Ajker Patrika

গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১২: ৪২
গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মতলব উত্তর উপজেলার মানবসেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রধানের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নুরুল ইসলাম প্রধান এখন লাপাত্তা। লগ্নি করা টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগীরা সমবায় সমিতির কর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ টাকা ফেরতের দাবি ভুক্তভোগী গ্রাহকদের।

উপজেলার গজরা গ্রামের মো. ওয়ালী উল্লাহ বাদী হয়ে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মতলব উত্তরে সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রধান ও ক্যাশিয়ার সুরাইয়া বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার গজরা গ্রামের নুরুল ইসলাম প্রধান ২০১৩ সালে গজরা বাজারে মানব সেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সংস্থা চালু করে। যার সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৫৪/১৩। ১ লাখ টাকায় প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা লাভ দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে গ্রামের মানুষের স্বপ্ন পুঁজি করেছিল এ সমিতি।

মাসিক কিংবা বার্ষিক কিস্তিতে কেউ ১ লাখ, কেউ ৫ লাখ, আবার কেউ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় হিসাবে রেখেছিল এ সংস্থায়। কেউ মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য, কেউ গবাদিপশু গরু-ছাগল বিক্রি করে, আবার কেউ কষ্টে উপার্জিত টাকা রেখেছিলেন সমিতিতে।

গজরা গ্রামের মো. ওয়ালী উল্লাহ মানব সেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর মাসে ৪ হাজার টাকা মুনাফার আশায় ২ লক্ষ টাকা জমা রাখেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান নুরুল ইসলাম প্রধান। এ এলাকার দুই শতাধিক নারী-পুরুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

সমবায়ের নামে অর্থ আত্মসাতের মূল হোতা সমিতির পরিচালক নুরুল ইসলাম প্রধান এখন আত্মগোপনে। অন্য স্টাফরা গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রাহকেরা অফিসে ভিড় করে কাউকে পাচ্ছেন না। লগ্নিকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। এদিকে মানব সেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাঠকর্মীদের দাবি, তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

মতলব উত্তর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আলম বলেন, গ্রাহকদের টাকা নিয়ে একটি সমবায় সমিতি পালিয়ে গেছে বলে শুনেছেন। সমবায় আইনে কোনো সমবায় সমিতি এফডিআর করতে পারে না। গ্রাহকেরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে এ ধরনের ঘটনা কোনো সংস্থা করলে তাদের সমবায় লাইসেন্স বাতিল হবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত