Ajker Patrika

সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভেতরে অবৈধ দোকান

আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ০৬
সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভেতরে অবৈধ দোকান

বদরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভেতরে বসছে অবৈধ দোকান। এতে করে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা থাকেন আতঙ্কে।

এসব দোকান বসিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগে দুই মাস আগে চাকরিচ্যুত হয়েছেন নকল নবিশ হাফিজুর রহমান ও মনিরুজ্জামান মুন্না। কিন্তু রহস্যজনক কারণে দোকানগুলো আজও তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ মাটিতে চট বিছিয়ে, আবার কেউ ভ্যানের ওপর রেখে নতুন-পুরোনো পোশাক বিক্রি করছেন। সেখানে রয়েছে চা-পানের দোকানসহ ফটোকপির দোকানও।

জানা গেছে, সেখানে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে সপ্তাহে দুই দিন সোম ও বৃহস্পতিবার। তখন সব মিলিয়ে ৩৫টি দোকান দেখা যায়। আর প্রতিদিন সেখানে থেকে যায় একটি চায়ের দোকান, পানের দোকান ও একটি ফটোকপির দোকান।

মাটিতে চট বিছিয়ে নতুন পোশাক বিক্রি করা মাসুম, ফেরদৌস আলী ও সোহেল জানান, তাঁরা গরিব মানুষ। বাজারে কোথাও জায়গা না পেয়ে এখানে বসে শার্ট-প্যান্ট বিক্রি করছেন। তাঁরা বসলেই তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাট কমিটি ২৫ টাকা এবং সমিতি মসজিদের নামে ১৫ টাকা নেয়।

নাম প্রকাশ না করে দুজন দলিল লেখক বলেন, জমি বেচাকেনার জন্য সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে মানুষ আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেক টাকা লেনদেন হয়। এখানে জমি বেচাকেনার মানুষ ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করার কথা নয়। কিন্তু ভেতরে অর্ধশতাধিক দোকানপাট বসায় অনেক বহিরাগত ও অচেনা মুখ ভেতরে প্রবেশ করছেন। এতে যেকোনো সময়ে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের প্রতারকের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব দোকানপাট এখান থেকে তুলে দেওয়া দরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নকল নবিশ জানান, সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দোকানপাট বসিয়ে দেন সনদ বাতিল হওয়া দলিল লেখক সমিতির দুই নেতা। সেখান থেকে তাঁরা মসজিদের নামে চাঁদা তোলেন। এই নেতারা আরেক নেতা দলিল লেখক মমিনুল ইসলামকে কার্যালয়ের ভেতর স্থায়ীভাবে ফটোকপির দোকানঘর বসিয়ে দিয়েছেন। আর এসব দোকানপাটের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন নকল নবিশ হাফিজুর রহমান ও মনিরুজ্জামান মুন্না।

চাকরিচ্যুত হাফিজুর বলেন, ‘আমরা নাকি এই দোকান বসিয়ে চাঁদা তুলি। আমাদের দুজনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়। দায়সারা তদন্ত করে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এখন কে দোকান বসিয়েছেন আর চাঁদা তুলছেন?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান কাজী বলেন, ‘আমি আসার আগে থেকেই এখানে দোকানপাট রয়েছে। তবে জমির ক্রেতা-বিক্রেতার কথা চিন্তা করে কার্যালয়ের ভেতরের অবৈধ স্থাপনা অচিরেই তুলে দেওয়া হবে।’

যোগাযোগ করা হলে রংপুর জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রামানিক বলেন, ‘আমি নিজে গিয়েও ওই কার্যালয়ের ভেতরে দোকানপাট দেখেছি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাবরেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত