যশোর ও অভয়নগর প্রতিনিধি
যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংস্কার করা হলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এ কাজ শেষ হলেও শেষ বর্ষায় সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এখন সড়কটি নতুন করে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যশোর-খুলনা মহাসড়কের মেরামত কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জুন মাসে। এক বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা
ছিল; কিন্তু সংস্কারের জন্য দুই দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে সংস্কার হওয়া নওয়াপাড়া থেকে যশোরমুখী ৩৮ কিলোমিটারের কাজ শেষ না হতেই আট কিলোমিটার অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে।
কদিন আগের বৃষ্টিতে জোড়াতালি উঠে গিয়ে সড়কে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কটিতে চলাচল রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। যদিও ইতিমধ্যে সড়কটির নির্মাণব্যয় ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। পরামর্শকের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত
নেয় সওজ। যশোর-খুলনার মতো একই অবস্থা যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের।
জানা গেছে, অভয়নগর ও যশোর সদরের সীমান্তবর্তী প্রেমবাগ স্কুলগেট থেকে শুরু করে বেঙ্গল রেলগেট পর্যন্ত খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আলীপুর মজুমদার মিলের সামনে, চেঙ্গুটিয়া বাজার, রাজ টেক্সটাইল মিলের সামনে, ভাঙ্গাগেট রেলক্রসিং, নওয়াপাড়া বেতারের সামনে ও প্রেমবাগ গেটের আগে গর্তগুলো বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রূপসা পরিবহনের চালক মতিয়ার রহমান বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
শেষ তিন দিনের বৃষ্টিতে সড়কের মূল চিত্র ধরা পড়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত সড়ক সংস্কার করা না হলে যানবাহন চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক উন্নয়নের এই কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের কোনো নিয়মনীতি মানেনি। তারা গোঁজামিল দিয়ে কাজ করেছেন।
ঠিকাদারেরা সড়কের পুরোনো ইট ও খোয়া তুলে সেটাই আবার ব্যবহার করেছেন। সড়কটি ৫ ফুট গর্ত করে ভিত তৈরির নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি। তা ছাড়া ভৈরব নদ থেকে উত্তোলিত নিম্নমানের কাদাযুক্ত বালু ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সড়কের নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় ৮ কিলোমিটার ফুলে ওঠে।
যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক নিয়ে ইজিবাইকচালক মহিদুল ইসলাম জানান, চূড়ামনকাটি বাজার ও শানতলা ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তাটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাতে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
মাদ্রাসাশিক্ষক হেদায়েত খান জানান, বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রায়ই রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে কাদা-পানি মেখে বাড়ি ফিরতে হয়।
অটোরিকশাচালক আব্দুল হোসেন জানান, রাস্তার অবস্থা এ কদিনের বৃষ্টিতে খুবই খারাপ হয়েছে। সড়কে চলাচলই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সড়কের অবস্থা খারাপ, বিষয়টি নিশ্চিত করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ যশোরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ মাহমুদ জানান, সম্প্রতি বুয়েটের একটি পরামর্শক
দল যশোর-খুলনা মহাসড়ক পরিদর্শন করেছে। এবার তাঁদের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা হবে।
যশোর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যশোর-খুলনা, যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংস্কার করা হলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এ কাজ শেষ হলেও শেষ বর্ষায় সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এখন সড়কটি নতুন করে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যশোর-খুলনা মহাসড়কের মেরামত কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জুন মাসে। এক বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা
ছিল; কিন্তু সংস্কারের জন্য দুই দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে সংস্কার হওয়া নওয়াপাড়া থেকে যশোরমুখী ৩৮ কিলোমিটারের কাজ শেষ না হতেই আট কিলোমিটার অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে।
কদিন আগের বৃষ্টিতে জোড়াতালি উঠে গিয়ে সড়কে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কটিতে চলাচল রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। যদিও ইতিমধ্যে সড়কটির নির্মাণব্যয় ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। পরামর্শকের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত
নেয় সওজ। যশোর-খুলনার মতো একই অবস্থা যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের।
জানা গেছে, অভয়নগর ও যশোর সদরের সীমান্তবর্তী প্রেমবাগ স্কুলগেট থেকে শুরু করে বেঙ্গল রেলগেট পর্যন্ত খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আলীপুর মজুমদার মিলের সামনে, চেঙ্গুটিয়া বাজার, রাজ টেক্সটাইল মিলের সামনে, ভাঙ্গাগেট রেলক্রসিং, নওয়াপাড়া বেতারের সামনে ও প্রেমবাগ গেটের আগে গর্তগুলো বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রূপসা পরিবহনের চালক মতিয়ার রহমান বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
শেষ তিন দিনের বৃষ্টিতে সড়কের মূল চিত্র ধরা পড়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত সড়ক সংস্কার করা না হলে যানবাহন চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক উন্নয়নের এই কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের কোনো নিয়মনীতি মানেনি। তারা গোঁজামিল দিয়ে কাজ করেছেন।
ঠিকাদারেরা সড়কের পুরোনো ইট ও খোয়া তুলে সেটাই আবার ব্যবহার করেছেন। সড়কটি ৫ ফুট গর্ত করে ভিত তৈরির নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি। তা ছাড়া ভৈরব নদ থেকে উত্তোলিত নিম্নমানের কাদাযুক্ত বালু ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সড়কের নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় ৮ কিলোমিটার ফুলে ওঠে।
যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক নিয়ে ইজিবাইকচালক মহিদুল ইসলাম জানান, চূড়ামনকাটি বাজার ও শানতলা ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তাটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাতে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
মাদ্রাসাশিক্ষক হেদায়েত খান জানান, বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রায়ই রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে কাদা-পানি মেখে বাড়ি ফিরতে হয়।
অটোরিকশাচালক আব্দুল হোসেন জানান, রাস্তার অবস্থা এ কদিনের বৃষ্টিতে খুবই খারাপ হয়েছে। সড়কে চলাচলই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সড়কের অবস্থা খারাপ, বিষয়টি নিশ্চিত করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ যশোরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ মাহমুদ জানান, সম্প্রতি বুয়েটের একটি পরামর্শক
দল যশোর-খুলনা মহাসড়ক পরিদর্শন করেছে। এবার তাঁদের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা হবে।
যশোর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যশোর-খুলনা, যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫