কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
খুলনার বিভিন্ন নদ-নদীতে খননযন্ত্র বসিয়ে অবাধে তোলা হচ্ছে লবণপানি মিশ্রিত বালু। সেই বালু স্তূপ করে রাখা হচ্ছে যত্রতত্র। আর বালু তোলার পরপরই স্তূপ থেকে গড়িয়ে পড়া লবণপানি ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের কৃষিজমিতে। এতে এলাকার গাছপালা, কৃষিজমি ও মৎস্যঘের হুমকির মুখে পড়েছে।
লবণপানির কারণে এলাকায় কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের। এ ছাড়া বালুবাহী যানবাহনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট। ধুলার কারণে সৃষ্ট বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ভৈরব, কাজিবাছা, আমতলী, সালতা, মরা ভদ্রা, হরি, শাকবাড়িয়া, কপোতাক্ষসহ বিভিন্ন নদ-নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে অবৈধভাবে লবণপানি মিশ্রিত বালু তোলা হচ্ছে। রূপসার চরমাথাভাঙ্গা, জাবুসা, বটিয়াঘাটার আমতলী নদীর পাশে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে এসব বালু।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রূপসা সেতুর নিচ থেকে তোলা বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে জাবুসা গ্রামের সবুর নামের এক ব্যক্তির জমিতে। ২০১৯ সাল থেকে এখানে বালু তুলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সাগর। ওই এলাকার কয়েকটি ডাম্পিং পয়েন্টে দুই-তিন তলার সমান উঁচু করে বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
রূপসা সেতুসংলগ্ন ডাম্পিং পয়েন্টের পাশেই রয়েছে ‘জেমিনি সি ফুড’ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৫ বিঘার ওপর বিষমুক্ত খাদ্য (অরগানিক ফুড) উৎপাদনকেন্দ্র এবং ১০ বিঘা জমিতে মিষ্টিপানির মাছের ঘের করেছে। কিন্তু লবণপানির কারণে সেখানে এখন সব ধরনের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আব্দুল গফফার বলেন, ‘লবণপানির কারণে গাছের পাতা হলুদ রঙ ধারণ করেছে। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারছি না। ১০ বিঘা জমির ওপর পুকুর কেটেও সেখানে চার বছর ধরে মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। প্রতি বছর কোটি টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। বালুর ডাম্পিং পয়েন্টটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি।’
বালু ব্যবসায়ীদের একজন সাগর শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শুধু আমিই এখানে বালুর ব্যবসা করছি না। রূপসা ব্রিজের অন্য পাশে আরও চার-পাঁচজন ব্যবসা করছেন। আমার বালুর জন্য কারও কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। বরং আমি মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছি। আগে এখানে চুরি-ডাকাতি হতো। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে তাদের অভিযোগ সত্য নয়।’
লবণ পানিমিশ্রিত বালু ডাম্পিংয়ের কারণে জাবুসা এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষণের কথা স্বীকার করে স্থানীয় নৈহাটি ইউপির চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে গত অক্টোবর-নভেম্বরে বিদেশি একটি প্রতিনিধি দল ঘের পরিদর্শনকালে বাতাসের সঙ্গে বালু ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষণ হওয়ায় বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমাকে বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বালু ডাম্পিং বন্ধ করতে বলেন। ব্যবসায়ীদের নিষেধ করলেও তারা আমার কথা মানেনি।’
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর জাহান বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এর আগেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে জাবুসা এলাকায় বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘বালুভর্তি ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে, আবার অনেক জায়গা দেবে গেছে। বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তুলেছি।’
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার পরিচালক ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খুলনার বিভিন্ন নদ-নদীতে খননযন্ত্র বসিয়ে অবাধে তোলা হচ্ছে লবণপানি মিশ্রিত বালু। সেই বালু স্তূপ করে রাখা হচ্ছে যত্রতত্র। আর বালু তোলার পরপরই স্তূপ থেকে গড়িয়ে পড়া লবণপানি ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের কৃষিজমিতে। এতে এলাকার গাছপালা, কৃষিজমি ও মৎস্যঘের হুমকির মুখে পড়েছে।
লবণপানির কারণে এলাকায় কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের। এ ছাড়া বালুবাহী যানবাহনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট। ধুলার কারণে সৃষ্ট বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ভৈরব, কাজিবাছা, আমতলী, সালতা, মরা ভদ্রা, হরি, শাকবাড়িয়া, কপোতাক্ষসহ বিভিন্ন নদ-নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে অবৈধভাবে লবণপানি মিশ্রিত বালু তোলা হচ্ছে। রূপসার চরমাথাভাঙ্গা, জাবুসা, বটিয়াঘাটার আমতলী নদীর পাশে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে এসব বালু।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রূপসা সেতুর নিচ থেকে তোলা বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে জাবুসা গ্রামের সবুর নামের এক ব্যক্তির জমিতে। ২০১৯ সাল থেকে এখানে বালু তুলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সাগর। ওই এলাকার কয়েকটি ডাম্পিং পয়েন্টে দুই-তিন তলার সমান উঁচু করে বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
রূপসা সেতুসংলগ্ন ডাম্পিং পয়েন্টের পাশেই রয়েছে ‘জেমিনি সি ফুড’ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৫ বিঘার ওপর বিষমুক্ত খাদ্য (অরগানিক ফুড) উৎপাদনকেন্দ্র এবং ১০ বিঘা জমিতে মিষ্টিপানির মাছের ঘের করেছে। কিন্তু লবণপানির কারণে সেখানে এখন সব ধরনের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আব্দুল গফফার বলেন, ‘লবণপানির কারণে গাছের পাতা হলুদ রঙ ধারণ করেছে। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারছি না। ১০ বিঘা জমির ওপর পুকুর কেটেও সেখানে চার বছর ধরে মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। প্রতি বছর কোটি টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। বালুর ডাম্পিং পয়েন্টটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি।’
বালু ব্যবসায়ীদের একজন সাগর শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শুধু আমিই এখানে বালুর ব্যবসা করছি না। রূপসা ব্রিজের অন্য পাশে আরও চার-পাঁচজন ব্যবসা করছেন। আমার বালুর জন্য কারও কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। বরং আমি মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছি। আগে এখানে চুরি-ডাকাতি হতো। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে তাদের অভিযোগ সত্য নয়।’
লবণ পানিমিশ্রিত বালু ডাম্পিংয়ের কারণে জাবুসা এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশ দূষণের কথা স্বীকার করে স্থানীয় নৈহাটি ইউপির চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে গত অক্টোবর-নভেম্বরে বিদেশি একটি প্রতিনিধি দল ঘের পরিদর্শনকালে বাতাসের সঙ্গে বালু ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষণ হওয়ায় বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমাকে বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বালু ডাম্পিং বন্ধ করতে বলেন। ব্যবসায়ীদের নিষেধ করলেও তারা আমার কথা মানেনি।’
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর জাহান বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এর আগেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে জাবুসা এলাকায় বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘বালুভর্তি ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে, আবার অনেক জায়গা দেবে গেছে। বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তুলেছি।’
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনার পরিচালক ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪