ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী (শেরপুর)
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আবারও আক্রমণ শুরু করেছে বন্য হাতি। হাতির আক্রমণে আতঙ্কে সেখানকার মানুষ। রাত জেগে ফসল পাহারা দিচ্ছেন কৃষকেরা।
অনেক কৃষক হাতির আতঙ্কে কাঁচা-পাকা ধান ঘরে তুলছেন। দিনের চেয়ে রাতে হাতির দল লোকালয়ে এসে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে। নষ্ট করছে খেতের ধান ও অন্যান্য ফসল। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
জানা গেছে, ভারতের গহিন অরণ্য থেকে ক্ষুধার্ত বন্য হাতি খাবারের সন্ধানে শেরপুরের শ্রীবরদী এলাকায় চলে আসছে। প্রতিবছর ধান কাটার মৌসুমে সীমান্তবর্তী শ্রীবরদীর বালিজুড়ি, মালকোঁচা, হালুয়া হাটি এলাকায় দল বেঁধে আসে বন্য হাতি। হাতি খাদ্যচাহিদা মেটাতে কৃষকের কাঁচা-পাকা ধান খাচ্ছে এবং নষ্ট করছে। রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকে সবজির বাগানও। এতেই আতঙ্কে সময় পার করছেন সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ। রাত জেগে ফসল রক্ষা করতে ঢোল পিটিয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে কোনো মতে তাড়ানো হচ্ছে বন্য হাতি।
বিলভরট এলাকার বাসিন্দা ফেরু মিয়ার ছেলে ফুরাইদ ইসলাম বলেন, ‘আমগর দেড় একর ধান হাতি খায়ে ফেলাইসে। আংগর জমির পরের জমিও মেলাখানি ধান খাইয়ে হেলাইছে। আংগরতো আর সরকার কিছু দেয় না। মেলা মানুষের কাছে হুনতাছি সরকার লাইট দিছে কিন্তু আংগর দেই নাই। এজন্য আংগর খেতের কাঁচা-পাকা ধান কাইটি নিয়ে যাইতাছি গাঁ। যাতে হাতি খেয়ে বা নষ্ট না করতে পারে।’
ভায়াডাঙ্গা এলাকার রাকিব মিয়া বলেন, ‘ভাই কি কমু কন! কয়দিন যাবত হাতি আমাদের এলাকায় আছে। সারাদিন কোনভাবে পার হলেও রাতে ঘুমাবার পাই না। যদি ঘুমাই এ সময় হাতি আইয়ে সব ধান খেয়ে ফেললে আমরা বাঁচবো কি করে। আমাদেরতো কৃষি আবাদ ছাড়া আর কিছু নাই। ’
মালাকোচা এলাকার সোহাগের স্ত্রী নূরুনাহার বলেন. ‘আংগর দুটি সবজি খেত হাতি খাইছে। খেতে বটবটি, লাউসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ছিল, এখন কিছুই নেই। ওইদিন আমাদের বাড়ির পাশে রাতের অন্ধকারে এক বাড়িতে হাতি যা। পরে আমরা সবাই মিলে মশাল দিয়ে কোন মতে হাতি তাড়াতে পেরেছি। কিন্তু ঘরের টিন ও বাইরের কিছু জিনিস পারাইয়ে নষ্ট করছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
ওই এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী, লাল চাঁন, আছমত আলীসহ অনেকেই বলেন, ‘ভাই খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। ঘুমাবার পাই না রাতে। হুট করেই হাতির দল ফসল ও বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে।
প্রতি বছর হাতির দল এই এলাকায় মাত্র ২-৩ দিন থাকলেও এবার প্রায় ১৪ দিনের ওপরে আছে। কেউ কেউ হাতির ভয়ে কাঁচা-পাকা ধান কাইটি নিয়ে যাইতেছে গা। আমরা হাতি থেকে স্থায়ী সমাধান চাই।’
শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে হাতির দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। প্রতি বছরই হাতির দল ভারত থেকে নেমে আসে লোকালয়ে। এ সময় খেয়ে সাবার করে কৃষকের ধান। নষ্ট করে বিভিন্ন ফসল ও গাছপালা। ইতিমধ্যে হাতির আক্রমণে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। হাতির স্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন মহলে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে হাতিল দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা কেরোসিন, লাইট ও জেনারেটর দিয়েছি। যাতে কৃষকেরা লাইট জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।’
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা আক্তার বলেন, ‘এই এলাকায় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। যাতে হাতির জায়গায় হাতি থাকে, মানুষের জায়গায় মানুষ থাকে। এ জন্য আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া আপতত হাতি তাড়াতে জেনারেটরের তেল, লাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে কৃষকের মাঝে। পাশাপাশি হাতির আক্রমণে মৃত্যুবরণকারীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমরা।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আবারও আক্রমণ শুরু করেছে বন্য হাতি। হাতির আক্রমণে আতঙ্কে সেখানকার মানুষ। রাত জেগে ফসল পাহারা দিচ্ছেন কৃষকেরা।
অনেক কৃষক হাতির আতঙ্কে কাঁচা-পাকা ধান ঘরে তুলছেন। দিনের চেয়ে রাতে হাতির দল লোকালয়ে এসে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে। নষ্ট করছে খেতের ধান ও অন্যান্য ফসল। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
জানা গেছে, ভারতের গহিন অরণ্য থেকে ক্ষুধার্ত বন্য হাতি খাবারের সন্ধানে শেরপুরের শ্রীবরদী এলাকায় চলে আসছে। প্রতিবছর ধান কাটার মৌসুমে সীমান্তবর্তী শ্রীবরদীর বালিজুড়ি, মালকোঁচা, হালুয়া হাটি এলাকায় দল বেঁধে আসে বন্য হাতি। হাতি খাদ্যচাহিদা মেটাতে কৃষকের কাঁচা-পাকা ধান খাচ্ছে এবং নষ্ট করছে। রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকে সবজির বাগানও। এতেই আতঙ্কে সময় পার করছেন সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ। রাত জেগে ফসল রক্ষা করতে ঢোল পিটিয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে কোনো মতে তাড়ানো হচ্ছে বন্য হাতি।
বিলভরট এলাকার বাসিন্দা ফেরু মিয়ার ছেলে ফুরাইদ ইসলাম বলেন, ‘আমগর দেড় একর ধান হাতি খায়ে ফেলাইসে। আংগর জমির পরের জমিও মেলাখানি ধান খাইয়ে হেলাইছে। আংগরতো আর সরকার কিছু দেয় না। মেলা মানুষের কাছে হুনতাছি সরকার লাইট দিছে কিন্তু আংগর দেই নাই। এজন্য আংগর খেতের কাঁচা-পাকা ধান কাইটি নিয়ে যাইতাছি গাঁ। যাতে হাতি খেয়ে বা নষ্ট না করতে পারে।’
ভায়াডাঙ্গা এলাকার রাকিব মিয়া বলেন, ‘ভাই কি কমু কন! কয়দিন যাবত হাতি আমাদের এলাকায় আছে। সারাদিন কোনভাবে পার হলেও রাতে ঘুমাবার পাই না। যদি ঘুমাই এ সময় হাতি আইয়ে সব ধান খেয়ে ফেললে আমরা বাঁচবো কি করে। আমাদেরতো কৃষি আবাদ ছাড়া আর কিছু নাই। ’
মালাকোচা এলাকার সোহাগের স্ত্রী নূরুনাহার বলেন. ‘আংগর দুটি সবজি খেত হাতি খাইছে। খেতে বটবটি, লাউসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ছিল, এখন কিছুই নেই। ওইদিন আমাদের বাড়ির পাশে রাতের অন্ধকারে এক বাড়িতে হাতি যা। পরে আমরা সবাই মিলে মশাল দিয়ে কোন মতে হাতি তাড়াতে পেরেছি। কিন্তু ঘরের টিন ও বাইরের কিছু জিনিস পারাইয়ে নষ্ট করছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
ওই এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী, লাল চাঁন, আছমত আলীসহ অনেকেই বলেন, ‘ভাই খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। ঘুমাবার পাই না রাতে। হুট করেই হাতির দল ফসল ও বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে।
প্রতি বছর হাতির দল এই এলাকায় মাত্র ২-৩ দিন থাকলেও এবার প্রায় ১৪ দিনের ওপরে আছে। কেউ কেউ হাতির ভয়ে কাঁচা-পাকা ধান কাইটি নিয়ে যাইতেছে গা। আমরা হাতি থেকে স্থায়ী সমাধান চাই।’
শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে হাতির দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। প্রতি বছরই হাতির দল ভারত থেকে নেমে আসে লোকালয়ে। এ সময় খেয়ে সাবার করে কৃষকের ধান। নষ্ট করে বিভিন্ন ফসল ও গাছপালা। ইতিমধ্যে হাতির আক্রমণে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। হাতির স্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন মহলে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে হাতিল দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা কেরোসিন, লাইট ও জেনারেটর দিয়েছি। যাতে কৃষকেরা লাইট জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।’
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা আক্তার বলেন, ‘এই এলাকায় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। যাতে হাতির জায়গায় হাতি থাকে, মানুষের জায়গায় মানুষ থাকে। এ জন্য আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া আপতত হাতি তাড়াতে জেনারেটরের তেল, লাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে কৃষকের মাঝে। পাশাপাশি হাতির আক্রমণে মৃত্যুবরণকারীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪