল প্লাস থেকে পণ্য অর্ডারেরও অনুরোধ করেন তিনি। অথচ দালাল প্লাসের কার্যক্রম এখন বন্ধই বলা চলে। পণ্য ডেলিভারি বা টাকা ফেরত দেওয়া কিছুই করছে না তারা। কিন্তু ফেসবুকে তাদের প্রচারণা চলছে। লাইভে এলেও রাব্বি কোথায় আছেন, সেটা তিনি জানাননি। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে মামলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাব্বি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া বুমবুম শপিং, ধামাকা, রিং আইডিসহ বিভিন্ন ই-কমার্সের মালিকেরা ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার নতুন নতুন সময়সীমা এবং পদ্ধতি জানাচ্ছেন। সেসব সময়সীমা পারও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের কেউ টাকা ফেরত পেয়েছেন এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে। জমানো টাকা আর ধারদেনা করে সবই বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমরা কইতেও পারি না, আবার সইতেও পারি না।’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করে টাকা আটকে যাওয়ার নিজের দুশ্চিন্তার কথা গতকাল বৃহস্পতিবার এভাবে আজকের পত্রিকার কাছে প্রকাশ করেন মহিউদ্দিন নামে এক যুবক। মহিউদ্দিনের মতো কয়েক লাখ গ্রাহক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাচ্ছেন না। আবার পণ্য ও টাকা ফেরতের জোরালো দাবিও করতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের শঙ্কা, টাকা ফেরতের দাবি করলে মালিক গ্রেপ্তার হবে। এরপর পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাবেন না। তবে টাকা কিংবা পণ্য কীভাবে ফেরত পাবেন সেটাও তাঁদের অজানা।
পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৬টি মামলা হয়েছে। ২৪টি টিকেট ডটকম ও এসপিসির বিরুদ্ধে ৪টি করে মামলা হয়েছে।
ইভ্যালি ও ধামাকার বিরুদ্ধে ৩টি, রিং আইডি ও সহজ লাইফের বিরুদ্ধে ২টি। নিরাপদ শপ, সিরাজগঞ্জ শপ, আনন্দের বাজার, দালাল প্লাস, কিউকমের বিরুদ্ধে ১টি করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিয়শপ, নিডস ডটকম, বুমবুম, আলাদিনের প্রদীপ, ই-শপ ইন্ডিয়া, বিডিলাইক, র্যাপিড ক্যাশ-কুইক অনলাইন, ফস্টার করপোরেশন, সহজ লাইফ অ্যান্ড লাইভলি লাইফ, আদিয়ান মার্ট, নিডস, এসকে ট্রেডার্স, মোটরস, চলন্তিকা, সুপন প্রোডাক্ট, আকাশ নীল, এসডিসি ওয়ার্ল্ড, নিউ নাভানাসহ আরও অন্তত ২০টি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আরও অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। সিআইডির পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও র্যাব এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নজরদারি করছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারও করছি। আরও কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। আমরা তাদের ব্যাপার অনুসন্ধান করছি। এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযান শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক আত্মগোপনে চলে গেছেন। কয়েকজন দেশ থেকেও পালিয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে। তবে আসামি গ্রেপ্তার কিংবা শাস্তি হলেও গ্রাহকদের অর্থের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কিছু করার নেই। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রাহকদেরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির বলেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা তুলে অন্যান্য খাতে ব্যবহার করেছে। বাকি মামলাগুলো প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যান্য অভিযোগে হয়েছে। দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কারাবন্দী মালিকদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন ইভ্যালি ও কিউকম ভুক্তভোগীরা। তাঁদের দাবি, মালিকরা মুক্তি পেলে টাকা পাওয়ার আশা কিছুটা হলেও থাকবে। নইলে ডেসটিনি, ইউনিপেটু, যুবকের গ্রাহকেরা যেমন টাকা ফেরত পায়নি, তাঁদেরও তেমনই অবস্থা হবে বলে আশঙ্কা ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যপদ দেখেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন। সে সময় ই-ক্যাব বলেছিল, তাঁদের সদস্যদের কাছে নিশ্চিন্তে পণ্য অর্ডার করা যাবে। অথচ এখন ই-ক্যাবও ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের টাকা উদ্ধারে কার্যকর কিছুই করছে না।
তবে ই-ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারের কিছু বিষয় এখন আদালতে চলে গেছে। সেটা এখন আদালতই দেখবেন। আর পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি জানান, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-ক্যাব চিঠি দিয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কত টাকা আটকে আছে সেটা দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
মালিকেরা পলাতক, ফেসবুকে আস্ফালন
অফিস, ওয়্যারহাউস সবই বন্ধ। পণ্য ডেলিভারি, টাকা ফেরত কার্যক্রম, চলছে না কিছুই। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের খুঁজছে পুলিশ। অথচ তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে আসছেন, প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। আনন্দের বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমুদুল হক খন্দকার মিঠু পরপর চার দিন ফেসবুক লাইভে এসে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। গ্রাহকদের নানা আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন, সেটা পরিষ্কার করেননি। মিঠুর বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।
অন্যদিকে দালাল প্লাসের সিইও এস এম রাব্বি বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। দালাল প্লাস থেকে পণ্য অর্ডারেরও অনুরোধ করেন তিনি। অথচ দালাল প্লাসের কার্যক্রম এখন বন্ধই বলা চলে। পণ্য ডেলিভারি বা টাকা ফেরত দেওয়া কিছুই করছে না তারা। কিন্তু ফেসবুকে তাদের প্রচারণা চলছে। লাইভে এলেও রাব্বি কোথায় আছেন, সেটা তিনি জানাননি। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে মামলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাব্বি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া বুমবুম শপিং, ধামাকা, রিং আইডিসহ বিভিন্ন ই-কমার্সের মালিকেরা ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার নতুন নতুন সময়সীমা এবং পদ্ধতি জানাচ্ছেন। সেসব সময়সীমা পারও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের কেউ টাকা ফেরত পেয়েছেন এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সাজ্জাদ মাহমুদ খান ও অর্চি হক, ঢাকা
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে। জমানো টাকা আর ধারদেনা করে সবই বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমরা কইতেও পারি না, আবার সইতেও পারি না।’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করে টাকা আটকে যাওয়ার নিজের দুশ্চিন্তার কথা গতকাল বৃহস্পতিবার এভাবে আজকের পত্রিকার কাছে প্রকাশ করেন মহিউদ্দিন নামে এক যুবক। মহিউদ্দিনের মতো কয়েক লাখ গ্রাহক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাচ্ছেন না। আবার পণ্য ও টাকা ফেরতের জোরালো দাবিও করতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের শঙ্কা, টাকা ফেরতের দাবি করলে মালিক গ্রেপ্তার হবে। এরপর পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাবেন না। তবে টাকা কিংবা পণ্য কীভাবে ফেরত পাবেন সেটাও তাঁদের অজানা।
পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৬টি মামলা হয়েছে। ২৪টি টিকেট ডটকম ও এসপিসির বিরুদ্ধে ৪টি করে মামলা হয়েছে।
ইভ্যালি ও ধামাকার বিরুদ্ধে ৩টি, রিং আইডি ও সহজ লাইফের বিরুদ্ধে ২টি। নিরাপদ শপ, সিরাজগঞ্জ শপ, আনন্দের বাজার, দালাল প্লাস, কিউকমের বিরুদ্ধে ১টি করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিয়শপ, নিডস ডটকম, বুমবুম, আলাদিনের প্রদীপ, ই-শপ ইন্ডিয়া, বিডিলাইক, র্যাপিড ক্যাশ-কুইক অনলাইন, ফস্টার করপোরেশন, সহজ লাইফ অ্যান্ড লাইভলি লাইফ, আদিয়ান মার্ট, নিডস, এসকে ট্রেডার্স, মোটরস, চলন্তিকা, সুপন প্রোডাক্ট, আকাশ নীল, এসডিসি ওয়ার্ল্ড, নিউ নাভানাসহ আরও অন্তত ২০টি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আরও অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। সিআইডির পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও র্যাব এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নজরদারি করছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারও করছি। আরও কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। আমরা তাদের ব্যাপার অনুসন্ধান করছি। এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযান শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক আত্মগোপনে চলে গেছেন। কয়েকজন দেশ থেকেও পালিয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে। তবে আসামি গ্রেপ্তার কিংবা শাস্তি হলেও গ্রাহকদের অর্থের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কিছু করার নেই। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রাহকদেরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির বলেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা তুলে অন্যান্য খাতে ব্যবহার করেছে। বাকি মামলাগুলো প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যান্য অভিযোগে হয়েছে। দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কারাবন্দী মালিকদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন ইভ্যালি ও কিউকম ভুক্তভোগীরা। তাঁদের দাবি, মালিকরা মুক্তি পেলে টাকা পাওয়ার আশা কিছুটা হলেও থাকবে। নইলে ডেসটিনি, ইউনিপেটু, যুবকের গ্রাহকেরা যেমন টাকা ফেরত পায়নি, তাঁদেরও তেমনই অবস্থা হবে বলে আশঙ্কা ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যপদ দেখেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন। সে সময় ই-ক্যাব বলেছিল, তাঁদের সদস্যদের কাছে নিশ্চিন্তে পণ্য অর্ডার করা যাবে। অথচ এখন ই-ক্যাবও ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের টাকা উদ্ধারে কার্যকর কিছুই করছে না।
তবে ই-ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারের কিছু বিষয় এখন আদালতে চলে গেছে। সেটা এখন আদালতই দেখবেন। আর পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি জানান, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-ক্যাব চিঠি দিয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কত টাকা আটকে আছে সেটা দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
মালিকেরা পলাতক, ফেসবুকে আস্ফালন
অফিস, ওয়্যারহাউস সবই বন্ধ। পণ্য ডেলিভারি, টাকা ফেরত কার্যক্রম, চলছে না কিছুই। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের খুঁজছে পুলিশ। অথচ তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে আসছেন, প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। আনন্দের বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমুদুল হক খন্দকার মিঠু পরপর চার দিন ফেসবুক লাইভে এসে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। গ্রাহকদের নানা আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন, সেটা পরিষ্কার করেননি। মিঠুর বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।
অন্যদিকে দালাল প্লাসের সিইও এস এম রাব্বি বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। দালাল প্লাস থেকে পণ্য অর্ডারেরও অনুরোধ করেন তিনি। অথচ দালাল প্লাসের কার্যক্রম এখন বন্ধই বলা চলে। পণ্য ডেলিভারি বা টাকা ফেরত দেওয়া কিছুই করছে না তারা। কিন্তু ফেসবুকে তাদের প্রচারণা চলছে। লাইভে এলেও রাব্বি কোথায় আছেন, সেটা তিনি জানাননি। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে মামলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাব্বি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া বুমবুম শপিং, ধামাকা, রিং আইডিসহ বিভিন্ন ই-কমার্সের মালিকেরা ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার নতুন নতুন সময়সীমা এবং পদ্ধতি জানাচ্ছেন। সেসব সময়সীমা পারও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের কেউ টাকা ফেরত পেয়েছেন এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে। জমানো টাকা আর ধারদেনা করে সবই বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমরা কইতেও পারি না, আবার সইতেও পারি না।’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করে টাকা আটকে যাওয়ার নিজের দুশ্চিন্তার কথা গতকাল বৃহস্পতিবার এভাবে আজকের পত্রিকার কাছে প্রকাশ করেন মহিউদ্দিন নামে এক যুবক। মহিউদ্দিনের মতো কয়েক লাখ গ্রাহক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাচ্ছেন না। আবার পণ্য ও টাকা ফেরতের জোরালো দাবিও করতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের শঙ্কা, টাকা ফেরতের দাবি করলে মালিক গ্রেপ্তার হবে। এরপর পণ্য কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত পাবেন না। তবে টাকা কিংবা পণ্য কীভাবে ফেরত পাবেন সেটাও তাঁদের অজানা।
পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৬টি মামলা হয়েছে। ২৪টি টিকেট ডটকম ও এসপিসির বিরুদ্ধে ৪টি করে মামলা হয়েছে।
ইভ্যালি ও ধামাকার বিরুদ্ধে ৩টি, রিং আইডি ও সহজ লাইফের বিরুদ্ধে ২টি। নিরাপদ শপ, সিরাজগঞ্জ শপ, আনন্দের বাজার, দালাল প্লাস, কিউকমের বিরুদ্ধে ১টি করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিয়শপ, নিডস ডটকম, বুমবুম, আলাদিনের প্রদীপ, ই-শপ ইন্ডিয়া, বিডিলাইক, র্যাপিড ক্যাশ-কুইক অনলাইন, ফস্টার করপোরেশন, সহজ লাইফ অ্যান্ড লাইভলি লাইফ, আদিয়ান মার্ট, নিডস, এসকে ট্রেডার্স, মোটরস, চলন্তিকা, সুপন প্রোডাক্ট, আকাশ নীল, এসডিসি ওয়ার্ল্ড, নিউ নাভানাসহ আরও অন্তত ২০টি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আরও অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। সিআইডির পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও র্যাব এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নজরদারি করছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারও করছি। আরও কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। আমরা তাদের ব্যাপার অনুসন্ধান করছি। এ ছাড়া যে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযান শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক আত্মগোপনে চলে গেছেন। কয়েকজন দেশ থেকেও পালিয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে। তবে আসামি গ্রেপ্তার কিংবা শাস্তি হলেও গ্রাহকদের অর্থের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কিছু করার নেই। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রাহকদেরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির বলেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা তুলে অন্যান্য খাতে ব্যবহার করেছে। বাকি মামলাগুলো প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যান্য অভিযোগে হয়েছে। দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কারাবন্দী মালিকদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন ইভ্যালি ও কিউকম ভুক্তভোগীরা। তাঁদের দাবি, মালিকরা মুক্তি পেলে টাকা পাওয়ার আশা কিছুটা হলেও থাকবে। নইলে ডেসটিনি, ইউনিপেটু, যুবকের গ্রাহকেরা যেমন টাকা ফেরত পায়নি, তাঁদেরও তেমনই অবস্থা হবে বলে আশঙ্কা ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যপদ দেখেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন। সে সময় ই-ক্যাব বলেছিল, তাঁদের সদস্যদের কাছে নিশ্চিন্তে পণ্য অর্ডার করা যাবে। অথচ এখন ই-ক্যাবও ই-কমার্স ভুক্তভোগীদের টাকা উদ্ধারে কার্যকর কিছুই করছে না।
তবে ই-ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারের কিছু বিষয় এখন আদালতে চলে গেছে। সেটা এখন আদালতই দেখবেন। আর পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি জানান, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-ক্যাব চিঠি দিয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কত টাকা আটকে আছে সেটা দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
মালিকেরা পলাতক, ফেসবুকে আস্ফালন
অফিস, ওয়্যারহাউস সবই বন্ধ। পণ্য ডেলিভারি, টাকা ফেরত কার্যক্রম, চলছে না কিছুই। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের খুঁজছে পুলিশ। অথচ তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে আসছেন, প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। আনন্দের বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমুদুল হক খন্দকার মিঠু পরপর চার দিন ফেসবুক লাইভে এসে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। গ্রাহকদের নানা আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন, সেটা পরিষ্কার করেননি। মিঠুর বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।
অন্যদিকে দালাল প্লাসের সিইও এস এম রাব্বি বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। দালাল প্লাস থেকে পণ্য অর্ডারেরও অনুরোধ করেন তিনি। অথচ দালাল প্লাসের কার্যক্রম এখন বন্ধই বলা চলে। পণ্য ডেলিভারি বা টাকা ফেরত দেওয়া কিছুই করছে না তারা। কিন্তু ফেসবুকে তাদের প্রচারণা চলছে। লাইভে এলেও রাব্বি কোথায় আছেন, সেটা তিনি জানাননি। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে মামলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাব্বি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ছাড়া বুমবুম শপিং, ধামাকা, রিং আইডিসহ বিভিন্ন ই-কমার্সের মালিকেরা ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার নতুন নতুন সময়সীমা এবং পদ্ধতি জানাচ্ছেন। সেসব সময়সীমা পারও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের কেউ টাকা ফেরত পেয়েছেন এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে।
১৫ অক্টোবর ২০২১‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে।
১৫ অক্টোবর ২০২১গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে।
১৫ অক্টোবর ২০২১গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
‘ইভ্যালিতে ধরা ৬ লাখ। আরেকটি ই-কমার্সে আছে ১১ লাখ। ইভ্যালির মালিক জেলে গেছে। ইভ্যালির টাকা ফেরত পাওয়ার এখন কোনো আশা দেখছি না। পণ্য কিংবা টাকা চেয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামি, তারাও গ্রেপ্তার হলে সামনে অন্ধকার হয়ে যাবে।
১৫ অক্টোবর ২০২১গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫