উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
দেশে কী পরিমাণ খাসজমি বেদখল হয়েছে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই খোদ ভূমি মন্ত্রণালয়ে। যদিও এই মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি অনুবিভাগ আছে সারা দেশের খাসজমি দেখভাল করার জন্য। তাদের মূল কাজই হলো নানা কাজে সরকারি-বেসরকারি খাতে খাসজমির বন্দোবস্ত দেওয়া এবং জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাঠানো খাসজমির তথ্য সংরক্ষণ করা। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের বিষয়েও অনেকটা উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি জমির অবৈধ দখল ঠেকাতে শাস্তির বিধান রেখে ‘সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও স্থাপনাদি (দখল পুনরুদ্ধার) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। অনুমোদনের জন্য খসড়াটি শিগগির মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন, সারা দেশে ৬২ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৩৮ একর খাসজমি অবৈধ দখলে রয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে কৃষি, অকৃষি খাসজমির পরিমাণ ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৮ একর।
সারা দেশে কী পরিমাণ সরকারি খাসজমি বেদখল হয়ে আছে জানতে চাইলে ভূমিসচিব খলিলুর রহমান সঠিক পরিসংখ্যান বলতে পারেননি। তিনি এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের খাসজমি অনুবিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। সেখানে যোগাযোগ করা হলে অনুবিভাগের প্রধান যুগ্ম সচিব এম এম আরিফ পাশা জানান, তাঁদের কাছে বেদখল হওয়া খাসজমির কোনো পরিসংখ্যান নেই। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতি মাসে কোনো কোনো জেলা থেকে ডিসিরা খাসজমি উদ্ধারসংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠালেও সেখানে শুধু উদ্ধারের তথ্য থাকে। আবার উদ্ধারের পর পুনর্দখলের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ফলে এ-সংক্রান্ত সঠিক পরিসংখ্যান চাইলে আমাদের সময় দিতে হবে। ডিসিদের কাছে বেদখল খাসজমির তথ্য চেয়ে চিঠি দিতে হবে।’
জানা যায়, ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর খাসজমি-সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন) অভিযোগ করে বলেছিলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে খাসজমির বন্দোবস্ত-সংক্রান্ত নথি সংরক্ষণ নেই। জমিগুলোর মালিকানা বদল হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে রয়েছে। তাদের কাছে আগের লিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নেই। বন্দোবস্ত দেওয়া কিছু খাসজমিতে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বিক্রি করছে।
এমন পরিস্থিতিতে খাসজমির অবৈধ দখল ঠেকাতে ভূমি মন্ত্রণালয় শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
এ প্রসঙ্গে ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান গত সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি জমি কেউ অবৈধভাবে দখল করলে বিদ্যমান ‘গভর্নমেন্ট অ্যান্ড লোকাল অথরিটিজ (ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিংস) পজিশনস আইন, ১৯৭০ ’-এ শাস্তির কোনো বিধান নেই। শুধু উচ্ছেদ করার খরচ নেওয়া হয় দলখদারদের কাছ থেকে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না থাকায় উচ্ছেদের পর আবারও বেদখল হচ্ছে সরকারি জমি। সরকারি জমির অবৈধ দখল রোধ করতে শাস্তির বিধান রেখে নতুন করে আইন তৈরি করা হচ্ছে। অবৈধ দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারি জমির লিজ বা ইজারার মেয়াদ শেষ হলে অবশ্যই তা নবায়ন করতে হবে। নবায়ন না হলে ওই জমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে হবে। অবৈধভাবে সরকারি জমি দখলে রাখলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সরকারি ভূমি বা স্থাপনা ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দখল ছেড়ে দিতে হবে। নইলে জেলা প্রশাসক দখলকারীকে ৩০ দিনের মধ্যে দখল ছেড়ে দিতে নোটিশ দেবেন। দখল না ছাড়লে জেলা প্রশাসক স্থাপনা বা ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করতে পারবেন।
দেশে কী পরিমাণ খাসজমি বেদখল হয়েছে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই খোদ ভূমি মন্ত্রণালয়ে। যদিও এই মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি অনুবিভাগ আছে সারা দেশের খাসজমি দেখভাল করার জন্য। তাদের মূল কাজই হলো নানা কাজে সরকারি-বেসরকারি খাতে খাসজমির বন্দোবস্ত দেওয়া এবং জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাঠানো খাসজমির তথ্য সংরক্ষণ করা। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের বিষয়েও অনেকটা উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি জমির অবৈধ দখল ঠেকাতে শাস্তির বিধান রেখে ‘সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও স্থাপনাদি (দখল পুনরুদ্ধার) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। অনুমোদনের জন্য খসড়াটি শিগগির মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন, সারা দেশে ৬২ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৩৮ একর খাসজমি অবৈধ দখলে রয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে কৃষি, অকৃষি খাসজমির পরিমাণ ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৮ একর।
সারা দেশে কী পরিমাণ সরকারি খাসজমি বেদখল হয়ে আছে জানতে চাইলে ভূমিসচিব খলিলুর রহমান সঠিক পরিসংখ্যান বলতে পারেননি। তিনি এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের খাসজমি অনুবিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। সেখানে যোগাযোগ করা হলে অনুবিভাগের প্রধান যুগ্ম সচিব এম এম আরিফ পাশা জানান, তাঁদের কাছে বেদখল হওয়া খাসজমির কোনো পরিসংখ্যান নেই। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতি মাসে কোনো কোনো জেলা থেকে ডিসিরা খাসজমি উদ্ধারসংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠালেও সেখানে শুধু উদ্ধারের তথ্য থাকে। আবার উদ্ধারের পর পুনর্দখলের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ফলে এ-সংক্রান্ত সঠিক পরিসংখ্যান চাইলে আমাদের সময় দিতে হবে। ডিসিদের কাছে বেদখল খাসজমির তথ্য চেয়ে চিঠি দিতে হবে।’
জানা যায়, ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর খাসজমি-সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন) অভিযোগ করে বলেছিলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে খাসজমির বন্দোবস্ত-সংক্রান্ত নথি সংরক্ষণ নেই। জমিগুলোর মালিকানা বদল হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে রয়েছে। তাদের কাছে আগের লিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নেই। বন্দোবস্ত দেওয়া কিছু খাসজমিতে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বিক্রি করছে।
এমন পরিস্থিতিতে খাসজমির অবৈধ দখল ঠেকাতে ভূমি মন্ত্রণালয় শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
এ প্রসঙ্গে ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান গত সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি জমি কেউ অবৈধভাবে দখল করলে বিদ্যমান ‘গভর্নমেন্ট অ্যান্ড লোকাল অথরিটিজ (ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিংস) পজিশনস আইন, ১৯৭০ ’-এ শাস্তির কোনো বিধান নেই। শুধু উচ্ছেদ করার খরচ নেওয়া হয় দলখদারদের কাছ থেকে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না থাকায় উচ্ছেদের পর আবারও বেদখল হচ্ছে সরকারি জমি। সরকারি জমির অবৈধ দখল রোধ করতে শাস্তির বিধান রেখে নতুন করে আইন তৈরি করা হচ্ছে। অবৈধ দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারি জমির লিজ বা ইজারার মেয়াদ শেষ হলে অবশ্যই তা নবায়ন করতে হবে। নবায়ন না হলে ওই জমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে হবে। অবৈধভাবে সরকারি জমি দখলে রাখলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সরকারি ভূমি বা স্থাপনা ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দখল ছেড়ে দিতে হবে। নইলে জেলা প্রশাসক দখলকারীকে ৩০ দিনের মধ্যে দখল ছেড়ে দিতে নোটিশ দেবেন। দখল না ছাড়লে জেলা প্রশাসক স্থাপনা বা ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করতে পারবেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪