Ajker Patrika

যুবককে খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড চারজনের

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ১২
যুবককে খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড  চারজনের

রাজশাহীতে এক যুবককে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার মামলায় এক নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাদল মণ্ডল (৪৬); রাজশাহীর তানোর উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের বিমল সিং (৫০), বিমলের স্ত্রী অঞ্জলী রানী (৪৫) ও তাঁদের ছেলে সুবোধ সিং (২৮)।

তানোরের এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের নির্মল সিংয়ের ছেলে প্রকাশ সিংকে (২০) হত্যার দায়ে এ দণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর আসামিদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রকাশ সিং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিমল সিংয়ের ছোট ভাইয়ের ছেলে। রাজশাহী শহরের নবরূপ মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের একটি দোকানের পরিবেশন কর্মী ছিলেন প্রকাশ। গত বছরের ২৯ এপ্রিল সকালে তানোরের বংশীধরপুর ব্রিজের কাছে প্রকাশের লাশ পাওয়া যায়। প্রকাশকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা নির্মল সিং তানোর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অঞ্জলী রানীর সঙ্গে বাদল মণ্ডলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রকাশকে হত্যার এক মাস আগে বাদল এক সন্ধ্যায় অঞ্জলীর ঘরে ছিলেন। তখন নির্মল সিং দেখে ফেলেন এবং বাদলকে ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় বাদল পালিয়ে যান। নির্মল ও তাঁর ছেলে প্রকাশ এই পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করলে বাদল তাঁদের হুমকি দিয়েছিলেন। তাই পূর্বপরিকল্পনা করে প্রকাশকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার ছয় দিনের মধ্যে তানোর থানা-পুলিশ এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

জবানবন্দিতে বলা হয়, অঞ্জলী ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক বাদল মিলে প্রকাশকে খুনের পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনায় অঞ্জলী তাঁর স্বামী ও বড় ছেলেকে যুক্ত করেন। ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল রাতে বিমল ও তাঁর ছেলে সুবোধ কৌশলে প্রকাশকে ফসলি মাঠের নির্জন রাস্তার ধারে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন বাদল ও অঞ্জলী। পরে চারজন মিলে প্রকাশকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামিরা এ হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। আসামিদের স্বীকারোক্তি ও ২০ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দিলেন। এ রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আসামিদের পক্ষে এ মামলায় লড়ছিলেন আইনজীবী বেনজীর আহমেদ, হামিদুল হক, মিজানুল হক ও এস এম জ্যোতি উল ইসলাম। তাঁরা এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত