আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের কৃষকদের জমির (হোতার চক) পানিনিষ্কাশনের জন্য নুরাতলি ঝিরিখাল খনন করা হয়। খালটি মূলত কৃষিজমির পানি বের হওয়ার একটি পথ। এই খাল পারাপারে গ্রামবাসী ও কৃষকদের সুবিধার্থে প্রায় ১০ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে সেতুর দুই পাশে মাটি না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো কাজেই আসছে না।
সংযোগ রাস্তার অভাবে রশুনিয়া ও কোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং কৃষকদের প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করায় এটি তাঁদের কোনো কাজেই আসছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিরিখালের ওপর নির্মিত সেতুটির দুপাশে এখনো মাটি দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া নির্মাণ করা হয়নি রাস্তা। বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে বাধ্য হয়ে খালের পানি মাড়িয়ে পার হতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কৃষকসহ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এ ছাড়া জমি থেকে কৃষিপণ্য বাধ্য হয়ে মাথায় করে আনতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, খাল খননের সময় দুপাশে মাটি ফেলায় হাঁটার একটি রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার ও সেতুর গোড়ায় মাটি ভরাট করলে প্রায় ৮ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন এবং রশুনিয়া থেকে কোলা ইউনিয়নে যাতায়াতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় কম লাগবে।
কোলা গ্রামের বাসিন্দা আউয়াল শেখ বলেন, ‘৮-১০ বছর আগে খাল খনন করার সময় দুই পাশে মাটি পড়ে রাস্তা তৈরি হয়েছিল। ওই রাস্তা দিয়েই আমরা যাতায়াত করতাম। তখন এই সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুর গোড়ায় মাটি না দেওয়ায় এবং রাস্তার সংস্কার না করায় আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই আমরা রাস্তা ও সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
কৃষক আবুল শেখ জানান, উপজেলা থেকে সাবেক মেম্বার মো. সোনামিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে এসে শেষ হয়েছে রাস্তা। এখান থেকে কোলা ইউনিয়নের বেলদারপাড়া পর্যন্ত হাঁটার রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে দুই ইউনিয়নে যাতায়াতে ৩০ মিনিট সময় কম লাগবে। তবে সোনামিয়ার বাড়ি থেকে বেলদারপাড়া পর্যন্ত ১ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রাস্তা এখন বেহাল। পাশাপাশি সেতুর দুই পাশে মাটি না থাকায় সুবিধা পাচ্ছে না মানুষ। কয়েক গ্রাম নিয়ে হোতার চক। এই চকের কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই। এই সেতুর জন্য চেয়ারম্যানকে অনেকবার অবহিত করা হয়েছে। সেতু ও রাস্তা হলে হোতার চকের ৮ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।’
রশুনিয়া ইউপির সাবেক সদস্য জুয়েল রানা সেন্টু বলেন, ‘আমার আমলে বিএডিসির মাধ্যমে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন তারা বলেছিল, কোলা ইউনিয়নের সীমানা থেকে রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর এলাকা পর্যন্ত রাস্তা হবে। রাস্তা হলে এই সেতু দিয়ে লোকজন সহজেই চলাচল করতে পারবে। কিন্তু তারা খাল খনন করে এবং সেতুটি নির্মাণ করে চলে যায়। কোনো রাস্তা নির্মাণ করেনি। তাই সেতুটি কোনো গুরুত্বই পায়নি। এখন মনে হচ্ছে, সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। জরাজীর্ণ সেতুটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।’
রশুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাইদ বলেন, ‘আগের চেয়ারম্যানের আমলে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আমি এবার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি। তবে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। যদি রাস্তা নির্মাণ করলে সেতু দিয়ে চলাচল করা যায়, তবে তা-ই করব। আর সেটা না হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে কী করা যায়, সেটাই করা হবে।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের কৃষকদের জমির (হোতার চক) পানিনিষ্কাশনের জন্য নুরাতলি ঝিরিখাল খনন করা হয়। খালটি মূলত কৃষিজমির পানি বের হওয়ার একটি পথ। এই খাল পারাপারে গ্রামবাসী ও কৃষকদের সুবিধার্থে প্রায় ১০ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে সেতুর দুই পাশে মাটি না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো কাজেই আসছে না।
সংযোগ রাস্তার অভাবে রশুনিয়া ও কোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং কৃষকদের প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করায় এটি তাঁদের কোনো কাজেই আসছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিরিখালের ওপর নির্মিত সেতুটির দুপাশে এখনো মাটি দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া নির্মাণ করা হয়নি রাস্তা। বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে বাধ্য হয়ে খালের পানি মাড়িয়ে পার হতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কৃষকসহ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এ ছাড়া জমি থেকে কৃষিপণ্য বাধ্য হয়ে মাথায় করে আনতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, খাল খননের সময় দুপাশে মাটি ফেলায় হাঁটার একটি রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার ও সেতুর গোড়ায় মাটি ভরাট করলে প্রায় ৮ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন এবং রশুনিয়া থেকে কোলা ইউনিয়নে যাতায়াতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় কম লাগবে।
কোলা গ্রামের বাসিন্দা আউয়াল শেখ বলেন, ‘৮-১০ বছর আগে খাল খনন করার সময় দুই পাশে মাটি পড়ে রাস্তা তৈরি হয়েছিল। ওই রাস্তা দিয়েই আমরা যাতায়াত করতাম। তখন এই সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুর গোড়ায় মাটি না দেওয়ায় এবং রাস্তার সংস্কার না করায় আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই আমরা রাস্তা ও সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
কৃষক আবুল শেখ জানান, উপজেলা থেকে সাবেক মেম্বার মো. সোনামিয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে এসে শেষ হয়েছে রাস্তা। এখান থেকে কোলা ইউনিয়নের বেলদারপাড়া পর্যন্ত হাঁটার রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে দুই ইউনিয়নে যাতায়াতে ৩০ মিনিট সময় কম লাগবে। তবে সোনামিয়ার বাড়ি থেকে বেলদারপাড়া পর্যন্ত ১ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রাস্তা এখন বেহাল। পাশাপাশি সেতুর দুই পাশে মাটি না থাকায় সুবিধা পাচ্ছে না মানুষ। কয়েক গ্রাম নিয়ে হোতার চক। এই চকের কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই। এই সেতুর জন্য চেয়ারম্যানকে অনেকবার অবহিত করা হয়েছে। সেতু ও রাস্তা হলে হোতার চকের ৮ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।’
রশুনিয়া ইউপির সাবেক সদস্য জুয়েল রানা সেন্টু বলেন, ‘আমার আমলে বিএডিসির মাধ্যমে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন তারা বলেছিল, কোলা ইউনিয়নের সীমানা থেকে রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর এলাকা পর্যন্ত রাস্তা হবে। রাস্তা হলে এই সেতু দিয়ে লোকজন সহজেই চলাচল করতে পারবে। কিন্তু তারা খাল খনন করে এবং সেতুটি নির্মাণ করে চলে যায়। কোনো রাস্তা নির্মাণ করেনি। তাই সেতুটি কোনো গুরুত্বই পায়নি। এখন মনে হচ্ছে, সেতুটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। জরাজীর্ণ সেতুটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।’
রশুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাইদ বলেন, ‘আগের চেয়ারম্যানের আমলে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আমি এবার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি। তবে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। যদি রাস্তা নির্মাণ করলে সেতু দিয়ে চলাচল করা যায়, তবে তা-ই করব। আর সেটা না হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে কী করা যায়, সেটাই করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪