Ajker Patrika

ভিড়ের সঙ্গে আছে দুর্ভোগও

শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৪
ভিড়ের সঙ্গে আছে দুর্ভোগও

তারাগঞ্জে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদানে চলছে উপচে পড়া ভিড়। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বদলে সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেতে হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়ে অনেকে টিকা নিতে না পেরে ফিরেও যাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের গণটিকা কার্যক্রম ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। উপজেলার ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ টিকা নিচ্ছে। নির্ধারিত তারিখে একটি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হচ্ছে। প্রতিদিন ১৭ শ থেকে ১৮ শ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল বুধবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। গায়ে গা ঘেঁষে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। চত্বরে তিল ধারণের জায়গা নেই। রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে পড়ছেন ভোগান্তিতে।

অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষার্থীদের আগে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া হতো। এখন পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত কার্ড ছাড়া টিকা পাচ্ছে না শিক্ষার্থী। অনেকে আবার সারা দিন থাকার পরেও টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম বলে, ‘মঙ্গলবার সারা দিন হাসপাতালে এসে বসে ছিলাম, টিকার সিরিয়াল পাইনি। সন্ধ্যায় বাড়ি গেছি। আবার আজ (বুধবার) আসছি টিকা নিতে।’

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিপ্লব হোসেন বলে, ‘জন্ম নিবন্ধ সনদ নিয়ে এসেছি, এখন এটাতে হবে না। স্কুল থেকে কার্ড নিয়ে আসতে হবে। এখন তো কার্ড আনতেই দিন শেষ হবে। টিকা দেব কখন?’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকেরা জানান, বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করলে কোনো ঝামেলাই হতো না। সুষ্ঠুভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকা দেওয়া যেত। এতে শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। অনেক দূর থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে এসেছে টিকা নিতে। তারা টিকা নেওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্বও মানছেন না। অধিকাংশ ছেলেমেয়ের মুখে মাস্ক নেই। কার আগে কে টিকা নিতে পারে সে প্রতিযোগিতা চলছে। এখানে যে অবস্থা তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।

জরিবুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘স্কুলে টিকা দেওয়ার কথা বলেছিল। পরে শুনি আমার ছেলেটা পাঁচ কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে এসেছে টিকা নিতে। কিন্তু সারা দিন থাকার পরও টিকা নিতে পারেনি। তাই আজ আমি নিয়ে এসেছি। স্কুলে টিকা দিলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে গিয়ে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা প্রয়োজনীয় এসির ব্যবস্থা করতে পারেননি। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য শিক্ষার্থী ও টিকা নিতে আসা লোকজনকে বলা হচ্ছে। যারা ফিরে যাচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত