গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ২০ মে। পাকিস্তানি বাহিনী হানা দেয় ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের মালতিয়া গ্রামে। সেই দিন গুলি করে ও গলা কেটে প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। এসব নিরীহ লোকজনের স্মৃতি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ১৫ বছর আগে এ স্থানকে বধ্যভূমি ঘোষণা করা হয়; যার নাম ‘চুকনগর বধ্যভূমি’।
কিন্তু এটি আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। বধ্যভূমিটি প্রায় সারা বছরই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছরেও এখানে শহীদদের জন্য করা হয়নি স্মৃতিসৌধ ও বধ্যভূমি কমপ্লেক্স। চুকনগরে ইতিহাসের অন্যতম বর্বর হত্যাযজ্ঞ হলেও ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’-এর ১৫ খণ্ডের কোথাও এ কথা নেই।
উপজেলার মালতিয়া গ্রামের মো. ইসমাইল শেখ (৬৫) বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরেরা চুকনগরের নিরীহ মানুষকে হত্যা করে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়। অথচ গণহত্যার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা বধ্যভূমিটি সারা বছরই পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলায়। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিসৌধ ও বধ্যভূমি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়নি।’
উপজেলা প্রশাসন ও চুকনগর গণহত্যা ১৯৭১ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এখানে গণহত্যার দিন ২০ মে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে এখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চুকনগর বধ্যভূমি সংরক্ষণের দায়িত্বে আছেন স্থানীয় মো. ফজলুর রহমান মোড়ল। তিনি বলেন, ‘ওপরে ছাউনি না থাকায় বধ্যভূমিটির নিচে বৃষ্টির পানিতে স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে। সম্প্রতি বধ্যভূমি পরিদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শিগগিরই এটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর জন্য তিনি কিছু একটা করবেন বলে আশা করছি।’
চুকনগর গণহত্যা ১৯৭১ স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ ও পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়নি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’-এর ১৫ খণ্ডের কোথাও চুকনগরের ইতিহাস নেই। প্রতিবছরের ২০ মে নিজেরা যতটুকু পারি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হচ্ছে না। কেবল স্মৃতিসৌধের মূল স্তম্ভটি হয়েছে।
দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ২০ মে। পাকিস্তানি বাহিনী হানা দেয় ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের মালতিয়া গ্রামে। সেই দিন গুলি করে ও গলা কেটে প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। এসব নিরীহ লোকজনের স্মৃতি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ১৫ বছর আগে এ স্থানকে বধ্যভূমি ঘোষণা করা হয়; যার নাম ‘চুকনগর বধ্যভূমি’।
কিন্তু এটি আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। বধ্যভূমিটি প্রায় সারা বছরই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছরেও এখানে শহীদদের জন্য করা হয়নি স্মৃতিসৌধ ও বধ্যভূমি কমপ্লেক্স। চুকনগরে ইতিহাসের অন্যতম বর্বর হত্যাযজ্ঞ হলেও ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’-এর ১৫ খণ্ডের কোথাও এ কথা নেই।
উপজেলার মালতিয়া গ্রামের মো. ইসমাইল শেখ (৬৫) বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরেরা চুকনগরের নিরীহ মানুষকে হত্যা করে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়। অথচ গণহত্যার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা বধ্যভূমিটি সারা বছরই পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলায়। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিসৌধ ও বধ্যভূমি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়নি।’
উপজেলা প্রশাসন ও চুকনগর গণহত্যা ১৯৭১ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এখানে গণহত্যার দিন ২০ মে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে এখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চুকনগর বধ্যভূমি সংরক্ষণের দায়িত্বে আছেন স্থানীয় মো. ফজলুর রহমান মোড়ল। তিনি বলেন, ‘ওপরে ছাউনি না থাকায় বধ্যভূমিটির নিচে বৃষ্টির পানিতে স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে। সম্প্রতি বধ্যভূমি পরিদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শিগগিরই এটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর জন্য তিনি কিছু একটা করবেন বলে আশা করছি।’
চুকনগর গণহত্যা ১৯৭১ স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ এ বি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ ও পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়নি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’-এর ১৫ খণ্ডের কোথাও চুকনগরের ইতিহাস নেই। প্রতিবছরের ২০ মে নিজেরা যতটুকু পারি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হচ্ছে না। কেবল স্মৃতিসৌধের মূল স্তম্ভটি হয়েছে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪