সাহাদত জামান, সারিয়াকান্দি (বগুড়া)
বগুড়ার সারিয়াকান্দির বাঁশহাটা গ্রামের একটি খালের মুখ বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি এখন পানির নিচে। দুর্ভোগে পড়েছে চার গ্রামের সাড়ে ১১ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৭ হাজার কৃষক।
উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নিউ কাজলা, কালারতাইড়, শোলারতাইড় ও ছোট কুতুবপুর গ্রামে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি পরিবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাঁরা তিন মাস ধরে কলার ভেলা বা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছেন। তাঁরা বলছেন, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদী খননের সময় তোলা বালু ওই খালের মুখে ফেলা হয়েছে।
পানিতে ডুবে যাওয়া জমিগুলোতে কৃষকেরা নানা ধরনের ফসল চাষ করতেন। পানি জমে থাকার কারণে তাঁরা এ বছর স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান রোপণ করতে পারেননি। পানি অপসারণ না হওয়ায় বীজতলা তৈরির অনিশ্চয়তায় রয়েছেন এবং দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাঁশহাটা গ্রামের লাল মিয়া মণ্ডল জানান, তাঁর ১২ বিঘা জমি এখন প্রায় তিন মাস ধরে পানির নিচে রয়েছে। এসব জমির ফসল বিক্রি করে তিনি সংসারের যাবতীয় খরচ করেন। খালের মুখের বালু সরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা না হলে বোরো ধানের বীজতলা করা যাবে না।
একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খুব গরিব মানুষ হামি। আড়াই বিঘে জমির ফসল দিয়েই খুব কষ্টে সারা বছর চলি। এখন সেই জমিটুকুও পানির মদে।
কোনো আবাদ করবের পাচ্চি নে। চিয়েরমিনক ধরেও কোনো কাম হচ্চে না।’
একই গ্রামের ফকির প্রামাণিকের স্ত্রী মনেরা বেগম বলেন, ‘সেই জ্যৈষ্ঠ মাস হলে পানিবন্দী হয়া আছি। বালু ফালে খালের মুক বন্দ করে দিছে। কত কষ্ট করে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করি।’
কুতুবপুর ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, খালের মুখে বাঁধ দেওয়ার জন্য প্রায় ৫০০ একর জমি পানির নিচে রয়েছে। এ বিষয়ে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি খাল কেটে দেওয়ায় আন্তরিক আছেন। তবে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর জন্য এটি সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। এভাবে যদি কৃষকের জমিতে পানি জমে থাকে, তাহলে কৃষকেরা কীভাবে ফসল ফলাবে। বাঙ্গালী নদী খননের সময় খননকারীরা কৃষকদের কথা চিন্তা করেনি।’
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সরেজমিনে তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বগুড়ার সারিয়াকান্দির বাঁশহাটা গ্রামের একটি খালের মুখ বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি এখন পানির নিচে। দুর্ভোগে পড়েছে চার গ্রামের সাড়ে ১১ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৭ হাজার কৃষক।
উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নিউ কাজলা, কালারতাইড়, শোলারতাইড় ও ছোট কুতুবপুর গ্রামে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি পরিবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাঁরা তিন মাস ধরে কলার ভেলা বা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছেন। তাঁরা বলছেন, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদী খননের সময় তোলা বালু ওই খালের মুখে ফেলা হয়েছে।
পানিতে ডুবে যাওয়া জমিগুলোতে কৃষকেরা নানা ধরনের ফসল চাষ করতেন। পানি জমে থাকার কারণে তাঁরা এ বছর স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান রোপণ করতে পারেননি। পানি অপসারণ না হওয়ায় বীজতলা তৈরির অনিশ্চয়তায় রয়েছেন এবং দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাঁশহাটা গ্রামের লাল মিয়া মণ্ডল জানান, তাঁর ১২ বিঘা জমি এখন প্রায় তিন মাস ধরে পানির নিচে রয়েছে। এসব জমির ফসল বিক্রি করে তিনি সংসারের যাবতীয় খরচ করেন। খালের মুখের বালু সরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা না হলে বোরো ধানের বীজতলা করা যাবে না।
একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খুব গরিব মানুষ হামি। আড়াই বিঘে জমির ফসল দিয়েই খুব কষ্টে সারা বছর চলি। এখন সেই জমিটুকুও পানির মদে।
কোনো আবাদ করবের পাচ্চি নে। চিয়েরমিনক ধরেও কোনো কাম হচ্চে না।’
একই গ্রামের ফকির প্রামাণিকের স্ত্রী মনেরা বেগম বলেন, ‘সেই জ্যৈষ্ঠ মাস হলে পানিবন্দী হয়া আছি। বালু ফালে খালের মুক বন্দ করে দিছে। কত কষ্ট করে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করি।’
কুতুবপুর ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, খালের মুখে বাঁধ দেওয়ার জন্য প্রায় ৫০০ একর জমি পানির নিচে রয়েছে। এ বিষয়ে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি খাল কেটে দেওয়ায় আন্তরিক আছেন। তবে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর জন্য এটি সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। এভাবে যদি কৃষকের জমিতে পানি জমে থাকে, তাহলে কৃষকেরা কীভাবে ফসল ফলাবে। বাঙ্গালী নদী খননের সময় খননকারীরা কৃষকদের কথা চিন্তা করেনি।’
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সরেজমিনে তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪