মঞ্জুর আহমদ, সিলেট
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও দলীয় বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নিজ দলের বিদ্রোহীরাই নৌকার বিজয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
সিলেটের তিন উপজেলার ১৬ ইউপিতে অন্তত ১৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবি হয়েছে নৌকার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের। ১৫ ইউপির মাত্র ছয়টিতে জেতেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ ওলিদুর রহমানের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মুজিবুর রহমান। জালালপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়েছ আহমদের সঙ্গে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী নেছারুল হক চৌধুরী মোস্তান। লালাবাজার ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোয়াজিদুল ইসলামের সঙ্গে ভোটের মাঠে লড়তে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল মুহিত।
মোগলাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সদরুল ইসলামের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা। দাউদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নুরুল ইসলাম আলম।
গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক আহমদ। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল মতিন। ফতেহপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন বিদ্রোহী আমিনুর রহমান চৌধুরী।
লেঙ্গুরা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সঙ্গে লড়াই হবে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেলের। নন্দিরগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল হাসান আমিরুলের সঙ্গে লড়বেন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। ডৌবাড়ি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুভাস দাশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম নিজাম উদ্দিন। তোয়াকুল ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লোকমান আহমদকে টেক্কা দিতে মাঠে রয়েছেন শামসুদ্দিন আহমদ।
জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজার সঙ্গে বিদ্রোহী হয়ে মাঠে রয়েছেন আব্দুল কাইয়ূম। চা বাগান অধ্যুষিত চিকনাগুল ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রের মোড়কে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরাও জয় ছিনিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। ফলে বিদ্রোহীরা ভোটের মাঠে জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা বিদ্রোহীদের বসানোর জন্য এখনো আমরা আলাপ করছি। না সরলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় হেরেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।
তিন উপজেলার ১৫ ইউপির ছয়টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগ। দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, পাঁচটিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপির প্রার্থী, একটিতে জামায়াত ও একটিতে খেলাফত মজলিস সমর্থিত প্রার্থী জিতেছেন।
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও দলীয় বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নিজ দলের বিদ্রোহীরাই নৌকার বিজয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
সিলেটের তিন উপজেলার ১৬ ইউপিতে অন্তত ১৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবি হয়েছে নৌকার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের। ১৫ ইউপির মাত্র ছয়টিতে জেতেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ ওলিদুর রহমানের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মুজিবুর রহমান। জালালপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়েছ আহমদের সঙ্গে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী নেছারুল হক চৌধুরী মোস্তান। লালাবাজার ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোয়াজিদুল ইসলামের সঙ্গে ভোটের মাঠে লড়তে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল মুহিত।
মোগলাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সদরুল ইসলামের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা। দাউদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নুরুল ইসলাম আলম।
গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক আহমদ। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল মতিন। ফতেহপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন বিদ্রোহী আমিনুর রহমান চৌধুরী।
লেঙ্গুরা ইউপিতে নৌকার প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সঙ্গে লড়াই হবে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেলের। নন্দিরগাঁও ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল হাসান আমিরুলের সঙ্গে লড়বেন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। ডৌবাড়ি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুভাস দাশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম নিজাম উদ্দিন। তোয়াকুল ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লোকমান আহমদকে টেক্কা দিতে মাঠে রয়েছেন শামসুদ্দিন আহমদ।
জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজার সঙ্গে বিদ্রোহী হয়ে মাঠে রয়েছেন আব্দুল কাইয়ূম। চা বাগান অধ্যুষিত চিকনাগুল ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রের মোড়কে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরাও জয় ছিনিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। ফলে বিদ্রোহীরা ভোটের মাঠে জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা বিদ্রোহীদের বসানোর জন্য এখনো আমরা আলাপ করছি। না সরলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় হেরেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।
তিন উপজেলার ১৫ ইউপির ছয়টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগ। দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, পাঁচটিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপির প্রার্থী, একটিতে জামায়াত ও একটিতে খেলাফত মজলিস সমর্থিত প্রার্থী জিতেছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪